৯ উইকেটের হারে জ্যোতিদের ‘বিশ্বকাপ স্বপ্নে’ বড় ধাক্কা
Published: 20th, January 2025 GMT
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে সরাসরি নারী বিশ্বকাপে নাম লেখানো আখাঙ্কা নিয়ে ক্যারিয়বিয়ান দ্বীপপুঞ্জে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৯ উইকেটের হারে শুরু হলো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সফর, সঙ্গে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যাত্রায় বড় ধাক্কা খেলো।
সেন্ট কিটসে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১০ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিক শিবির।
৯৩ রানে ১০৪ রান করে অপরাজিত থেকে উইন্ডিজের দাপুটে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন হ্যালি ম্যাথুজ। সঙ্গে ৪১ রানে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ১৬টি চারে হ্যালির ইনিংসটি সাজানো ছিল। সেঞ্চুরির দেখা পান ৯২ বলে। এ ছাড়া ৭০ রান করেন কিয়ানা জোসেফ। ১৪ রানে হ্যালির সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন শিমেইন ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের হয়ে ১টি উইকেট নেন রাবেয়া খান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে সেটি সামাল দেন মুর্শিদা খাতুন-শারমিন আক্তার। দুজনে জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। ৪০ রানে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ৪৪ রানের জুটি।
এরপর শারমিনের সঙ্গী হন নিগার সুলতানা জ্যাওতি। দুজনে বড় জুটির আভাস দেন। কিন্তু বাংলাদেশ আবার ধাক্কা খায় জ্যোতির আউটে। ১৪ রানে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৮ রানের ব্যাবধানে ফেরেন শারমিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
এরপর সোবহানা মোস্তারি-স্বর্ণা আক্তার চেষ্টা করেছিলেন লড়াকু পুঁজির জন্য। কিন্তু দুজনে থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরায় বাংলাদেশকে থামতে দুইশ ছোঁয়ার আগে। সোবহানা ৩৫ ও স্বর্ণা ২৯ রান করেন। শেষের চার ব্যাটারের কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডেনদ্রা ডটিন। দুই উইকেট করে নেন অ্যালিয়াহ অ্যালেন ও হ্যালি ম্যাথুজ।
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।