নারীদের একটি কমন রোগ স হলো আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা। ৪০ পেরোতে না পেরোতেই শরীরে নানা অঙ্গের ব্যথায় জর্জরিত হন নারীরা। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগ বেশি হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার ব্যথার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস বা জিন অনেকাংশ সময় দায়ী।’’
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘যেকোনো আর্থ্রাইটিসে ব্যথা থাকে। এজন্য প্রথমে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে। এরপরেও ব্যথা না কমলে অনেক সময় ডিজিজ মডিফাইং ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধের পাশাপাশি ব্যায়াম শিখিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে। অনেক সময় ওষুধ ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে আর্থ্রাইটিস ভালো হয়ে যায়।’’
আরো পড়ুন:
অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জবাই
হাত-পায়ের ব্যথা কমাতে পাঁচটি নিয়ম মেনে চলুন
সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আর্থ্রাইটের মূল কারণ জানা জরুরি। যেসব কারণে বাত ব্যথা হতে পারে জেনে নিন।
এক.
দুই. স্থিসন্ধিতে আঘাত পেলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
তিন. বাবা-মা বা বংশে কারও যদি আর্থ্রাইটিস থাকে, তাহলে পরবর্তীতে সন্তানদের আর্থ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোস্কপি অ্যান্ড জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি ইউনিট, অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আলী ফয়সাল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য রোগীর ইতিহাস ও লক্ষণ জেনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমে কোন ধরনের আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত সেটি প্রথমে শনাক্ত করতে হবে। পরবর্তীতে আর্থ্রাইটিসের প্রকারভেদ অনুযায়ী রোগীকে ওষুধ দিতে হবে।’’
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকাকেও এই ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টো রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকা) সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো।
এর আগেও কয়েক দফায় ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে একই এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার পরও কেন আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো—জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তির মেয়াদ থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত। ৩০ দিন পর নতুন করে আবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।