Prothomalo:
2025-11-28@02:10:15 GMT

শীতের সবজি এলেও দাম বাড়তি

Published: 28th, November 2025 GMT

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আখতার হোসেন। সবজি বিক্রেতা তাঁর কাছে প্রতিটি ফুলকপির দাম চান ৬০ টাকা। এ নিয়ে এক মিনিট দর-কষাকষির পর ৫০ টাকা দরে দুটি ফুলকপি কেনেন আখতার।

পরে প্রথম আলোকে আখতার হোসেন বলেন, ‘গত বছর এই সময়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি কিনেছিলাম ৩০-৪০ টাকা দরে। শীত মৌসুম হিসেবে এখন তো দাম আরও কম থাকার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি দাম প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।’

বাজারে এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শালগম, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। দিন দিন সবজির সরবরাহও বাড়ছে। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সবজির দাম এখনো বেশি। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে উৎপাদন এলাকাতেই সবজির দাম বেশি। কারণ, কৃষকেরা আগাম চাষ করা নতুন সবজির ভালো দাম পাচ্ছেন। এ ছাড়া গত অক্টোবর মাসে বৃষ্টির কারণে কৃষকদের কিছু সবজি নষ্ট হয়েছিল। ফলে এখন বেশি দামে বিক্রি করে সেই আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। এসব কারণে ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারেও সবজির দাম বেশি।

ঢাকার তিনটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি শিম ও বেগুন ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত শীতের শুরুতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, শিম ৪০-৬০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসে।

বর্তমানে প্রতি কেজি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ, করলা ও বরবটি ১০০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৮০ টাকা, পটোল ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এসব সবজির দামও তুলনামূলক বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।

বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০-১২০ টাকা। এক মাস ধরে এ দামেই খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে পণ্যটি আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন আমদানিকারকেরা। তবে গত বুধবার সচিবালয়ে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।

বর্তমানে দেশি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। এ বছর দীর্ঘ সময় ১৮-২০ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়েছে। মাসখানেক হয় আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এরই মধ্যে বাজারে স্বল্প পরিমাণে আগাম নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। এসব আলুর দাম অবশ্য বেশি; কেজি ১৪০-১৬০ টাকা।

অবশ্য বাজারে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা ও প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবজ র দ ম ৬০ ট ক গতক ল ফ লকপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুটির হাহাকার, তাওহীদের আর্তনাদ

‘একটা বড় জুটি হলেই হতো’ - বারবার তাওহীদ হৃদয় এই কথাটাই বোঝাতে চাচ্ছিলেন একাধিক প্রশ্নে। ১৮২ রানের লক্ষ‌্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে ম‌্যাচ হারের পর দলের সেরা ব‌্যাটসম‌্যান বোঝাতে চাইলেন, ‘একটা বড় জুটি হলেই খেলাটা অন‌্যরকম হতে পারত।’ 

শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া তাওহীদ ৫০ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি তার ক‌্যারিয়ার সেরা। তবে, দিন শেষে হাসিটা মুখে রাখতে পারেননি ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। স্কোরবোর্ড, উইকেট, লক্ষ‌্য, শিশির, কোনো কিছুই বাংলাদেশের জন‌্য জটিল ছিল না। কিন্তু শীর্ষে থাকা ৪ ব‌্যাটসম‌্যান ম‌্যাচকে উপহার দিয়ে আসেন আয়ারল‌্যান্ডকে। 

আরো পড়ুন:

খই খই এখন দ্যুতি ছড়াচ্ছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে

দারুণ জয়ে ক্রিকেট কার্নিভালের কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়ালটন

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশের ৪ ব‌্যাটসম‌্যান সাজঘরে। রান মাত্র ২০। প্রথম বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ২৮তম বল পর্যন্ত। এমন হতশ্রী শুরুর পর জয়ের আশা করা কঠিন। তবুও তাওহীদ চেষ্টা চালিয়ে যান। 

ম‌্যাচ নিয়ে তাওহীদের মূল‌্যায়ন, ‘‘যদি আমাদের একটা বড় পার্টনারশিপ হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো। আমরা বেশি রানে, বেশি ব্যবধানে হারিনি। একটা পার্টনারশিপ, আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা পার্টনারশিপ ৭০-৮০ পার্টনারশিপ হতো, তাহলে হয়তোবা অন্যরকম একটা সিনারিও হতে পারতো।’’ 

পঞ্চম উইকেটে জাকের ও তাওহীদ দলের হাল ধরেন। তাওহীদ নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে পারলেও জাকের সময় নিয়েছেন। পরে তা পুষিয়ে দিতে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে শট খেলেন। তাতেই ডেকে আনেন বিপদ। ৩৪ বলে ৪৮ রান আসে তাদের জুটিতে। এছাড়া, নবম উইকেটে শরিফুল ও তাওহীদের জুটি আছে সমান ৪৮ রান। ক‌্যারিয়ারের সপ্তম টি-টোয়েন্টি ফিফটির ইনিংসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি তাওহীদ। তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে তার। 

তবে দলের পরাজয়ের পেছনে তার মাথায় কেবল ঘুরছে, একটি বড় জুটি না আক্ষেপ, ‘‘অবশ্যই উইকেট অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের কোনো এখানে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের এক্সিকিউশনটা ভালো করতে পারিনি। আর্লি কিছু উইকেট পড়েছে। যখন আমরা খেলাটা ধরেছিলাম, আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই সময় যদি আরেকটু খেলাটা টেনে নেওয়া যেত তাহলে ভালো হতো।”

স্কোরবোর্ড যতই বড় হোক, প্রতিপক্ষ যতই কঠিন হোক নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা বললেন তাওহীদ, ‘‘আমাদের নিজেদের উপরে সেই বিশ্বাসটা রাখতে হবে এবং আমরা অবশ্যই সবাই জিততে চাই। এক্সিকিউশন হচ্ছে না। এজন‌্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’’

গতকাল টপ অর্ডারের ব‌্যাটিং ভালো যায়নি। মিডল অর্ডারেও রয়েছে জটিলতা। তাওহীদ উন্নতির ‍উপর জোর দেওয়ার কথা বললেন, ‘‘শুধু মিডল অর্ডার না। শুধু টপ টু বটম সব জায়গায় উন্নতির জায়গা আছে আমাদের। যখন ইম্প্রুভমেন্টটা হবে, তখন আমরা ভালো কিছু করব।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ