2025-08-01@02:59:02 GMT
إجمالي نتائج البحث: 8
«বন আইন»:
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, যার বেশির ভাগ ঘটছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে উপকূলীয় বন আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বন সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নানা কর্মকাণ্ডে এ বন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।আজ সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ইভেন্ট অন কোস্টাল ফরেস্ট কো ম্যানেজমেন্ট ফর ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন অ্যান্ড এসডিএসএস টুল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তারা, আইনবিদ, পরিবেশকর্মী ও উপকূলীয় অধিবাসীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকির প্রথম সারিতে রয়েছে। এর মধ্যে নানা ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলা করছি আমরা।’ এ সংকট মোকাবিলায় উপকূলীয় বন রক্ষার কোনো বিকল্প...
উপকূলীয় বনসহ দেশের সব ধরনের বনভূমি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের স্বার্থে সরকারের প্রণীত বিভিন্ন আইন, নীতিমালা ও পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে একটি নীতিগত প্রস্তাবনার খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশে বনভূমি শুধু পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় নয়– মানুষের জীবিকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বিদ্যমান আইনি কাঠামোর সংস্কার ও যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন সময়ের দাবি। এই লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে কর্মশালার আয়োজন করে বেলা। ‘ব্লু ইকোনমি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালায় সহযোগিতা করে অক্সফ্যাম বাংলাদেশ, কোডেক ও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স (বিটিএস)। বেলার প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম বলেন, বন আইন ১৯২৭-এ ‘বন’ বলতে কী বোঝায়, তার কোনো সুস্পষ্ট সংজ্ঞা নেই। এমনকি বন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও দায়িত্ব...
বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে মুম্বাই পৌর কর্তৃপক্ষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা বেআইনি নির্মাণ করছেন বা পুরোনো ভবন সংস্কারের ক্ষেত্রে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই তালিকায় কঙ্গনা রনৌত থেকে অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী বাদ যাননি কেউই। এবার একই অভিযোগ বলিউড কিং শাহরুখ খানের দিকে। মুম্বাইয়ে শাহরুখ খানের বিলাসবহুল বাংলো ‘মান্নাত’-এ সংস্কার কাজ চলছে মাস কয়েক ধরেই। পরিবারসহ অন্যত্র উঠে গিয়ে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছেন বলিউডের বাদশাহ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মান্নাতে নাকি অবৈধভাবে নির্মাণকাজ চলছে। সত্যিই কি তা-ই? অনেক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। বিষয়টির জের ধরে শুক্রবার পরিবেশ দপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষ যান ‘মান্নাত’ পরিদর্শনে। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পরিবেশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে...
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালি বাজার হয়ে ডানে তিন কিলোমিটার পথ পেরোলেই মধুশিয়া গর্জন বন। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খুটাখালি খালের স্বচ্ছ জলের ধারা। দূর থেকে গর্জনগাছের সারি মুগ্ধতা ছড়ালেও কাছে গেলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। গাছের গোড়া থেকে সরে গেছে মাটি। যেকোনো সময় ধসে পড়বে এসব গাছ। এতে মধুশিয়া গর্জন বন এখন হুমকির মুখে।স্থানীয় লোকজন বলছেন, বালু উত্তোলনের কারণে গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে গর্জন বনটি।কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালি ইউনিয়নে পড়েছে খুটাখালি খাল। এটি সংরক্ষিত বনভূমির পাশে অবস্থিত। ইউনিয়নের হরিখোলা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আলী লিটন, সাইফুলসহ ৫০ জনের একটি সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে। খালে বালু নেই, তাঁরা মূলত ইজারা নিয়ে বনের বালু তোলেন। এভাবে বালু তোলায় বনভূমি বিলীন...
হাতি হত্যার বিচারে বন অধিদপ্তরের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ বন্য প্রাণী আইনে তাদের সে ক্ষমতা আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি সে আইন প্রয়োগ না করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে দায় সারছে। এদিকে প্রতিবছরই হাতি হত্যার ঘটনা ঘটছে। গত ৯ বছরে ১৪৬টি হাতি মারা যাওয়ার ঘটনায় বন আদালতে মাত্র ২০টি মামলা করেছে অধিদপ্তর।বন বিভাগের তথ্য বলছে, গত ৯ বছরে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১১৪টি হাতি মারা গেছে; কিন্তু বন আদালতে মামলা হয়েছে মাত্র ১৯টি। আর থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে ৭৫টি। একই সময়ে নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুরে ৩২টি হাতি হত্যার শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে মাত্র সাতটি। থানায় মামলা হয়েছে একটি আর বন আদালতে মামলা হয়েছে একটি।পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, হাতি হত্যার ঘটনায় যে ময়নাতদন্ত হয়, সেখানে প্রকৃত...
বনের জমি বরাদ্দের অর্থ এটিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করা। তবে বর্তমান সরকার সব প্রতিরোধ উপেক্ষা করে বন উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া বনভূমির বরাদ্দ বাতিল করা হচ্ছে। অবৈধ দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা, যেটুকু বনভূমি আমাদের হাতে আছে, তা যেন কোনোভাবেই না কমে। আসলে বনভূমি উন্নয়নকাজে দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। দিলে সরকারপ্রধানের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু কোনো একক ব্যক্তির অনুমতির ওপর এটি নির্ভর করলে, রাজনৈতিক প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে কোথাও জমি না মিললে বনই ভরসা। ভাবখানা এমন, বনের জমি খালি খালি পড়ে আছে। কিন্তু একটি নগরী কিংবা একটা দেশে রাস্তা যেমন প্রয়োজন, নদী যেমন দরকার; বনও সমান প্রয়োজনীয়। সরকার এখন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাহলো বড় বড় যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বনভূমি দেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে এনে...
অনলাইনে পরিযায়ী পাখির মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লাইভ করা সেই দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মৌলভীবাজারের সদর বন কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে সোমবার সুনামগঞ্জ বন আদালতে এ মামলা করেন। সুনামগঞ্জ বন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের নাজির এনামুল হক জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ বন আদালতে এটিই প্রথম অতিথি পাখি হত্যা মামলা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল (বুধবার) এ মামলার বিষয়ে আদালত নির্দেশনা দেবেন। মামলার বাদী গোলাম সারোয়ার বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ২০১২-এর ৩৮ (২) ধারায় তিনি এ মামলা করেছেন। একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও অন্যান্য পাখি শিকারি ও বিক্রয়কারীর তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন তারা। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাদী আদালতকে জানিয়েছেন,...
অনলাইনে পরিযায়ী পাখির মাংস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লাইভ করায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের সদর বন কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ বন আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের নাজির এনামুল হক জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ বন আদালতে এটি-ই প্রথম পাখি হত্যার মামলা। বন আদালতের বিচারক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বুধবার মামলার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বিচারক। মামলার বাদী গোলাম সারোয়ার জানান, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ২০১২’এর ৩৮’এর দুই ধারায় তিনি এই মামলা করেছেন। মামলায় তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, অবৈধভাবে অতিথি পাখি শিকার করে নিজের দখলে রেখেছেন তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। পরে অনলাইনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ‘হাওরপাড়ের মানুষ’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়া...