সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 26th, October 2025 GMT
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে সাধারণ শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে। যাদুকাটা নদীর বালু-পাথর শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে আজ রোববার দুপুরে নদীর তীরে এই মানববন্ধন হয়। এতে হাজারো শ্রমিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বলা হয়, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যাদুকাটা নদীতে চলতি মাস থেকে সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল মব সৃষ্টি করে নদীর পাড় কেটে বালু লুট করে। সাধারণ শ্রমিকেরা সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করলেও অভিযানের নামে নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁদের ধরে নিয়ে জরিমানা, সাজা দেওয়া হচ্ছে। এতে শ্রমিকেরা আতঙ্কে আছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করে জেলার ৫০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করেন। একটি চক্র নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নদীতে নির্বিঘ্নে সাধারণ শ্রমিকদের বালু উত্তোলনের সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রমজান মিয়া, সহসভাপতি সাহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম, শ্রমিক আতিকুল ইসলাম, মাসুক মিয়া প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে