বড় জয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড, বিদায়ী ম্যাচে হারে শেষ সোফির
Published: 26th, October 2025 GMT
ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বোলার সোফি এক্লেস্টোনের কাঁধের ইনজুরি দলকে দমাতে পারেনি। ব্যাট হাতে অ্যামি জোন্সের অনবদ্য ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডকে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সহজেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
এক্লেস্টোন ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে চোট পান। মাত্র চার বল করে একটি উইকেট নেন তিনি। তবে তার আগেই ইংল্যান্ড বাকি কাজটা সেরে ফেলে। ৩৯ ওভারের মধ্যেই নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ১৬৮ রানে।
আরো পড়ুন:
৪৩ ওভারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বৃথা গেল ব্রুকের ঝড়ো সেঞ্চুরি, নিউ জিল্যান্ডের জয়
স্পিনার লিনসি স্মিথ শুরুতে কিছুটা সংগ্রাম করলেও পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নেন তিন উইকেট। পার্ট-টাইম অফ স্পিনার অ্যালিস ক্যাপসি ও পেসার ন্যাট শিভার-ব্রান্ট পান দুটি করে উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে জোন্সের অপরাজিত ৮৬ রানে ইংল্যান্ড সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
এই জয়ে ইংল্যান্ড পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করেছে। অস্ট্রেলিয়া আছে শীর্ষে। ফলে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে ধুয়েও যায়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের সুবিধায় ইংল্যান্ডই ফাইনালে উঠবে।
অন্যদিকে, নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক সোফি ডিভাইনের জন্য এটি ছিল বিদায়ী ওয়ানডে। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি তার প্রত্যাশামতো হলো না। ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ, বোলাররাও পারেননি ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে চাপ তৈরি করতে।
ইংল্যান্ডের জয়টা যেমন ছিল সহজ, তেমনি এক্লেস্টোনের ইনজুরি কিছুটা দুশ্চিন্তার। ইংলিশ মেয়েরা শুরুতে বল হাতে ও ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল করলেও দ্রুত তারা ঘুরে দাঁড়ায়।
অ্যামি জোন্স ও ট্যামি বোমন্ট ৭৫ রানের জুটি গড়ে রান তাড়ার ভিত গড়ে দেন। এরপর জোন্স অধিনায়ক হিদার নাইটের সঙ্গে আরও ৮৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটি নাগালে নিয়ে আসেন।
পুরো লিগ পর্বেই ইংল্যান্ডের শীর্ষ চার ব্যাটার দারুণ ফর্মে ছিলেন। নাইট ও শিভার-ব্রান্ট করেছেন সেঞ্চুরি, বোমন্ট ও জোন্স ফিফটি ছুঁয়েছেন একাধিকবার। এই ম্যাচে অভিজ্ঞ ড্যানি ওয়ায়াট-হজকে নামানো হয় ছয় নম্বরে ভালো করতে না পারা এমা ল্যামের বদলে। তবে সুযোগ পান মাত্র সাত বল খেলার।
বোমন্টের ইনিংস ছিল ঝড়ো। মাত্র ২০ বলে ২৬ রান, যার মধ্যে চারটি চার এসেছিল জেস কেয়ারের এক ওভারেই। আমেলিয়া কেয়ারের বিপক্ষে টানা দুটি চার মেরে ৪০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছান। কিন্তু লিয়া তাহুহুর ইন-সুইংয়ে প্যাডে লাগিয়ে ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
একদিকে এক্লেস্টোনের ইনজুরি চিন্তা বাড়াচ্ছিল, অন্যদিকে নাইট ও জোন্স ব্যাট হাতে নিশ্চিত করছিলেন জয়ের রাস্তা। নাইট ৩৩ রানে এলবিডব্লিউ হন ডিভাইনের বলে। তবে জোন্স ছিলেন অবিচল। স্কোরবোর্ডে রান জমাতে থাকেন ঠাণ্ডা মাথায়, শেষ পর্যন্ত টানা দুটি চার মেরে দলকে এনে দেন জয়ের আনন্দ। মাঠ ছাড়ার সময় নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ডিভাইনকে বিদায়ী সম্মান জানায় দুই দলের খেলোয়াড়রা।
এর আগে ম্যাচের শুরুতেই চোট পান ইংল্যান্ডের এক্লেস্টোন। সুজি বেটসের একটি শট আটকাতে গিয়ে পড়ে যান মাটিতে এবং ব্যথা পান কাঁধে। তবু নামেন বল করতে এবং মাত্র চার বলের মধ্যেই উইকেট তুলে নেন।
তবে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস এগোয়নি। কেয়ারের চারটি চারে কিছুটা আশা জাগলেও ইংল্যান্ডের স্পিনাররা দ্রুতই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ক্যাপসির দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন ম্যাডি গ্রিন, পরে শিভার-ব্রান্ট দারুণ এক অফ-কাটারে ফেরান ডিভাইনকে (২৩)।
শেষদিকে স্মিথ পুরনো বলে দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে তুলে নেন আরও দুটি উইকেট। শিভার-ব্রান্ট ও ডিনের ধারাবাহিক আঘাতে ৩৯ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে যায় কিউইরা।
শেষ পর্যন্ত, ইংল্যান্ড পেল একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জয়। যা সেমিফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মতোই। আর নিউ জিল্যান্ডের জন্য এটি ছিল এক যুগের সমাপ্তি। সোফি ডিভাইনের বিদায়ে শেষ হলো তাদের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক ল স ট ন ড ভ ইন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙার চিন্তা করে কেউ সংসার বাঁধে না: ফারিয়া
প্রায় দেড় মাস আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কয়েক দিন আগে বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে আনন্দে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা। তারপর কটাক্ষের শিকার হন শবনম ফারিয়া। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি।
শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে বিয়ে-সংসার নিয়ে বেশ কিছু উপলদ্ধি ও ভাবনার কথা ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ
সৌম্যর এত প্রশংসা করবেন না, নজর লাগবে: ফারিয়া
শবনম ফারিয়া তার পোস্ট লেখেন, “একদিন ভেঙে যাবে—এটা চিন্তা করে কেউ বিয়ে করেন না। সবাই চেষ্টা করেন, ভালোবাসা দিয়ে, ধৈর্য দিয়ে, আশা নিয়ে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে। আমরা যতই শক্তিশালী, শিক্ষিত বা সফল হই না কেন, হৃদয় সবসময় চায় আঁকড়ে ধরতে; যদি না সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা থাকে।”
একটি সম্পর্ক ভাঙার পর ঘুরে দাঁড়াতে সাহস লাগে। এ তথ্য স্মরণ করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “যারা একাধিক বিয়ে করেছেন, তারা তাদের অতীত নিয়ে গর্ব করেন না। একটি সম্পর্ক ভাঙার পর পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে প্রচণ্ড সাহস লাগে, ভালোবাসায় বিশ্বাস আর একসঙ্গে পথ চলার আশা লাগে। এটা শক্তির পরিচয়, লজ্জার নয়।”
অনুরোধ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “দয়া করে কাউকে বিচার করবেন না। গুজব ছড়াবেন না, কটু কথাও বলবেন না। আপনি জানেন না, মুখের হাসিটা ফিরিয়ে আনতে একজন মানুষ কতটা লড়াই করছেন। আপনি আপনার কথায় কোমলতা আনুন, হৃদয়ে দয়া রাখুন। কারণ জীবন আমাদের সবাইকে কোনো না কোনোভাবে নম্র করে দেয়, আর আমরা কেউই জানি না, আগামীকাল আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।”
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।
ঢাকা/শান্ত