শেখ হাসিনার দুই ব্যাংক লকার থেকে ৯ কেজি ৭০৭ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার
Published: 26th, November 2025 GMT
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পুনঃযাচাইয়ের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নামে থাকা দুটি ব্যাংকের তিনটি লকার খুলে ৯ কেজি ৭০৭ গ্রাম (৮৩২ ভরি) স্বর্ণ উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
হাসিনাকে ফেরাতে আগের চিঠির উত্তর পাইনি, এবার পাব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা, রেহানা, টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ১ ডিসেম্বর
দুদক জানায়, দুদকের উপ-পরিচালক (বিশেষ অনু. ও তদন্ত-১) মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান দল ২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খোলার অনুমতির আবেদন করেন। আদালত একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখার একজন স্বর্ণ বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের একজন কর গোয়েন্দা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি) মনোনীত দুই কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পূবালী ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল কর্পোরেট শাখা ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির প্রিন্সিপাল শাখায় থাকা মোট তিনটি লকার খোলা হয়। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংকের লকার নম্বর ১২৮-গ্রাহক শেখ হাসিনার নামে- থেকে একটি খালি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, গ্রাহক শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের লকার (নম্বর ৭৫১/বড়/১৯৬) থেকে আনুমানিক ৪ হাজার ৯২৩ দশমিক ৬০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। একই ব্যাংকের গ্রাহক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্দিকীর নামে থাকা লকার (নম্বর ৭৫৩/বড়/২০০) থেকে পাওয়া যায় ৪ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৫৬ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার।
দুদক জানায়, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালঙ্কারসমূহ লকারে সংরক্ষিত বর্ণনা ও লিখিত চিরকুট অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের— শেখ রেহানা সিদ্দিকী, সাইমা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববি-হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ইনভেন্টরি তালিকা প্রস্তুতের পর সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকদের জিম্মায় মালামাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, ইনভেন্টরি তালিকা পর্যালোচনা, মালিকানা সুনির্দিষ্টকরণ ও স্বর্ণকারের মাধ্যমে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মালিকানা ও আইনগত দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক র খ ল স বর ণ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১০ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, সোমবার থেকে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলো উপচে পড়েছে। যার ফলে ছয়টি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, মারাত্মক ঢাল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকারী দল বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় শহর সিবোলগায় পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় অন্তত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল তাপানুলি শহরে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, একই পরিবারের কমপক্ষে চারজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শহরটিতে বন্যায় প্রায় দুই হাজার বাড়ি ও সরকারি ভবন ডুবে গেছে।
বন্যা এবং গাছ ভেঙে পড়ায় দক্ষিণ তাপানুলিতে একজন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।
মান্ডাইলিং নাটাল জেলায় একটি সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ও ৪৭০টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
নিয়াস দ্বীপে, উদ্ধারকারীরা জানান, ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলা বর্ষা মৌসুমে সাধারণত প্রবল বৃষ্টিপাত হয়, যা ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
চলতি মাসেই মধ্য জাভায় আরেকটি ভয়াবহ ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ