2025-11-02@17:13:35 GMT
إجمالي نتائج البحث: 49

«শ সনব যবস থ য»:

    বিএনপি দল হিসেবে ‘সবচেয়ে আগে সংস্কারের কথা বলেছে’ উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে একটা অত্যন্ত পরিকল্পিত প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না। বিএনপি সংস্কারের বিরোধী।’ প্রবাসে বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছে, কাজ শুরু করেছে এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কারের শুরুটা কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) হাত দিয়েই। তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থায় গিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় গিয়েছিলেন।...
    একটি ঘোষণা, আকস্মিক আক্রমণ—তারপর গল্প আর একমুহূর্তও থামে না। আক্ষরিক অর্থেই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’, অর্থাৎ একের পর এক যুদ্ধ। প্রথম আধঘণ্টার এক বিপ্লবী লড়াইয়ের প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে বাকি সময়জুড়ে। অপহরণ, পালানো, ধাওয়া আর দিশাহারা এক বাবার মেয়েকে খুঁজে বেড়ানোর গল্পে পুরো সময়ে বুঁদ হয়ে থাকেন দর্শক। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে, কিন্তু কোথাও কোনো কিছু বাড়তি মনে হয় না; বরং তিন ঘণ্টার বিস্তৃত এ সিনেমা পুরোটাই ডার্ক হিউমারে ভরপুর এক উপভোগ্য জার্নি হয়ে ওঠে।একনজরেসিনেমা: ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’ধরণ : অ্যাকশন-থ্রিলারনির্মাতা: পল টমাস অ্যান্ডারসনঅভিনয়ে: লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, টেয়ানা টেইলর, শন পেন, বেনিসিও দেল তোরো, রেজিনা হলরান টাইম: ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট১৯৯০ সালে প্রকাশিত টমাস পিনচনের উপন্যাস ‘ভাইনল্যান্ড’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন পল টমাস...
    ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাব সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক ঘটনা। এই রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের শুরু হয়েছিল সে বছরের গোড়ার দিক থেকে। এর মধ্য দিয়ে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকরা দীর্ঘদিনের জার শাসনকে উচ্ছেদ করে নতুন শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলে। লেনিনের অনুসারী বলশেভিকদের এই বিপ্লব খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন মার্কিন সাংবাদিক জন রিড। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি লিখেছিলেন, ‘দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন’।এই বিপ্লবের পর রাশিয়ায় গড়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। ১৯২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর গঠিত হয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়ন—সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল দুই মেরুর আদর্শিক বিশ্বের পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থা আর সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। সেই সময় থেকে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন অবধি বলশেভিক বিপ্লবের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও মতাদর্শগত দাপট ছিল বিশ্বজুড়ে।বিপ্লবের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল যেভাবেকৃষক অসন্তোষ: রুশ কৃষকেরা বিশ্বাস করতেন,...
    আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে, নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায়; সেই জন্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২৪-এর পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আরো পড়ুন: এ মাসেই ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন সাংবাদিক হেনস্তা: একজনকে শাস্তি দিল বিএনপি সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি একটি দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়। যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের বিরোধিতা করছে। তাদের থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না।’’  তিনি আরো বলেন, ‘‘এখন দরকার অতি দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটা...
    সংস্কারের উদ্যোগে দেশে আলোচনায় এখন গণভোট। ইংরেজি ‘রেফারেন্ডাম’–এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘গণভোট’। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণ সরাসরি ভোট দেওয়ার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের মতামত দেয়। এটি মূলত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সংবিধান সংশোধন, আইন তৈরি, রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা, এমনকি শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেও গণভোটের আয়োজন করা হয়। ব্যালটে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে গণভোট নেওয়া হয়।বাংলাদেশে গণভোটের ইতিহাস ১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় গণভোটের সংবাদ প্রকাশিত হয়
    দেশজুড়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনার পারদ চড়ছে ‘গণভোট’ নিয়ে। পত্রপত্রিকায় গণভোট কবে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো কে কীভাবে দেখছে, তা নিয়ে মেতে আছে। কিন্তু যাঁরা এই গণভোট দেবেন, সেই বাংলাদেশের মালিকেরা কি জানেন ‘গণভোটের বিষয়বস্তু’ কী? বিষয়টি বোঝার জন্য মঙ্গলবার দেশে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললাম। জেলা শহরের বাইরে থাকা মফস্‌সলের একজন সাংবাদিক, একজন শিক্ষক, একজন ভ্যানচালক আর একজন কলেজশিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করলাম, ‘সরকারের ঐকমত্য কমিশন ভবিষ্যতে “গণভোট” আয়োজন করতে যাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনারা কিছু জানেন?’ উত্তরে স্থানীয় সাংবাদিক বললেন, ‘জুলাই সনদকে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার জন্য এই ভোট।’ আমি তখন পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘জুলাই সনদে তো অনেক বিষয়বস্তু আছে, ঠিক কোন বিষয়গুলো আপনি জানেন, যার জন্য এই গণভোট?’ এরপর তিনি বললেন, ‘আমি ঠিক সেইভাবে ডিটেলস জানি না।’স্কুলশিক্ষক বললেন, ‘টেলিভিশনের খবরে দেখলাম, গণভোট হবে।...
    দুই দশকের বেশি সময় আগে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের আগে, আমিসহ যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত একদল আন্তর্জাতিক আইনবিদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেখানে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে যুদ্ধটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বৈধ হবে না।গাজার ওপর একটি আন্তর্জাতিক ট্রাস্টি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে আবারও আরেকটি বৈশ্বিক অভিযানের জন্য বেআইনি বিষয়ে সতর্কবার্তা প্রয়োজন। এতে একই ব্যক্তিকে আবারও দেখা যাচ্ছে; এবার প্রস্তাবিত পরিকল্পনার সম্ভাব্য নেতা হিসেবে—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে।গাজার ওপর এই ট্রাস্টি শাসনব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করবে ইসরায়েলের অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের দখলদারত্বকে, যা তার আচরণে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বর্ণবাদী বৈষম্য, নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধ আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা।আন্তর্জাতিক আইনের এই নিয়মগুলোর কেন্দ্রে রয়েছে ‘ট্রাস্টি–শিপ’। ‘ট্রাস্টি’ কর্তৃক আধিপত্য হবে নিঃস্বার্থভাবে, এর ‘বেনিফিশিয়ারি’ হবে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ। এখানে...
    প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের মতো ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম স্বাক্ষরিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য' শীর্ষক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরো পড়ুন: ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের জবাব দিল প্রশাসন বিভাগটির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অতিমাত্রায় দুনিয়ামুখী প্রবণতা থেকে পরিত্রাণ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন সাধনে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বক্ষেত্রে ধর্ম ও নৈতিকতা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে; পরস্পরকে জানা, বোঝা এবং নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে জানতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলামসহ সব ধর্মকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; প্রাথমিক...
    অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে উঠেছে নেদারল্যান্ডস। রাজধানী দ্য হেগে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন অভিবাসনবিরোধী দাবিতে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও পানিকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দ্য হেগে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পাথর-বোতল ছোড়েন। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। অভিবাসন নীতি কঠোর করার দাবিতে ডানপন্থি কর্মীদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছিল। আরো পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান, আটক ৭ জন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কোফ বিক্ষোভে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে খোলাচিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য খাত–সংশ্লিষ্ট ছয় বিশিষ্টজন। চিঠিতে তাঁরা স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ খোলাচিঠি দেন বিশিষ্টজনেরা। খোলাচিঠিতে ছয় বিশিষ্টজন বলেন, ‘ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বের যে গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তা শুধু প্রশাসনিক নয়, গভীর নৈতিক দায়ও বহন করে।’ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের শাসনব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।‘স্বাস্থ্য খাত কোনো একক মন্ত্রণালয় বা সেবার সীমায় আবদ্ধ নয়’ বলে উল্লেখ করা হয় খোলাচিঠিতে। সেখানে বলা হয়, ‘এটি জাতীয় উন্নয়নের মূল স্তম্ভ, যা মানবসম্পদের বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সম–অধিকারের মূল ভিত্তি গঠন করে। একটি কার্যকর, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছাড়া...
    ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে বিপুল পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৫ শিশুসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে যুদ্ধের এই পর্যায়ে রাশিয়ার এতটা ব্যাপক হামলাকে ‘অতিশয় বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া যা করছে, আমি মনে করি, তা অতিশয় বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা সত্যিই জঘন্য।’ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন।গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় গ্রহণ করেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন ট্রাম্প। এরপর স্টিভ উইটকফ বেশ কয়েকবার মস্কো সফর করেছেন। সফরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তখন ইউক্রেনে হামলা কমিয়েছিল রাশিয়া।কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি যুদ্ধ শেষ করতে...
    ২৯ জুলাই ১৮৮৩, ইতালির এক নিভৃত গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন এমন একজন, যাঁর নাম একসময় সারা ইউরোপের রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বেনিতো মুসোলিনি শুধু ইতালিরই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, ফ্যাসিবাদ নামের এক ভয়াল রাজনৈতিক মতবাদের প্রথম রাষ্ট্রীয় রূপদাতা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।বিংশ শতাব্দীর শুরুর উত্তাল সময় মুসোলিনি ইউরোপীয় রাজনীতির এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত চরিত্রে পরিণত হন। যুদ্ধ, একনায়কতন্ত্র, দমন–পীড়ন আর জাতীয়তাবাদে মোড়া তাঁর শাসনব্যবস্থা ইতালিকে যেমন এক নতুন মোড়ে দাঁড় করিয়েছিল, তেমনই বিশ্বরাজনীতিতে এক ভয়ংকর দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছিল।ইতালির ছোট্ট শহর প্রেদাপ্পিওতে জন্ম নেওয়া এ মানুষটির জন্মদিনে ফিরে দেখা জরুরি, কীভাবে একজন শিক্ষক হয়ে উঠেছিলেন ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর একনায়ক। তাঁর উত্থান–পতনের গল্প শুধু এক ব্যক্তির নয়, একটি গোটা সমাজ তথা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিবর্তনেরই কাহিনি।কৃষকের ঘর থেকে রাজনীতির কেন্দ্রেবেনিতো আমিলকারে আন্দ্রেয়া মুসোলিনি জন্ম নিয়েছিলেন...
    বাংলাদেশের স্থানীয় শাসনব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। এ প্রতিবেদনে প্রাসঙ্গিক অনেক বিষয় আলোচনা করা হলেও এ লেখায় আমি মূলত স্থানীয় শাসনব্যবস্থায়, বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংঘবদ্ধ নাগরিকদের ভূমিকা নিয়ে কী বলা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করব। একই সঙ্গে স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় সংঘবদ্ধ নাগরিকদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে ধারণাগত যুক্তি তুলে ধরব।কমিশন রিপোর্টে নাগরিকদের উল্লেখ ও ভূমিকা: সংখ্যাতাত্ত্বিক চিত্র ও আমাদের পর্যবেক্ষণকমিশনের প্রায় তিন লাখ শব্দের এ প্রতিবেদনে নাগরিককেন্দ্রিক শব্দের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। ‘ওয়ার্ড সভা’ (যা একটি ওয়ার্ডভিত্তিক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম) মাত্র দুটি স্থানে চার-পাঁচটি শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে ওয়ার্ড সভা ব্যবস্থায় জনগণের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই। নাগরিকদের ব্যক্তি বা সামষ্টিক ‘জবাবদিহি’ শব্দটি চার-পাঁচবার...
    দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি হতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একমত। এ কথা বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১১তম দিনের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। আমরা একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ করা না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি। এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যাতে এ দেশে আবার কোনোভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা তৈরি না হয়, সেটি নিশ্চিত করা—এই লক্ষ্যগুলোর ব্যাপারে, উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।’আজকের আলোচনায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, জরুরি...
    কারবালার ঘটনা মুসলিম ইতিহাসের একটি হৃদয়বিদারক অধ্যায়। ৬১ হিজরির মহররম মাসের আশুরার দিনে সংঘটিত এ ঘটনায় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রা.)–সহ আহলে বাইতের ২৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/৩৫৩)এ নিবন্ধে কারবালার প্রেক্ষাপট, ঘটনাপ্রবাহ এবং পরবর্তী ঘটনাবলি ইতিহাসের আলোকে সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।তিনি বাইয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন, যা ইতিহাসবিদদের মতে তার প্রথম রাজনৈতিক ভুল ছিল।ঘটনার প্রেক্ষাপট ৫৬ হিজরিতে আমির মুয়াবিয়া (রা.) তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী শাসক হিসেবে মনোনীত করেন এবং তার পক্ষে বাইয়াত গ্রহণ শুরু করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৬১)তবে হোসাইন ইবনে আলি (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.), আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন, অন্যদের বাইয়াতে বাধাও...
    ইসরায়েল টানা ১১ দিন ধরে ইরানে বোমাবর্ষণ চালাল। কিন্তু এরপর কী হলো? প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বললেন, ‘ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’ কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এ দাবি নিছকই প্রোপাগান্ডা। এই স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধের শুরুতে নেতানিয়াহু দুটি প্রধান লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন– ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা এবং শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো। প্রথম প্রশ্ন– ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কি ধ্বংস হয়েছে? সম্ভবত না। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরান ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে বিভাজনযোগ্য পদার্থ সরিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ এটাই ছিল কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে একে ‘ধ্বংস’ বলা চলে না। ইসরায়েল কী ধরনের ক্ষতি করতে পেরেছে, সেটাও স্পষ্ট নয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করিয়ে ইরানের স্থাপনায় ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি) নামের ‘বাঙ্কার ধ্বংসকারী’ বোমা ব্যবহার করালেও, এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র তেমন কিছু করেনি।...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চান না। একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তিনি দেখতে চান না। বুধবার (২৫ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটা চাই না। আমি চাই সবকিছু যত দ্রুত সম্ভব শান্ত হোক। রেজিম চেঞ্জ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আর আদর্শগতভাবে, আমরা অতটা বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। দেখা যাক কী হয়।” এর আগে গত ২২ জুন ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ইরানের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন।  সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “যদি বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থা ‘ইরানকে আবার মহান করার’ মতো কিছু না করতে...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চান না। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু শান্ত দেখতে চান। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলছেন। ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না। যদি থাকে, তাহলে ছিল, কিন্তু না, আমি তা চাই না। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু শান্ত দেখতে চাই।” আরো পড়ুন: ইরান আর কখনো পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে পারবে না: ট্রাম্প ইরানের হামলার আগে কাতারের ঘাঁটি থেকে সৌদিতে যুদ্ধবিমান ও রসদ সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প আরো বলেন, “শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হলে বিশৃঙ্খলা হয় এবং আদর্শভাবে আমরা এত বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।” এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া...
    ‘এক বিপজ্জনক ও আগ্রাসী শাসনব্যবস্থা ভেঙে একটি জাতিকে মুক্ত করার আরও বড় সক্ষমতা আছে আজ আমাদের। বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সহিংসতা না চালিয়েই নতুন কৌশল ও নির্ভুল অস্ত্রের মাধ্যমে আমরা সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।’কথাগুলো শুনে মনে হতে পারে যে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করার পর গতকালই যেন এটি বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়।২০০৩ সালের ১ মে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। সে সময় তিনি ইরাকে বড় আকারের সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন।এখন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে, তখন পশ্চিমা নেতারা এমন সব কথা বলছেন, যা ইরাক যুদ্ধ উসকে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে ভীষণভাবে মিলে যাচ্ছে।ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র সেই...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ‘সরকার পরিবর্তন’-এর ইঙ্গিত দিলেও বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটাই জটিল। এমনকি এর ফলাফলও ওয়াশিংটনের কল্পনার মতো নাও হতে পারে। সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিশ্লেষণে এ কথা বলা হয়েছে। সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন- ইরানে সরকার পতন হলেও এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইসরায়েলপন্থি প্রশাসনের গঠন কোনোভাবেই নিশ্চিত নয়। বরং এমন চরমপন্থি নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসতে পারে যারা আমেরিকা ও ইসরায়েলের হামলার জবাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরির পথেও এগোতে পারে। তাদের মতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত হলে তাকে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হলেও পুরো শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। যা ইরানকে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে। এর ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার ঢেউ তুলতে পারে। কোয়িনসি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সহ-সভাপতি...
    ইরানে রেজিম চেঞ্জ (শাসন ব্যবস্থায় বদল) চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অনেকে তার সুরে কথা বলছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় খামেনি তার উত্তরসূরিদের মনোনয়ন দিয়ে রেখেছেন; যাতে তাকে হত্যা করা হলেও নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি না হয়।  ইরানে শাসন পরিবর্তনে নেতানিয়াহুর মতিগতি ধরে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) যাচাইকরণ ও নিরাপত্তা নীতি সমন্বয় দপ্তরের সাবেক প্রধান তারিক রউফ। তিনি নেতানিয়াহুকে ইরানে সরকার পতনের চেষ্টার ব্যাপারে গুরুতর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সোমবার (২৩ জুন) আলজাজিরাকে তারিক রউফ বলেছেন, “নেতানিয়াহু অনেক দিন ধরেই ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন দেখতে চাইছেন। তিনি ইরানি নেতৃত্বের ওপর বিশ্বাস করেন না। কিন্তু বর্তমান শাসনব্যবস্থার যদি পতন হয়, তাহলে ফলাফল কী হবে, আমরা কেউই তা জানি না।” আরো পড়ুন: যুদ্ধ কখনোই গণতন্ত্র নিয়ে আসে না:...
    বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বাংলাদেশের সরকারি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে এ ঋণ দেবে। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৭ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, সরকারের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নয়নে সহায়তা করবে এ ঋণ। সরকারি ও আর্থিক খাতের সংস্কারকে সমর্থন করবে এ ঋণ, যা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সংস্কারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জন্য উন্নত পরিষেবার ভিত্তিও স্থাপন করবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেছেন, সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উন্মুক্ত এবং জবাবদিহিতামূলক করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেন তারা জনগণকে আরো ভালো সেবা দিতে পারে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে...
    ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ইসরায়েলের গুপ্তচর হিসেবে ইরানে কাজ করতেন। ফার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম প্রদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২ জনকে জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংযোগ থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী-আইআরজিসির নিয়ন্ত্রণে থাকা সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং ‘অপরাধী শাসনব্যবস্থাকে (ইসরায়েল) সমর্থন’ করার মতো অভিযোগ রয়েছে। আরো পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা এক্সপ্লেইনার: ইরানে হামলার ‘ইসরায়েলি বাহানা’ আন্তর্জাতিক আইনে ‘অবৈধ’ তবে প্রতিবেদনটিতে অভিযুক্তদের পরিচয় বা তাদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ইরানে প্রথম দিনকার হামলার পর ইসরায়েলি গণমাধ্যমে খবর আসে, তেহরানের ভেতরেই গোপন...
    তিরিশ বছরের ইরানি শ্রমিক আন্দোলনকর্মী সেপিদে কোলিয়ান তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে দুই বছর কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি দুটি বই লিখেছেন। তার একটি রান্নার বইয়ের আদলে লেখা চমৎকার কারাস্মৃতি। মাত্র গত সপ্তাহে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। আর এর তিন দিনের মাথায় ইসরায়েলি মিসাইল আর ড্রোন ইরানে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁর এই যুদ্ধ তাঁদের নিপীড়ক সরকার থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেছেন, ‘এখনই তোমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময়।’ এই বার্তার প্রতি ইরানের সরকারবিরোধী আন্দোলনকর্মীরা কী ভাবছেন, জানতে আমি ফোন করলাম সেপিদেকে। তিনি আমাকে বললেন, ‘যুদ্ধ কখনো গণতন্ত্র আনতে পারবে না।’ ২০২২-২৩ সালে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ শিরোনামের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মতে, নেতানিয়াহু এ আন্দোলনের মূল্যবোধের কোনো চ্যাম্পিয়ন নন। তিনি জানালেন,...
    গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জনগণের জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা জাফর পানাহি। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক দীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাহানির ছবি ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ স্বর্ণপাম জেতে। সে সিনেমাতেও ইরানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। গতকাল ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে পানাহি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা ইরান ও ইসরায়েল—উভয় পক্ষকে সামরিক হামলা বন্ধ এবং বেসামরিক মানুষ হত্যা থামাতে অবিলম্বে ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।স্বর্ণপাম হাতে জাফর পানাহি। এএফপি
    ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের জনগণকে তাদের সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানোর পর এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অজুহাত তুলে ইরানে চালানো হামলার উদ্দেশ্য কি তাহলে সরকার পরিবর্তন? এর ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা কি ইরানিরা সমর্থন করছে? প্রশ্নটি রেখে আলজাজিরা কথা বলেছে ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদির সঙ্গে। তার মন্তব্য তুলে ধরে সোমবার (১৬ জুন) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। জামাল আবদি মনে করেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলো ইরানের শাসন পরিবর্তনের পরিকল্পনায় আগে যারা সহানুভূতিশীল ছিলেন, তাদেরও এখন বিমুখ করে দিয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আলজাজিরাকে জামাল আবদি বলেন, “আমি মনে করি এটা নেতানিয়াহুর এক ভয়াবহ ভুল হিসাব। ইসলামিক রিপাবলিকের জনসমর্থন অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছিল। ২০২২ সালের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলন ছিল ইরানিদের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ; শাসনব্যবস্থা...
    ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিপর্যস্ত করতে এবং পরমাণু বোমা তৈরিতে যাতে আরও বিলম্ব হয়—এ উদ্দেশ্যে দেশটিতে নজিরবিহীনভাবে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।তবে হামলার ধরন, লক্ষ্যবস্তু ও ইসরায়েলি নেতাদের বক্তব্য থেকে অন্য কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সব দেখে-শুনে অনেকে বলছেন, শুধু পরমাণু বিষয় নয়, হামলার উদ্দেশ্য আরও বড় হলেও হতে পারে। সম্ভবত ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চাইছে ইসরায়েল।গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানার পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীদেরও নিশানা করে হামলা চালায় ইসরায়েল।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের ভেতরে ও আঞ্চলিক মিত্রদের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করাই ছিল হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রথম দফার হামলায় ইরানের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী হামলাগুলোও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, ক্ষয়ক্ষতি হু হু করে বাড়ছে। এতে দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থা দুর্বল ও অস্থির হয়ে পড়তে পারে।এ ধরনের পরিস্থিতি ইরানের...
    ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি। ইসরায়েলের আক্রমণে যখন ইরানে প্রতিনিয়ত হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে তখন তিনি এ আহ্বান জানালেন। রেজা পাহলভি ইরানের সাবেক রাজা মোহাম্মদ রেজা শাহের পুত্র। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। রেজা বর্তমানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেজা পাহলভি দাবি করেছেন, ইরানের সাধারণ মানুষ দেশটির সরকারের বিরোধিতা করে। তারা ইসরায়েলের আক্রমণে ‘পুনরায় উজ্জীবিত’ হয়েছে। এর ফলে ইরানের সিনিয়র সামরিক নেতারা নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “চূড়ান্ত সমাধান হল শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন, এবং এখন আমাদের কাছে একটি সুযোগ রয়েছে কারণ এই শাসনব্যবস্থা তার দুর্বলতম পর্যায়ে রয়েছে।” সাবেক এই যুবরাজ বিশ্বশক্তিগুলোকে ‘অলস বসে না থাকার’ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বশুক্তিগুলোর উচিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বাইরে তারা...
    ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান এই হামলা একটি ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের সর্বশেষ রূপ, যার সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে। প্রতিটি ধাপই একদিকে তেহরানকে ক্রমাগত দুর্বল করেছে এবং অন্যদিকে অন্তত সামরিকভাবে ইসরায়েলকে আরো শক্তিশালী করেছে। এই প্রতিটি ধাপ যদি না ঘটত, তাহলে শুক্রবার ইসরায়েলের সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে নতুন এই হামলা চালানো সম্ভব হতো কিনা, তা ভাবা কঠিন। প্রথম ধাপ ছিল গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। এই অভিযান রক্তক্ষয়ী এবং ব্যয়বহুল, বিশেষত ফিলিস্তিনিদের জন্য। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হামাস এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, তারা আর ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য তাৎক্ষণিক বড় কোনো হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়নি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। আরো পড়ুন: ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে...
    আমরা যারা দূর থেকে দেশটাকে ভালোবাসি, যারা দেশটাকে বাইরের দেশের মতো ঝকঝকে তকতকে দেখার স্বপ্নে বিভোর, সেসব মানুষ এক অমানিশার ঘোরে নিমজ্জিত। আমি বিশ্বাস করি, শুধু আমরা নই, দেশের ভেতরেও যারা দেশটাকে নিয়ে দরদভরা কণ্ঠে কথা বলে, ভাবে তারাও বেশ শঙ্কায়। ঘড়ির কাঁটার হিসাব কষে বলা যায়, বাংলাদেশের জন্ম ৫৪ বছর দুই মাস আগে। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে দেশের নানান সংকটের উত্তরণ ঘটলেও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ঠিক কতটা কেটে ওঠা সম্ভব, তা নিয়ে সত্যিই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার–পরবর্তী ঘটনাক্রম ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে চললেও দেশের শিরদাঁড়ায় একধরনের পক্ষাঘাতের লক্ষণ ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সীমাহীন অনিয়ম, লুটপাট আর মানবিকতার অবনমনে সৃষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরিত জনস্রোত ‘বৈষম্যহীন’ রাষ্ট্র গঠনের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার হাতছানি যখন দিচ্ছে, তখন...
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের লিগ্যাসি, যেটা আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তনের ইতিহাস। সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসন দূরীভূত করার ইতিহাস। এই যে চোরতন্ত্রের ওয়ারেশি ব্যবস্থা, সেটা শেখ মুজিবের সময় থেকে শেখ হাসিনার সময় পর্যন্ত গড়িয়েছে।’শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাঙ্কুয়েট হলে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বিভাগে ভাগ করে ধারাবাহিকভাবে সেমিনার ও সমাবেশের আয়োজন করছে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে প্রথম পর্বের আয়োজন শেষে খুলনায় আজ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রবঞ্চনামূলক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ফলে...
    তিন দফা দাবিতে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচির পর গণ-অনশনে বসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় অনশন শুরু করেন তাঁরা।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে গণ–অনশন শুরুর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমাদের গণ–অনশন শুরু। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের গণ–অনশন কর্মসূচি চলবে।’এর কিছুক্ষণ পর বিকেল ৪টায় অনশন শুরু করেন প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। গণ–অনশনের শুরুতে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তাঁরা।তিনটি দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের...
    সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো কর্তৃত্ববাদ নিয়ন্ত্রণের সদিচ্ছা থেকে রচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের দাবি রাখে। নিঃসন্দেহে প্রস্তাবগুলো গণতান্ত্রিক জবাবদিহি দুর্বল, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রান্তিক এবং নির্বাহী, আইনসভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য ব্যাহত করবে না। বৈশ্বিক ইতিহাস ও প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবতার আলোকে এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।অনির্বাচিত অলিগার্কির উত্থান রোধসবারই আকাঙ্ক্ষা, প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে বিপন্ন করতে পারে—এমন মৌলিক ত্রুটি থাকবে না। আশঙ্কা হলো ‘ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল’ (এনসিসি) ও ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন’ (জেএসি) গঠনের মাধ্যমে একধরনের অনির্বাচিত অলিগার্কির উত্থান হতে পারে। প্রস্তাবগুলো এখন যেভাবে আছে, তাতে তাদের জনগণের প্রত্যক্ষ জবাবদিহির বাইরে থাকার সুযোগ রয়েছে। এই প্রস্তাবিত সংস্থাগুলো বিচারপতি, আমলা ইত্যাদির সমন্বয়ে এক অভিজাত গোষ্ঠী বা অলিগার্কি সৃষ্টি করতে পারে। আরও পড়ুনজাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কীভাবে নির্ধারণ...
    সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকরে দরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। তাই প্রধান বিবেচনা হওয়া উচিত রাষ্ট্রে এমন কোনো আইন করা যাবে না, যা কোনো না কোনোভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস–২০২৫ উপলক্ষে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো তুলে ধরেন বক্তারা। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা বক্তব্য দেন।বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে, সে বিষয়ও আলোচনা সভায় উঠে এসেছে। তবে এটি ইতিবাচক হলেও তা এখনো সূচকের নিচের দিকে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এখনো কাঙ্ক্ষিত অবস্থান নয়। আলোচনায় সাংবাদিকদের জবাবদিহির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ় চিত্তে,...
    ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকা দেশটির সেন্ট্রাল ডিভিশনের একটি স্থানীয় সুপারমার্কেটে কর্মরত ২৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের অভিযোগ সরাসরি শুনেছেন। শ্রমিকেরা আবাসস্থল ও খাবার নিয়ে কষ্টের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মসংস্থান ও অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাবুকা।রাবুকা সম্প্রতি ওই শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। শ্রমিকেরা তখন তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, তাঁদের বসবাসের পরিবেশ অনুপযুক্ত, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের সরবরাহ নেই এবং তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে।রাবুকা বলেন, কোনো শ্রমিকের এমন অবস্থায় থাকা উচিত নয়, যেখানে তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে আপস করতে হয়।ফিজির প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য যা ন্যায্য, তা করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিজির নাগরিকেরাও বিদেশে কাজ করছেন। আমরা চাই না তাঁরা কোথাও অন্যায় আচরণের শিকার হন বা অবিচারের মুখোমুখি হন। তেমনি ফিজিতে কর্মরত বিদেশি...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্রের ঘাটতির কারণে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে আম জনতার দলের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের শাসনকাঠামো গণতন্ত্রের যে ঘাটতি আমরা লক্ষ করছি, প্রতিষ্ঠানের যে দুর্বলতা লক্ষ করেছি, সেগুলোর ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সে কারণে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যাতে আমাদের পুনর্বার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়, পুনর্বার যাতে প্রাণ দিতে না হয়, পুনর্বার যেন গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মোকাবিলা করতে না হয়। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে...
    ছবি: প্রথম আলো
    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন।  সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।  সংবাদ সম্মেলনে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আলামিন আটিয়া বলেন, “এডলফ হিটলার দ্বারা বিতাড়িত ইহুদিদের নিয়ে ১৯৪৮ মুসলমানদের পবিত্র ভূমিকে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। আজ তারা প্যালেস্টাইনের নারী ও শিশুদের উপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ভূমি খালি করে তা দখলে নিয়ে ইসরায়েলকে সম্প্রসারণের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক হিসাবে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারকে ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।” আরো পড়ুন: ৬ দাবিসহ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ করবে আজাদ ফিলিস্তিন ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, প্রশাসনের স্থগিত এছাড়া, এ বিষয়ে আগামীকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে...
    ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর অভিষেক ভাষণে অভিবাসনকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমি আমাদের দেশের ওপর এই ভয়াবহ আগ্রাসন প্রতিহত করতে দক্ষিণ সীমান্তে সেনা মোতায়েন করব।’ এরপর তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সীমান্ত বন্ধ করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দেন। সে নির্দেশে অবৈধ গণ-অভিবাসন, মাদক পাচার, মানব পাচার এবং অন্যান্য অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১টির বেশি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার বিভিন্ন দিক পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে অভিবাসীদের প্রসেসিং ও বহিষ্কারের নিয়মকানুন কঠোর করা অন্যতম। তবে ট্রাম্পের সবচেয়ে চরম আদেশ, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্দেশ—ইতিমধ্যে একজন ফেডারেল বিচারক স্থগিত করেছেন; কারণ, এটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ বা...
    অন্তর্বর্তী সরকার গত অক্টোবর মাসে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল, জনপ্রশাসনকে জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সুপারিশ পেশ করা। এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে।এই প্রতিবেদনের পরিসর অনেক ব্যাপক। ১৪টি বিভিন্ন শিরোনামে প্রায় ২০০ সুপারিশ পেশ করেছে, যা মোট ১৭টি অধ্যায়ে বিস্তৃত। প্রতিবেদনটি সুলিখিত ও সুবিন্যস্ত। বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সুপারিশগুলোকে প্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি—এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটি অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর পরিবর্তন; এককেন্দ্রিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা তথা প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করা। দেশের পুরোনো চারটি বিভাগ যথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ নিয়ে চারটি প্রদেশ এবং রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্রশাসিত একটি...
    গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতন ছিল একটি বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের মধ্যে জেগেছে আশা। তাঁরা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি করছেন, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার বাংলাদেশ শাসন করতে না পারেন।গণ-অভ্যুত্থানের পর এসেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাবের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আলোচিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগই নতুন কাঠামো তৈরি এবং নতুন আইন ও বিধি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।তবে রাষ্ট্রকাঠামো ও আইনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ বাস্তব রাজনৈতিক চর্চার গুরুত্বকে উপেক্ষা করে। শুধু কাঠামো ও আইন পরিবর্তন করলেই নতুন স্বৈরশাসকের প্রত্যাবর্তন রোধ করা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, আইন ও বিধির অনুপস্থিতি নয়, বরং রাষ্ট্রের সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারা এবং লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহির...
    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের তরুণ নেতাদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) লক্ষ্য দেশে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করা। গতকাল শুক্রবার নতুন এ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। কিন্তু সেকেন্ড রিপাবলিক বলতে প্রকৃতপক্ষে তাঁরা কী বোঝাতে চাইছেন, সেটি অনেকের কাছে স্পষ্ট নয়। ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাটি ফ্রান্সের ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। পোল্যান্ড, কোস্টারিকাসহ আরও কয়েকটি দেশের ইতিহাসের সঙ্গেও মিশে আছে এটি। এটি এমন একটি রাজনৈতিক ধারণা, যা বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সার্বিকভাবে এমন ধারণায় কোনো দেশে পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বা শাসনকাঠামো গ্রহণ করাকে বোঝায়। বিপ্লব, অভ্যুত্থানসহ নানাভাবেই আসতে পারে এমন পরিবর্তন। উদাহরণ হিসেবে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যায়। এটি একসময় রাজতন্ত্রের অধীন ছিল। ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত...
    রিয়েল এস্টেট খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘নেক্সট জেন রিয়েল এস্টেট সামিট ২০২৫’।সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গত রোববার ও গতকাল সোমবার আয়োজিত সম্মেলনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।সম্মেলনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ (এনএইচএ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ছিল প্যানেল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা রিয়েল এস্টেট শিল্পের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং টেকসই আবাসনব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশল ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার,...
    বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামী রোববার। এই প্রতিষ্ঠানে তিনটি অয়েল/কেমিক্যাল ট্যাংকার ও দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজে ৪ ক্যাটাগরির পদে ২০ জনকে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি বা ই–মেইলে আবেদন পাঠাতে হবে। ১. পদের নাম: মাস্টার ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা: ৩ (৩‍+৩) যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতন–ভাতা: ১০,০০০–১৩,৫০০ টাকা। এ ছাড়া আবাসনব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা আছে। ২. পদের নাম: মাস্টার ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা: ৪ (২‍+২) যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতন-ভাতা: ৮,০০০-১০,৫০০ টাকা। এ ছাড়া আবাসনব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।৩. পদের নাম: চিফ অফিসার ও সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারপদসংখ্যা: ৬ (৩‍+৩)যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা...
    বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে তিনটি অয়েল/কেমিক্যাল ট্যাংকার ও দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজে ৪ ক্যাটাগরির পদে ২০ জনকে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি বা ই–মেইলে আবেদন পাঠাতে হবে।১. পদের নাম: মাস্টার ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা: ৩ (৩‍+৩)যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বেতন–ভাতা: ১০,০০০–১৩,৫০০ টাকা। এ ছাড়া আবাসনব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা আছে।২. পদের নাম: মাস্টার ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা: ৪ (২‍+২)যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বেতন-ভাতা: ৮,০০০-১০,৫০০ টাকা। এ ছাড়া আবাসনব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।আরও পড়ুননাসায় ইন্টার্নশিপ, হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সুযোগ৬ ঘণ্টা আগে৩. পদের নাম: চিফ অফিসার ও সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার পদসংখ্যা: ৬ (৩‍+৩)যোগ্যতা: সমুদ্রগামী জাহাজে সংশ্লিষ্ট পদে অন্তত ১২ মাস কাজ...
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটি সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যেখানে সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাব নীতিগতভাবে সমাজের বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন মতামতকে প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।তবে বহুত্ববাদ একটি বহুমাত্রিক ধারণা হলেও এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অনুপস্থিতির কারণে এর প্রয়োগ বেশ দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সমাজে প্রকৃত অর্থে বহুত্ববাদী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রকে মৌলিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করতে হয়। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রের সব নাগরিককে সমান দৃষ্টিতে দেখার নিশ্চয়তা দেয় এবং ধর্মীয় বিভাজন ও পক্ষপাত থেকে মুক্ত থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ভিত্তি রচনা করে।অন্যদিকে যদি ধর্মনিরপেক্ষতার স্থান বহুত্ববাদ গ্রহণ করে, তবে তার কার্যকারিতা নির্ভর করবে রাষ্ট্রের...
    বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত বর্ষণ, ঘূর্ণিঝড়, জলাবদ্ধতা, ভূমিধস ও লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলস্বরূপ, দেশের বৃহত্তর জনগণ বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। তবে জলবায়ু সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সুশাসনের অভাব, বৈষম্যপূর্ণ নীতিমালা এবং সঠিক পদক্ষেপের অভাব জলবায়ু সংকটকে আরো ভয়াবহ করে তুলছে, যা বাংলাদেশের জনগণের নাজুকতাকে আরো ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি মূলত বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা দেখে নিতে পারি। ২০২৪ সালে ফেনী জেলায় ভয়াবহ বন্যার কারণে বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি...
۱