বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য সামরিক ফ্লাইপাস্ট ও প্যারাজাম্পের আয়োজন
Published: 14th, December 2025 GMT
মহান বিজয় দিবসে সামরিক বাহিনী বর্ণাঢ্য ফ্লাইপাস্ট ও প্যারাজাম্পের আয়োজন করেছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এই নৈপুণ্য প্রদর্শন করা হবে।
আরো পড়ুন:
সুদানে নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল সেনাবাহিনী
সুদানে সন্ত্রাসী হামলা: শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই খবর জানিয়ছে।
পোস্টে লেখা হয়েছে, “আগামী ১৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাইটপাস্ট পরিচালনা করবে।”
“এ ছাড়াও সকাল ১১টা ৪০ মিনিট থেকে বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ৫৪ জন প্যারাট্রুপার স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনে পতাকা নিয়ে প্যারাজাম্প করবেন,” লেখা হয়েছে পোস্টে।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। বিজয়ের ৫৪ বছরে সামরিক বাহিনী এই কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে