দক্ষিণ ভারতভিত্তিক কনটেন্ট ও ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টার। 

লাইভ মিন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডিজনি+ হটস্টার এবং জিওসিনেমার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টার। আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ ভারত-কেন্দ্রিক কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমে ৪ হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১২ মাসে ১ হাজার ৫০০ ঘণ্টার নতুন প্রোগ্রামিং শিডিউল প্রকাশ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জিওহটস্টারের চিফ মার্কেটিং অফিসার সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “জিওহটস্টার তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে একটি লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষর করেছে মুখ্যমন্ত্রী এম.

কে. স্টালিনের উপস্থিতিতে। এতে দক্ষিণ থেকে প্রতিভা উন্নয়ন, পরিকাঠামো বিস্তার এবং ভবিষ্যৎ-উপযোগী সৃজনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য যৌথ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।”

“এই ভিশনের অংশ হিসেবে, সৃষ্টিশীলদের বিকাশে, প্রোডাকশন ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে জিওহটস্টার ৪ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে। গল্পের এমন একটি পাইপলাইন তৈরি করা হবে; যা ভারত ও বিশ্বের জন্য উপযোগী।” বলেন সুশান্ত শ্রীরাম।

এন্টারটেইনমেন্ট বিজনেস, সাউথ ক্লাস্টার, জিওহটস্টারের হেড কৃষ্ণান কুট্টি বলেন, “আমাদের এই তালিকায় তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও কন্নড়—সবই অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরে দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির অরিজিনালসের প্রায় ৭৫ শতাংশ জিওহটস্টার বেছে নিয়েছে। আমরা এখন ৫ শতাধিক লেখক, পরিচালক এবং নির্বাহী প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করছি। এদের অনেক প্রকল্প চলতি বছরে শুরু হবে।”

দক্ষিণ ভারতে জিওহটস্টারের প্রবৃদ্ধি দেশটির অন্যতম। সাবস্ক্রিপশন, রিটেনশন এবং কানেক্টেড টিভি গ্রহণের হিসাবে ভারতের বাকি অংশকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জিওহটস্টারের চিফ মার্কেটিং অফিসার সুশান্ত শ্রীরাম।

জিওহটস্টারের এসভিওডি (সাবস্ক্রিপশন ভিডিও-অন-ডিমান্ড) এর প্রধান সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “লঞ্চিংয়ের পর থেকে দক্ষিণী বিনোদন সারা ভারতে ৯৯.৯৬ শতাংশ পিনকোড অর্জন করেছে। বড় পর্দায় কনটেন্ট দেখার দিকেও এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে; যেখানে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ কানেক্টেড টিভিতে জিওহটস্টার দেখছেন। এটি দেশের অন্যতম প্রাথমিক ও দ্রুতবর্ধনশীল সিটিভির বাজারে পরিণত করেছে।”

দক্ষিণ ভারতীয় কনটেন্টের শক্তিশালী এনগেজমেন্টের দিক তুলে ধরে সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “দক্ষিণ ভারতের ছোট শহরের দর্শকরা আমাদের সবচেয়ে একটিভ ইউজার। তারা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় জিওহটস্টারে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করেন। এর কারণ হলো—প্রচন্ড কৌতূহল, বাছাই ও বিভিন্ন ঘরানার কনটেন্ট খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা। তাছাড়া দক্ষিণ ভারতের দর্শকরা বিভিন্ন ঘরানার কনটেন্ট দেখতে পছন্দ করেন; যা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।”

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনট ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে জিওহটস্টার

দক্ষিণ ভারতভিত্তিক কনটেন্ট ও ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টার। 

লাইভ মিন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডিজনি+ হটস্টার এবং জিওসিনেমার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টার। আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ ভারত-কেন্দ্রিক কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটর ইকোসিস্টেমে ৪ হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১২ মাসে ১ হাজার ৫০০ ঘণ্টার নতুন প্রোগ্রামিং শিডিউল প্রকাশ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জিওহটস্টারের চিফ মার্কেটিং অফিসার সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “জিওহটস্টার তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে একটি লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষর করেছে মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্টালিনের উপস্থিতিতে। এতে দক্ষিণ থেকে প্রতিভা উন্নয়ন, পরিকাঠামো বিস্তার এবং ভবিষ্যৎ-উপযোগী সৃজনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য যৌথ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।”

“এই ভিশনের অংশ হিসেবে, সৃষ্টিশীলদের বিকাশে, প্রোডাকশন ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে জিওহটস্টার ৪ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে। গল্পের এমন একটি পাইপলাইন তৈরি করা হবে; যা ভারত ও বিশ্বের জন্য উপযোগী।” বলেন সুশান্ত শ্রীরাম।

এন্টারটেইনমেন্ট বিজনেস, সাউথ ক্লাস্টার, জিওহটস্টারের হেড কৃষ্ণান কুট্টি বলেন, “আমাদের এই তালিকায় তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও কন্নড়—সবই অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরে দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির অরিজিনালসের প্রায় ৭৫ শতাংশ জিওহটস্টার বেছে নিয়েছে। আমরা এখন ৫ শতাধিক লেখক, পরিচালক এবং নির্বাহী প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করছি। এদের অনেক প্রকল্প চলতি বছরে শুরু হবে।”

দক্ষিণ ভারতে জিওহটস্টারের প্রবৃদ্ধি দেশটির অন্যতম। সাবস্ক্রিপশন, রিটেনশন এবং কানেক্টেড টিভি গ্রহণের হিসাবে ভারতের বাকি অংশকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জিওহটস্টারের চিফ মার্কেটিং অফিসার সুশান্ত শ্রীরাম।

জিওহটস্টারের এসভিওডি (সাবস্ক্রিপশন ভিডিও-অন-ডিমান্ড) এর প্রধান সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “লঞ্চিংয়ের পর থেকে দক্ষিণী বিনোদন সারা ভারতে ৯৯.৯৬ শতাংশ পিনকোড অর্জন করেছে। বড় পর্দায় কনটেন্ট দেখার দিকেও এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে; যেখানে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ কানেক্টেড টিভিতে জিওহটস্টার দেখছেন। এটি দেশের অন্যতম প্রাথমিক ও দ্রুতবর্ধনশীল সিটিভির বাজারে পরিণত করেছে।”

দক্ষিণ ভারতীয় কনটেন্টের শক্তিশালী এনগেজমেন্টের দিক তুলে ধরে সুশান্ত শ্রীরাম বলেন, “দক্ষিণ ভারতের ছোট শহরের দর্শকরা আমাদের সবচেয়ে একটিভ ইউজার। তারা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় জিওহটস্টারে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করেন। এর কারণ হলো—প্রচন্ড কৌতূহল, বাছাই ও বিভিন্ন ঘরানার কনটেন্ট খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা। তাছাড়া দক্ষিণ ভারতের দর্শকরা বিভিন্ন ঘরানার কনটেন্ট দেখতে পছন্দ করেন; যা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ