Samakal:
2025-09-18@00:49:37 GMT

বিসিবির সংস্কার কমিটি স্থগিত

Published: 26th, January 2025 GMT

বিসিবির সংস্কার কমিটি স্থগিত

ঢাকার ক্রিকেট ক্লাবের চাওয়া ছিল গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের পদত্যাগ। ক্লাবের দাবি মেনে তাঁকে আর পদত্যাগ করতে হচ্ছে না সংস্কার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করায়। গতকাল পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিক থেকে দেখলে ক্লাব কর্মকর্তারা নিজেদের বিজয়ী দাবি করতেই পারেন। গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াতেও বাধা থাকছে না। বিসিবি পরিচালক মাহাবুবুল আনাম জানান, ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) শিগগির ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে লিগের খেলা শুরু করবে। নৈতিকভাবে নিজেদের জয় হওয়ায় ক্লাবগুলোরও লিগ খেলতে আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ঢাকার ক্লাব ক্যাটেগরিতে পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে চারে নামানোর সুপারিশ করেছিল নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কমিটি। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ৭৬টি ক্লাব একাট্টা হয়ে লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগও বয়কট করে ২০টি ক্লাব। ক্লাব প্রতিনিধিরা সভাপতি ফারুক আহমেদকে স্মারকলিপিসহকারে আলটিমেটাম দেন কয়েক দিন আগে। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে সমাধানের পথ খোঁজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সভাপতি ফারুক। 

সে প্রেক্ষাপটে গতকাল বোর্ড সভায় গঠনতন্ত্র সংস্কার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে কমিটি কার্যকর করা হবে। তারা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবেন।’ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ ছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কিং ও নিরাপত্তা কমিটি বাদে বাকি সব স্ট্যান্ডিং কমিটি বণ্টন করা হয়েছে পরিচালকদের মধ্যে।

ক্রিকেট অপারেশন্সই পেলেন ফাহিম

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের চাওয়া ছিল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিজের পছন্দের কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর চাওয়া পূরণ হচ্ছিল না বোর্ড সভাপতি নিজের হাতে রেখেছিলেন বিভাগটি। এ নিয়ে সভাপতি ফারুক ও ফাহিমের বিবাদ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, বিশেষ নির্দেশনায় ফাহিমকে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান করা হয়। নারী বিভাগেরও চেয়ারম্যান তিনি। ফলে জাতীয় দল-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ফাহিমের। বাকি স্ট্যান্ডিং কমিটি ভাগাভাগিতে মাহাবুবুল আনাম গ্র্যান্ডসের পাশাপাশি টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ ও হাই পারফরম্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। 

ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এ তিনটি বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পরিচালকের হাতেই পড়েছে কার্যকর দুটি বিভাগ। ইফতেখার রহমান মিঠুকে আম্পায়ার্স কমিটির পাশাপাশি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আকরাম খানকে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট কমিটি ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড বিভাগের চেয়ারম্যান। ফাহিম সিনহাকে ফিন্যান্স, লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকল, গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটি ও এইজ গ্রুপ টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী। মঞ্জুরুল আলম মেডিকেল এবং ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে সিসিডিএমের পাশাপাশি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান করা  হয়েছে। কাজী ইনামকে বাংলাদেশ টাইগার্সেই রাখা হয়েছে। সভাপতি ফারুক নিজের হাতে রেখেছেন মার্কেটিং কমিটি।

বিপিএলের সমাধান ৪৮ ঘণ্টায়

পরিচালক মাহাবুবুল আনাম জানান, বিপিএলের সম্মানী নিয়ে এক-দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যে গড়িমসি করছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সমাধান করা হবে। ক্রিকেটারদের বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ভালো খবরের সঙ্গে একটি খারাপ খবরও আছে। অঙ্কুরেই শেষ নারী বিপিএল। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু বলেন, ‘তাড়াহুড়ো না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এ ছাড়া চারজন ট্রেনিং কিউরেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নারী আম্পায়ার ও ম্যাচ অফিসিয়াল বেতনভুক্ত করা হয়েছে। আম্পায়ার্স বিভাগে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে গ্রেডিং অনুযায়ী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স ক র কম ট র কম ট র ট কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিওটি এশিয়া কাপের নয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাসছে। স্টেডিয়ামে বিশেষ অতিথিদের গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এবং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। বেশ হাসিমুখে কথা বলছেন দুজন। জয় শাহর পাশেই বসে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। মাঝে একটি আসন দূরে বসে বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ সদস্য অনুরাগ ঠাকুর। তিনিও জয় শাহ ও আফ্রিদির সঙ্গে বেশ হাসিমুখে কথা বলছিলেন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ এশিয়া কাপে কয়েকবারের ‘চ্যাম্পিয়ন’, ভেবেছিলেন আফগানিস্তান কোচ১০ ঘণ্টা আগে

দুবাইয়ে গত পরশু ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই দাবি করেন, এই ভিডিও চলমান এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের। সমালোচনা করে অনেকেই বলেন, ভারতে যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কটের দাবি উঠেছে, সেখানে তাঁদের মধ্যে এত হৃদ্যতা আসে কোত্থেকে? একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর জনতার ক্ষোভের মধ্যেই এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে জয় শাহ ও অনুরাগ ঠাকুরকে শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। গোটা দেশ যখন ম্যাচটি বয়কটের ডাক দিয়েছে, তখন বিজেপির নেতা অনুরাগ ঠাকুর ও জয় শাহ শহীদ আফ্রিদি ও মহসিন নাকভির সঙ্গে মজা করছেন ও সময়টা উপভোগ করছেন।’

ভিডিওটির সত্যতা পরীক্ষা করে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও গত পরশু ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের নয়। এটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ভিডিও। তখন দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচের এই ভিডিও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এটাকে গত পরশুর ম্যাচের ভেবে ভুল করেছেন। ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গত ২২ এপ্রিল। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার আগে।

আরও পড়ুনকেন পাকিস্তানের এমন হার—ব্যাখ্যা দিলেন আকরাম, আফ্রিদি ও গাভাস্কার১০ ঘণ্টা আগে

ভিডিওটি আরেকটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় মাঠের হোর্ডিংয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫’ লেখা। পাশাপাশি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী একই ভিডিও শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘দুবাই স্টেডিয়ামে শহীদ আফ্রিদি ও জয় শাহ একসঙ্গে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ দেখছেন।’ ক্যাপশনের নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভারত–পাকিস্তান ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি লেখা। গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচিতেও দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতে ভারত।

এশিয়া কাপে গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় ভারত। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাই। দেশটির সাবেক অফ স্পিনার হরভজন সিং ও সাবেক ক্রিকেটার কেদার যাদবরা এই ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানান। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লুসিএল) টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এর পর থেকে এশিয়া কাপের ম্যাচটি বয়কটের ক্যাম্পেইন আরও বেশি করে শুরু হয় ভারতে। এমনকি ম্যাচটি বাতিলে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) আবেদন করা হয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। যদিও জরুরি ভিত্তিতে তা শুনানির জন্য রাজি হননি আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তানের প্রতিবাদ
  • আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিওটি এশিয়া কাপের নয়