আদালত প্রাঙ্গণে সন্তানের সামনে বাবা-মাকে মারধর, মামলা না নেওয়ায় থানায় অবস্থান
Published: 28th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদীসহ তাঁর পরিবারের চার সদস্যের ওপর হামলার ৪৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি। পরিবারটির অভিযোগ, আসামি তালিকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনের নাম থাকায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। দিনভর অপেক্ষা করেও মামলা করতে না পেরে গতকাল সোমবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার ফটকে অবস্থান নেয় পরিবারটি।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। তারা বলছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নেবে।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে বাদীর ওপর হামলা, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে২৬ অক্টোবর ২০২৫হামলার শিকার ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইসদাইর এলাকার ব্যবসায়ী ও মামলার বাদী ইরফান মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা, তাঁদের ছেলে মো.
অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপ্রার্থী। এর আগে তিনি দলটি থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। ইরফান মিয়ার দায়ের করা একটি মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত।
তবে শুরু থেকেই এ ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তাঁর দাবি, মারধরের শিকার ব্যক্তিদের তিনি চেনেন না। আদালত ও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তাঁর বিরোধী পক্ষ এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির একাধিক সদস্য ভিডিও দেখে নিশ্চিত করেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে ওই শিশুর সামনে তার বাবা-মা ও ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেনের ল ফার্মের জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম, আল-আমিন ও সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশা জড়িত। তাঁদের সরাসরি হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল রাতে ফতুল্লা থানায় গিয়ে দেখা যায়, নাকে ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা ইরফান মিয়া স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পাশেই দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৫ বছরের শিশু। দিনভর অপেক্ষার পরও থানায় মামলা না নেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় শিশুটি এগিয়ে গিয়ে মা রাজিয়া সুলতানাকে বলছিল, ‘আম্মু, পিঠে ব্যথা হচ্ছে।’ বুকে জড়িয়ে রাজিয়া সন্তানকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে রাজিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ৫ বছরের শিশুসন্তানের সামনে আমাদের এভাবে মারধর করা হবে—কল্পনাও করিনি। মারধরের সময় ভয় পেয়ে আমার ছোট এই সন্তান ট্রাকের নিচে পালিয়ে ছিল। হামলাকারীরা সেখান থেকে বের করে এনে ওর গায়ে হাত তুলেছে।’
অন্যদিকে রাজিয়ার স্বামী ইরফান মিয়া বলেন, ‘পুলিশ আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছে, সাখাওয়াত হোসেনের নাম বাদ না দিলে তারা মামলা নেবে না। আমরা বলেছি, হামলাকারীদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না, তারা সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা তাঁকে বাদ দিয়ে মামলা করব না।’
ফতুল্লা থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই হামলার ঘটনায় গত রোববার ও গতকাল সোমবার রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন ছাড়াও তাঁর ল ফার্মের জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম, আল-আমিন, বিল্লাল হোসেন এবং সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ওই অভিযোগে রাজিয়া সুলতানা উল্লেখ করেন, ইরফান মিয়া ব্যবসায়িক কারণে ইসমাইল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ২৫ লাখ টাকা পান। গত এক বছরেও ইসমাইল টাকা পরিশোধ করেননি। উল্টো টাকা চাইতে গেলে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় কয়েক মাস আগে ইরফান নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান ইসমাইলের পক্ষের আইনজীবী। গত রোববার নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলাটির হাজিরার তারিখ থাকায় বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আদালতে যান। আদালত প্রাঙ্গণে বাদীপক্ষের লোকজনকে দেখতে পেয়ে সাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে তর্ক হলে সাখাওয়াতের নির্দেশে তাঁর অনুসারী আইনজীবী ও সহকারী মিলে ইরফান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান।
আদালত প্রাঙ্গণে হামলা ও মারধরের ঘটনায় ইরফান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দায়ী করে গতকাল সোমবার ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আশরাফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। আশরাফুজ্জামান মামলার বিবাদী মো. ইসমাইলের ভাই।
আশরাফুজ্জামানের অভিযোগে বলা হয়েছে, ইরফানের দায়ের করা মামলার হাজিরা দিতে তাঁরা গত রোববার আদালতে যান। ইরফান ও তাঁর পরিবারের লোকজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ–ছয়জন মিলে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলা থেকে রক্ষা করতে গেলে তাঁদের আইনজীবীর মুহুরি হিরণকে মারধর করা হয়। হিরণকে রক্ষা করতে গেলে তাঁরা আইনজীবী খোরশেদ আলম, আল-আমিনসহ বাকিদের ওপর হামলা চালান।
এসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার কিছু খণ্ডচিত্র দেখেছি। আরও ভিডিও এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনাপ্রবাহ বোঝার চেষ্টা করছি। আদালত প্রাঙ্গণে হওয়া ঘটনাটি স্পর্শকাতর। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
মামলা থেকে সাখাওয়াত হোসেনের নাম বাদ দিতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি (সাখাওয়াত হোসেন) আমাদের কাছে অন্য আট–দশজন ব্যক্তির মতোই। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র পর ব র র ইরফ ন ম য় র আইনজ ব র সদস য র স মন আম দ র সন ত ন গতক ল ঘটন র ব যবস ব এনপ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
আপিল মঞ্জুর করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল চাইলেন জামায়াতের সেক্রেটারির আইনজীবী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ১৪ বছর আগে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে এ ব্যবস্থা পুনর্বহাল চাইলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শুনানিতে তিনি বলেছেন, পুনরুজ্জীবিত হলেও এটি মুহূর্তে কার্যকর সম্ভব নয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার শুনানিতে এ কথা বলেন আইনজীবী শিশির মনির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ চতুর্থ দিনের মতো শুনানি হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শুনানি শুরু হয়। মাঝে বিরতি দিয়ে চলে সোয়া একটা পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রাখা হয়েছে। আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়।
আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এই নির্বাচন ত্রয়োদশ সংশোধনীতে উল্লেখিত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আছে, ওই ব্যবস্থায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। এ-সংক্রান্ত সংবিধানের আগের ৫৮ অনুচ্ছেদে যে পরিস্থিতিতে পদ্ধতিটি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে, সে পরিস্থিতি আপাতত নেই। আগের যে বিধান ছিল সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে—এই সরকার গঠিত হবে। সংসদ ভেঙে গেছে আরও এক বছরের বেশি সময় আগে। বর্তমানে কোনো সংসদ নেই, তাই সংসদ ভাঙারও প্রশ্ন আসে না।
শুনানিতে শিশির মনির আরও বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর করার আইনি কোনো বিধান বাংলাদেশে নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন করার ম্যান্ডেট আছে। নতুন সংসদের সিদ্ধান্তে আগের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আগের মতো থেকে যায় অথবা জুলাই সনদে উল্লেখিত নতুন কোনো প্রক্রিয়া প্রবর্তন করা হলে সেই পদ্ধতিতে পরবর্তী সময় থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো২১ অক্টোবর ২০২৫আপিল মঞ্জুর করা উচিত, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা সমীচীন। তবে পর্যবেক্ষণ দেওয়া সমীচীন হবে না, যেহেতু বৃহত্তর সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান। জুলাই সনদ হয়েছে, আদেশ হবে, গণভোট হবে। পরবর্তী সংসদে এটি নিয়ে আলোচনা হবেমোহাম্মদ শিশির মনির, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবীতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ধারণা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অনন্য ধারণা, এটিকে কেন্দ্র করে দেশে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে পুনঃপ্রবর্তনের জন্য আজও সেই ঐকমত্য আছে। তত্ত্বাবধায়ক শাসনব্যবস্থা একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া, যেটি দেশে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আপিল মঞ্জুর করা উচিত, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা সমীচীন। তবে পর্যবেক্ষণ দেওয়া সমীচীন হবে না, যেহেতু বৃহত্তর সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান। জুলাই সনদ হয়েছে, আদেশ হবে, গণভোট হবে। পরবর্তী সংসদে—এটি নিয়ে আলোচনা হবে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ থাকা সমীচীন হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ১৪ বছর আগে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে (৪: ৩) রায় দিয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়।
আরও পড়ুনতত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ২৩ অক্টোবর ২০২৫রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির এবং বিএনপির মহাসচিবের করা রিভিউ আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিলের সঙ্গে অপর রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য যুক্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। সে অনুসারে পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের করা রিভিউসহ অপর রিভিউ আবেদন এবং বিএনপির মহাসচিবের আপিল শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। শিশির মনিরের বক্তব্য উপস্থাপনের পর নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং এ এস এম শাহরিয়ার কবির শুনানিতে অংশ নেন।
আরও পড়ুনপঞ্চদশ সংশোধনই হাসিনাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছিল: বদিউল আলম১৯ জুলাই ২০২৫