সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোবিজ অঙ্গনের তারকা অভিনেত্রীদের আলাদা ঢংয়ের কিছু ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। কোনো অভিনেত্রী তার হাতে লেখেছেন ‘১০০০’, কেউ লেখেছেন ‘৯৯’, কেউবা ‘২৪’। অভিনেত্রীর শরীরের কোনো স্থানে এমন সংখ্যাবাচক শব্দ লেখা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে—তারা কেন এসব সংখ্যা প্রদর্শন করছেন? 

গত ২৫ নভেম্বর অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা তার ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, তার গালে ইংরেজি হরফে লেখা ‘৯’। এ ছবির ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লেখেন, “সংখ্যা থেকে কণ্ঠে, চলুন আমাদের গল্পকে শোনাই। তোমার নম্বরের গল্প বলো, আরো জোরে আওয়াজ তোলো।” 

আরো পড়ুন:

শীতের সকালে একটু নদীতে নামলাম: ভাবনা

ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, তিশার ব্যাখ্যা

খানিকটা ব্যাখ্যা করে তিশা লেখেন, “মানুষ শুধু একটি সংখ্যা দেখবে। কিন্তু আমি সেখানে দেখি আমার সহ্য করা প্রতিটি কঠিন সময় আর অতিক্রম করা প্রতিটি বাধা। তোমার গল্পের সংখ্যা শেয়ার করো, চল একসঙ্গে ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়াই।” হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি লেখেন, আমার নাম্বার আমার গল্প। ১৬ দিনের আন্দোলন।” 

একই দিনে আশনা হাবিব ভাবনা তার একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, এ অভিনেত্রীর গালে লেখো, ‘৯৯’। ছবিটির ক্যাপশনে তিশার একই বার্তা লিখেছেন এই অভিনেত্রী। অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও তার একটি ছবি পোস্ট করেন। এ অভিনেত্রীর হাতে লেখা, ‘১০০০’। চিত্রনায়িকা দীঘিও তার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তাতে লেখা, ‘৩’।  

অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদও নিজের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, তার গালে লেখা, ‘৭২’। ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লেখেন, “তারা বললেন, “এটা তো শুধু একটা মন্তব্য, এড়িয়ে চলুন।” আমি উপেক্ষা করলাম—এক, দুই, তিনবার। কিন্তু থামেনি। সংখ্যা শুধু বাড়তেই থাকল। এটাই আমার গল্প, আর সেই গল্প শুরু হয় এই সংখ্যা দিয়ে। সংখ্যার পর সংখ্যা, তারপর কণ্ঠস্বর। এবার আমাদের কণ্ঠস্বরকে শোনাই। তোমার সংখ্যাটি শেয়ার করো, চল একসঙ্গে দাঁড়াই ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে।”

আলোচিত অভিনত্রেী রুনা খানও নিজের একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তার হাতে লেখা, “২৪”। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “২৪, এটাই আমার সংখ্যা! হ্যাঁ, আজ আমি ঠিক এতগুলো হয়রানিমূলক মন্তব্য পেয়েছি। মানুষ হয়তো শুধু একটা সংখ্যা দেখবে। কিন্তু আমি দেখি এই সংখ্যার ভেতরে থাকা সমস্ত মানসিক আঘাত, সংগ্রাম আর বিজয়কে। তোমার সংখ্যাটাও শেয়ার করো। চলো আমরা সবাই মিলে ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়াই। আন্দোলনে যোগ দাও। তোমার নম্বরের গল্প বলো, আরো জোরে আওয়াজ তোলো!”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র প স ট কর ক য পশন র গল প ফ সব ক র একট

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে নতুন তত্ত্ব কতটা বিশ্বাসযোগ্য

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চের বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর নতুন তত্ত্ব প্রস্তাব করেছেন। তাঁদের মতে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে থেইয়া নামের মঙ্গল গ্রহ আকৃতির একটি গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের পর চাঁদের জন্ম হয়েছে। সেই সংঘর্ষে থেইয়া সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে কেবল পৃথিবীর ভূত্বক ও চাঁদের মধ্যে খনিজের চিহ্ন হিসেবেই থেইয়ার প্রমাণ দেখা যায়।

পৃথিবী ও চাঁদের খনিজের অনুপাত সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে থেইয়ার রহস্যময় উৎস উন্মোচনের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী টিমো হপ জানান, গ্রহ গঠনের জন্য সংঘর্ষ হওয়া শত শত গ্রহাণুর ভ্রূণগুলোর মধ্যে থেইয়া সম্ভবত অন্যতম ছিল। থেইয়া একসময় অভ্যন্তরীণ সৌরজগতের মধ্যে একটি স্থিতিশীল কক্ষপথে ছিল। সৌরজগতের বিকাশের প্রথম ১০ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর একটি লুকানো প্রতিবেশী ছিল, যা এখন সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে। যখন থেইয়ার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়, তখন সেই আঘাতে টিকে থাকা সব উপাদান হয় পৃথিবীর মধ্যে মিশে গেছে বা চাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরজগৎ যখন গঠিত হয়, তখন বিভিন্ন উপাদানের আইসোটোপ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। তখন থেইয়া গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করেছিল। সংঘর্ষের সময় থেইয়া ও আদি-পৃথিবী একসঙ্গে মিশে গিয়ে আমাদের গ্রহ ও চাঁদের জন্ম হয়। এই তথ্য সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে পাওয়া শিলা ও অ্যাপোলো মিশনের মাধ্যমে চাঁদ থেকে আনা শিলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রহাণু থেকে লোহার আইসোটোপ পরিমাপ করেছেন। দেখা গেছে, চাঁদ ও পৃথিবীর লোহার আইসোটোপের অনুপাত একই রকম আছে। থেইয়া ও আদি-পৃথিবী এত ভালোভাবে একসঙ্গে মিশে গিয়েছিল, তাদের আর আলাদা করা সম্ভব না। তবে থেইয়ার ঠিক কতটা অংশ চাঁদে ও কতটা অংশ পৃথিবীতে মিশেছিল, তা বের করা অসম্ভব। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী হপ বলেন, আইসোটোপিক গঠনের এই সাদৃশ্য থেইয়ার প্রাথমিক গঠন সরাসরি পরিমাপ করাও অসম্ভব করে তুলছে।

যদি থেইয়া সৌরজগতের শীতল বাইরের প্রান্তে গঠিত উল্কাপিণ্ডের মতো হতো, তবে আদি-পৃথিবী সম্পূর্ণ ভিন্ন আইসোটোপের মিশ্রণ ধারণ করত। থেইয়া ও আদি-পৃথিবী উভয়ই সম্ভবত সৌরজগতের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল থেকে আসা শিলাময় অ-কার্বনেশিয়াস উল্কাপিণ্ড দিয়ে তৈরি হতে পারে। ধারণা করা হয়, থেইয়া প্রায় ১০ কোটি বছর ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছিল। এরপরে বৃহস্পতির মহাকর্ষীয় আকর্ষণ কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করে পৃথিবীর দিকে ঠেলে দেয়। এটি সূর্যের চারপাশে একটি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল কক্ষপথে ছিল।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একসঙ্গে হাজির দুই জলি, এরপর...
  • বরিশালে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ নবজাতক
  • হঠাৎ শুভ-ঐশীর একসঙ্গে রোমান্টিক ছবি পোস্ট
  • মহাকাশে কি প্রাণী আছে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৈরি হচ্ছে বিশাল টেলিস্কোপ
  • পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ পেল আইসিবি
  • চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে নতুন তত্ত্ব কতটা বিশ্বাসযোগ্য