রংপুরের পীরগঞ্জে মরিচখেত থেকে এক নারীর মাথাবিহীন ও রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চতরা ইউনিয়ন পরিষদের বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধারের পর ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় তাঁর পরনে লাল রঙের জামা ও পায়জামা ছিল। তাঁর বয়স ৩০ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, ওই নারীর গলা থেকে মাথার পুরো অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। আশপাশে কোথাও তাঁর মাথাটি পাওয়া যায়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি মরিচখেতে পড়েছিল। মাথাটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে লাশটির শরীরের অন্য কোথাও প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের লাশটি জন্য রংপুর পাঠানো হচ্ছে। অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটির পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনার পরপর আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফা আফরোজ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ডাকসু

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত সীমান্তে হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। বুধবার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর মধ্যরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক দুই বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহিম রিংকু ও মমিন মিয়াকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সীমান্তে অব্যাহত বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জন্য হত্যাকারী বিএসএফের বিরুদ্ধে অবশ্যই কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমান্ত হত্যার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে উত্থাপন করে বিচার নিশ্চিত করতেও জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে গুলি করে হত্যা করছে। কিশোরী ফেলানীর কাঁটাতারে ঝুলে থাকা লাশ কিংবা স্বর্ণা দাসকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা সারা বিশ্বের বিবেক নাড়া দিলেও বিএসএফের মনোভাব বদলায়নি। ভারত বারবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই দেখা গেছে। মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ও নির্যাতনে প্রায় ৬৫৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। আজ পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত বা বিচার হয়নি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরেই ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে অবৈধভাবে ‘পুশইন’ করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ, ড্রোন ওড়ানো এবং গুলিবর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ভারত থেকে অবৈধ পুশইন ও বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে বিএসএফ বছরের পর বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। জুলাই বিপ্লব–পরবর্তী সময়েও বর্ডার ভায়োলেন্স নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর অবস্থান না থাকায় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ