কুমার নদে নিখোঁজের ৩ দিন পর একসঙ্গে দুই ভাই-বোনের ভাসমান লাশ উদ্ধার
Published: 8th, February 2025 GMT
মাদারীপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কুমার নদ থেকে ভাই-বোনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে শহরের থানতলি এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিশুরা হলো বরিশালের গৌরনদী উপজেলার লিটন মাতুব্বরের মেয়ে কুলসুম আক্তার (১২) ও ছেলে মিরাজ মাতুব্বর (৭)। তারা মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। ওই শিশুরা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে গত বুধবার দুপুরে শহরের তরমুগরিয়া হাইক্কারমার ঘাট এলাকায় কুমার নদে গোসলে নেমে এই দুই ভাইবোন নিখোঁজ হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মাদ্রাসা থেকে পাশের কুমার নদে গোসল করতে যায় কুলসুম ও মিরাজ। বেলা একটার দিকে তারা গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তাদের সন্ধানে নদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিশুদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকালে দুই ভাইবোনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে থানতুলি এলাকায় ভেসে উঠে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
লিটন মাতুব্বর ও মিনোয়ারা বেগমের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। একসঙ্গে দুই সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারটিতে মাতম চলছে। শিশুদের বাবা লিটন আহাজারি করে বলেন, ‘আমি তো কোনো অন্যায় কাজ করি না। আমি কীভাবে এই মৃত্যু মেনে নিব!’
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। পরিবার যদি চায়, তাহলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। না হলে লাশগুলো পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।