বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এক নারী ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তিন লাখ টাকা ও তিনটি মুঠোফোন লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার তালোড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে ডাকাতির ঘটনা বলে জানিয়েছে।

নিহত নারীর নাম বিমলা পোদ্দার আগরওয়ালা (৬৭)। তিনি তালোড়া বাজারের ব্যবসায়ী হিমু পোদ্দার আগরওয়ালার বড় বোন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে পাঁচ-ছয়জনের একটি ডাকাত দল তালোড়া পৌরসভার তালোড়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ী হিমু আগরওয়ালার বাড়িতে হানা দেয়। ওই সময় ডাকাতেরা বাড়িতে থাকা দুই ভাই ও তিন বোনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে তারা তিন লাখের বেশি টাকা ও তিনটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতেরা ঘরের আসবাবও তছনছ করে। বিমলা পোদ্দার আগরওয়ালা বাধা দিতে গেলে ডাকাতেরা তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী হিমু আগরওয়ালাসহ পাঁচ ভাইবোন একসঙ্গে চাল ও ভুসির ব্যবসা করতেন। তাঁরা একই বাড়িতে থাকেন। গতকাল রাতে ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগরওয় ল ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ