কুষ্টিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলির ঘটনায় দিনভর উত্তেজনা দেখা দেয়। একই সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজতে কাজ করছে পুলিশ। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তারা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে নানা জল্পনা করছেন। কারণ একসময় ঠিকাদারি কাজকে ঘিরে মানুষের মাথা কেটে আতঙ্ক ছড়ানোর মতো ঘটনাও ঘটেছিল এখানে।

পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। তবে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনাস্থলের আশপাশে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।  

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মী সম্মেলন চলছিল। দুপুর দেড়টার দিকে অনুষ্ঠানে আসা লোকজন চত্বরের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুইবার বিকট শব্দ শুনতে পান।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভবন থেকে ২০ ফুট দূরে সীমানা প্রাচীর।  এর পাশেই গড়াই নদী। সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন শহরের জিকে এলাকার সড়ক।

কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মামুন খন্দকার বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর কয়েকটা শিশু এসে গুলির খোসা হাতে নিয়ে পাউবোর ভেতর ফেলে দেয়। গুলির শব্দ শুনে পাউবো চত্বরে থাকা সবাই ছুটে আসেন সীমানা প্রাচীরের দিকে। দুর্বৃত্তরা তিনজন ছিল বলে জানতে পেরেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু জানায়, তারা তিনজন খেলা করছিল। জোরে দুটি শব্দ শুনতে পায় তারা। এরপর দেখে দেয়ালের (পাউবোর সীমানা প্রাচীর) কাছ থেকে দুজন দৌড়ে বালুর ওপর দিয়ে গড়াই নদীর দিকে যাচ্ছে। তাদের একজনের হাতে বন্দুক ছিল।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেহাবুর রহমান বলেন, গুলি করার পর দুজন ব্যক্তি বালুর ভেতর দিয়ে গড়াই নদে নৌকাযোগে চলে গেছে জানা গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আতঙ ক ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা