রংপুরের পীরগঞ্জে মরিচখেত থেকে এক নারীর মাথাবিহীন ও রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চতরা ইউনিয়ন পরিষদের বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধারের পর ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় তাঁর পরনে লাল রঙের জামা ও পায়জামা ছিল। তাঁর বয়স ৩০ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, ওই নারীর গলা থেকে মাথার পুরো অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। আশপাশে কোথাও তাঁর মাথাটি পাওয়া যায়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি মরিচখেতে পড়েছিল। মাথাটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে লাশটির শরীরের অন্য কোথাও প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের লাশটি জন্য রংপুর পাঠানো হচ্ছে। অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটির পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনার পরপর আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফা আফরোজ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রিসে অভিবাসীদের বহনকারী নৌযান থেকে ১৭ মরদেহ উদ্ধার

গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে গত শনিবার অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌযান পানিতে ভেসে গেলে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোস্টগার্ডের এক নারী মুখপাত্র এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পানিতে ভেসে থাকা ওই ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত থাকার কারণে এর ভেতরে পানি ঢুকেছিল।

এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নৌযানটিতে পানি উঠে ভেসে যাওয়ার কারণ না জানা যাওয়ায় মৃত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত করা হবে।’

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ইআরটি জানিয়েছে, নৌযানটির ভেতর থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

ক্রিট দ্বীপের ইয়েরাপেত্রা বন্দরের মেয়র মানোলিস ফ্রাঙ্গুলিস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তিদের সবাই কম বয়সী ছিলেন।

ইআরটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, পানিশূন্যতায় অভিবাসীদের মৃত্যু হয়েছে।

ক্রিট দ্বীপ থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল (৪৮ কিলোমিটার) দক্ষিণ–পশ্চিমে নৌযানটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গ্রিসের কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ