Samakal:
2025-06-15@12:23:43 GMT

একটি বই একটি আন্দোলন

Published: 9th, February 2025 GMT

একটি বই একটি আন্দোলন

লেখক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেছেন, একটি বই একটি আন্দোলন। বই সমাজকে নতুন ভাবনা দেয়। যে জাতি বই পড়বে তারা সামনে এগোতে থাকবে। অন্যদিকে বই বিমুখ জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাদের অনুষ্ঠানে, আনন্দে প্রিয়জনকে বই দেওয়ার রীতি আবার শুরু করতে হবে।

রোববার অমর একুশে বইমেলার নবম দিনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ লেখক বলছি মঞ্চে দেশের সমাজ, সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা আসাদ আহমেদ।

সাংবাদিক আবু সাঈদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের বিভাগদীতে। সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিকল্প চিন্তা বিকল্প রাজনীতি, উপেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ উপেক্ষিত জনগণ, ভাষার লড়াই, মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর, রাজনীতির কালাকাল, স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি, প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতি ও সমকালীন সমাজ ইত্যাদি। তিনি বর্তমানে সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক।

আবু সাঈদ খান বলেন, বইমেলা আমাদের ঐতিহ্য। বইমেলা যেন কেবল উৎসব না হয়, এটি যেন বইয়ের উৎসব হয়। আমরা যেন বই কিনি এবং প্রয়োজনীয় বই কিনি। যে বই আমাদের চোখ-কান খুলে দেবে, আলোর দিশা দেবে—এ বই যেন কিনি।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, চব্বিশে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখতে পারে না। হয়ত দুইবছর পারে, পাঁচ বছর পারে, কিংবা দশ-পনেরো বছর পারে। একসময় তাকে পরাজিত হতে হয়।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকেও পরাজিত হতে হয়েছে। তিনি পালিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। জনগণই দেশের মালিক। জনগণই শক্তি। জনশক্তির কাছে স্বৈরশাসক পরাজিত হয়। এবার সেটা আবার প্রমাণিত হয়েছে।

চব্বিশের অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন আবু সাঈদ খান। তিনি বলেন, কিছু অনিয়ম-ব্যর্থতা আছে; সরকার সঠিক লক্ষ্যে এগোতে পারছে না। সরকারের কাছে মানুষের যে আশা ছিল সেটি পূরণ করতে পারছে না। এটার কারণ অনভিজ্ঞতা। দেশ পরিচালনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। অরাজনৈতিকরা সবসময় সফল হয় না। তবে এ সরকার আন্দোলনের ফসল। তারা গণতন্ত্রের যাত্রাটা নিশ্চিত করতে না পারলে সেটা জাতির ব্যর্থতা। তাই আশা বুকে রাখতে চাই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল বইম ল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘উৎসব’ নিয়ে আগ্রহ দর্শকের, শো বাড়ল দ্বিতীয় সপ্তাহে

বহু বছর পর দর্শকেরা যেন নির্মল আনন্দের কোনো সিনেমা পেল। ঈদের মতো সর্বজনীন উৎসবে প্রেক্ষাগৃহে মা–বাবা-সন্তান, তথা পরিবার মিলে উপভোগ করার মতো সিনেমা ‘উৎসব’—সিনেমা দেখার পর এমনটাই বলছেন দর্শকেরা। দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায়ই ‘উৎসব’ সিনেমার প্রশংসা করছেন দর্শকেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দর্শক লিখেছেন, ‘গত ১০ বছরে এমন রিফ্রেশিং আর মন ভালো করে দেওয়া সিনেমা কবে দেখেছি, ঠিক মনে পড়ছে না। শুধু বাংলা না, যেকোনো ভাষার সিনেমা মিলিয়ে বলছি!’ আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘“উৎসব”দেখতে গেছিলাম। শুনেছিলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো নির্মল আনন্দের সিনেমা। আসলেই তা–ই।’ এক দর্শক দাবি করেছেন, ‘আমি অনেক দিন পরে এত সুন্দর একটা বাংলা পারিবারিক সিনেমা হলে দেখেছি। সবাই খুব ভালো কাজ করেছেন।’ আরেক দর্শক নিজেই জানিয়েছেন, বহু বছর পর বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নিয়ে শতভাগ ইতিবাচক সাড়া দেখছেন তিনি। তা–ও আবার সব ফ্যামিলি অডিয়েন্সের।

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমা নিয়ে এমন আরও অসংখ্য প্রতিক্রিয়া, মন্তব্য, রিভিউ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। স্টার সিনেপ্লেক্সের রাজধানীর প্রতিটি শাখায় প্রথম সপ্তাহে (৭-১২ জুন) সিনেমাটির অধিকাংশ শো হাউসফুল, কিছু শো প্রায় হাউসফুল। দর্শকদের এমন ভালোবাসা পাওয়ায় সিনেমাটি দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সবাই। আর সে জন্যই দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সিনেপ্লেক্সে বাড়ানো হয়েছে সিনেমাটির শোর সংখ্যা। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও সিনেমাটির পরিচালক নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
  • ‘উৎসব’ নিয়ে আগ্রহ দর্শকের, শো বাড়ল দ্বিতীয় সপ্তাহে