সৌদি আরব কেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে না, অন্যান্য মুসলিম দেশের অবস্থান কী
Published: 28th, November 2025 GMT
চলতি মাসে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক শ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিও করেন।
কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমান এমন এক ঘোষণা দিতে অস্বীকৃতি জানান; যা ট্রাম্পসহ আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও সব সময় চেয়ে এসেছেন। সেটি হলো, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক।
ট্রাম্পের মেয়াদকালে ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন (সেপ্টেম্বর ২০২০), মরক্কো (ডিসেম্বর ২০২০) এবং সুদানের (জানুয়ারি ২০২১) সঙ্গে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে সই করে। এটি ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে দূতাবাস খোলার সুযোগ দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করে।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারত্ব, গাজা-পশ্চিম তীর-জেরুজালেমে বর্বর দমননীতি এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন ইসরায়েলকে বহুদিন ধরে একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছে। তাই এমন একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে ‘স্বাভাবিক’ সম্পর্ক কীভাবে সম্ভব—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।কিন্তু এর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা শুরু করে, লেবাননে হামলা চালায়। ইয়েমেন, ইরান, সিরিয়া ও কাতারেও হামলা চালায়। এতে পুরো অঞ্চলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যেসব আরব দেশ ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে তারা বিপাকে পড়ে, আর যারা নতুন চুক্তি করার কথা ভাবছিল, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে থাকে।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পূর্বাঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকাটা ইতিবাচক। আমরাও আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের অংশ হতে চাই। কিন্তু দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের (ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকটে) সুস্পষ্ট পথ নিশ্চিত হওয়াও দেখতে চাই।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের উপস্থিতিতে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে হাত মেলাচ্ছেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ও ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন। ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরব কেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে না, অন্যান্য মুসলিম দেশের অবস্থান কী
চলতি মাসে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক শ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিও করেন।
কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমান এমন এক ঘোষণা দিতে অস্বীকৃতি জানান; যা ট্রাম্পসহ আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও সব সময় চেয়ে এসেছেন। সেটি হলো, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে পূর্ণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক।
ট্রাম্পের মেয়াদকালে ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন (সেপ্টেম্বর ২০২০), মরক্কো (ডিসেম্বর ২০২০) এবং সুদানের (জানুয়ারি ২০২১) সঙ্গে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে সই করে। এটি ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে দূতাবাস খোলার সুযোগ দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করে।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারত্ব, গাজা-পশ্চিম তীর-জেরুজালেমে বর্বর দমননীতি এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন ইসরায়েলকে বহুদিন ধরে একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছে। তাই এমন একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে ‘স্বাভাবিক’ সম্পর্ক কীভাবে সম্ভব—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।কিন্তু এর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা শুরু করে, লেবাননে হামলা চালায়। ইয়েমেন, ইরান, সিরিয়া ও কাতারেও হামলা চালায়। এতে পুরো অঞ্চলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যেসব আরব দেশ ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে তারা বিপাকে পড়ে, আর যারা নতুন চুক্তি করার কথা ভাবছিল, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে থাকে।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পূর্বাঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকাটা ইতিবাচক। আমরাও আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের অংশ হতে চাই। কিন্তু দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের (ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকটে) সুস্পষ্ট পথ নিশ্চিত হওয়াও দেখতে চাই।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের উপস্থিতিতে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে হাত মেলাচ্ছেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ও ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন। ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮