দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ-সহ ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর অনেক দেশকে উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে ভারত। প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটেই এই খাতে আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ হয়। বাজেট ২০২৫-এ এই দেশগুলোর মধ্যে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি বাড়ল মালদ্বীপের, প্রায় ২৮ শতাংশ। বাজেট নথি অনুসারে, ২০২৫-২৬ সালে মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় বাজেটে মালদ্বীপ, আফগানিস্তানের জন্য সহায়তার অর্থ বরাদ্দ বাড়লেও বাংলাদেশের জন্য সহায়তার অর্থ বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে দেখা করে তার হাতে দই-চিনি খেয়ে সংসদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন নির্মলা সীতারামন। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। 

আরো পড়ুন:

সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজারের সংবাদ মিথ্যা: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে

প্রতিবেশী দেশ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমন দেশগুলোকে অর্থনৈতিক অনুদান দেয় ভারত।

বাজেটে দেখা যায়, ২০২৫ সালে বিদেশি অনুদান বাবদ মোট ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। গত বছর বিদেশি অনুদান বাবদ বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।

বাজেটে প্রতিবেশী মালদ্বীপে ভারতের সাহায্য গত বছরের বরাদ্দের তুলনায় ১২০ কোটি টাকা বেড়েছে। এ বছর, সরকার মালদ্বীপকে ৬০০ কোটি রুপি অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছরের মালদ্বীপের জন্য বাজেটে বরাদ্দকৃত ছিল ৪৭০ কোটি রুপি। গাণিতিক হিসেবে এই এক বছরে মালদ্বীপের জন্য ভারতের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ।

শুধু মালদ্বীপ নয়, আফগানিস্তানের জন্যও বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে ভারত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫০ কোটি রুপির থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১০০ কোটি রুপি।

তবে বরাবরের মতো ভারতের বাজেটে বৈদেশিক সহায়তার সব থেকে বড় বরাদ্দ পেয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে আর্থিক বরাদ্দ ১৫ শতাংশ কমালেও ভুটানকে ২১৫০ কোটির বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন সহায়তার অংশীদার করেছে ভারত।

বাংলাদেশ কত পেল?
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। দুই দেশই স্বীকার করেছে, সম্পর্কে ‘মেঘ জমেছে’। তবে তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের সহায়তা বরাদ্দ কমানো হয়নি। বাড়ানোও হয়নি। গত বাজেটের মতো এবারও বাংলাদেশের জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

একইভাবে শ্রীলঙ্কার বরাদ্দও অপরিবর্তিত রয়েছে, ৩০০ কোটি টাকা। আর্থিক বরাদ্দ বেড়েছে আফ্রিকান দেশগুলোর। ২০২৪-এ এই দেশগুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২০০ কোটি টাকা। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা।

ঢাকা/সুচরিতা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহ য ত র র জন য ব গত বছর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য

একাডেমিক মান ও উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা প্রকার সুযোগ প্রদান করে। জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর নানা প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি নেয় না। সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে এগিয়ে আছে জার্মানি।

অনেক টাকা খরচ ছাড়াই উচ্চমানের শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখন ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী শীর্ষ ১০টি জার্মান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ (টিইউএম)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪১তম অবস্থানে আছে। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অন্যতম বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। শিক্ষার্থীদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পথ নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

হাইলাইট:

বিস্তৃত পরিসরে শেখানো হয় ইংরেজি প্রোগ্রাম

বড় বড় শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে এ।

আরও পড়ুনফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আইইএলটিএস-টোয়েফল দরকার, বৃত্তিসহ আছে নানা সুযোগ, সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ১৪ আগস্ট ২০২৪

২. লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি, (এলএমইউ মিউনিখ)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬০তম অবস্থানে আছে। এলএমইউ মিউনিখ মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ন্যাচারাল সায়েন্স, মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য পরিচিত। উচ্চ একাডেমিক মান ও গবেষণার জন্য পরিচিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

হাইলাইট:

ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম

উচ্চ মানের গবেষণার সুবিধা

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে ।

৩. হাইডেলব্যর্গ বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩তম অবস্থানে আছে। জার্মানির প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে মানবিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে।

হাইলাইট:

সমৃদ্ধ একাডেমিক ঐতিহ্য

ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্স সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি নেয় না

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজিটাল খাতে বাজেটের প্রভাব কেমন
  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ বিএসইসির
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • বেসরকারি খাত পিপিপিতে আকৃষ্ট নয়, বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • কমপ্লায়েন্সের অভাবে ধুঁকছে চামড়া খাতের রপ্তানি
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • ৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ