ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে লায়লা কানিজকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে জেলহাজতে রাখা হয়। ২টার দিকে এজলাসে তোলা হয় লায়লা কানিজকে। আসামিদের রাখার ডকে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। বিষয়টি নজরে এলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব তাকে সেখানে থাকা বেঞ্চে বসার অনুমতি দেন। দুই আসামি বেঞ্চ থেকে উঠে তাকে বসতে দেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় শুনানির জন্য অপেক্ষায় বসে থাকেন লায়লা কানিজ। এ সময় তাকে কখনো হাসতে আবার কখনো কাঁদতে দেখা যায়। কিছু সময় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে আদালত জানান, আসামি (লায়লা কানিজ) কারাগারে যাবেন। রিমান্ড শুনানি পরে হবে। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানি হবে।

এরপর লায়লা কানিজকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে গহনা খুলে ফেলতে বলেন। লায়লা কানিজ নাক, কান, গলায় থাকা স্বর্ণালঙ্কার খুলে ফেলেন। এ সময় কাঁদতে দেখা যায় তাকে। গহনাগুলো ভাইয়ের কাছে দেন লায়লা কানিজ।

আদালত থেকে বের করার সময় লায়লা কানিজকে কান্না করতে দেখা যায়। তার ভাই-বোনও কাঁদতে থাকেন। পরে লায়লা কানিজকে কারাগারে নেওয়া হয়। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানাতে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

রাজশাহীতে এক বিচারকের বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছেলে হত্যার প্রেক্ষাপটে রিট আবেদন এবং আদালতের আদেশটি এসেছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, উচ্চ আদালতের বিচারপতিসহ অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত বছরের ২৮ নভেম্বরের এ–সংক্রান্ত সার্কুলারের (সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দেওয়া) নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক ও মোকাদ্দাস আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

আরও পড়ুনবিচারকদের দুই দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে না মানলে রোববার থেকে কলমবিরতি১৪ নভেম্বর ২০২৫

পরে আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, উচ্চ আদালতের বিচারপতিসহ সারা দেশের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কর্মরত বিচারক, তাঁদের এজলাস ও বাসভবন এবং আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমানে কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানাতে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’

আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই রুল আদালত দিয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি ও র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনদাবি পূরণের আশ্বাসে বিচারকদের কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার১৫ নভেম্বর ২০২৫

১৩ নভেম্বর রাজশাহীতে জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে তাঁর ১৭ বছরের ছেলেকে হত্যা করা হয়। তাঁর স্ত্রীও আহত হন।

এরপর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কলমবিরতি কর্মসূচি ডেকেছিল। পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ