রাজশাহীতে এএসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 11th, February 2025 GMT
রাজশাহীতে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরের হেলেনাবাদ সরকারি কোয়ার্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘পারিবারিক বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের মনোমানিল্য ছিল। এর জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরো পড়ুন:
খুলনায় প্রবাস ফেরত যুবকের হাত-পা কাটা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গাছে ঝুলছিল প্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ
মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম আমিনুল ইসলাম (৩৫)। তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। থাকতেন নগরের হেলেনাবাদ সরকারি কোয়ার্টারে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিবনগর। বাবার নাম মৃত আজিম উদ্দিন প্রামানিক।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমিনুল ইসলামের স্ত্রী স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে একটি ঘরে ফ্যানের সঙ্গে আমিনুলের গলায় শাড়ি প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, “রাত ১১টার দিকে বাইরে থেকে বাসায় যান আমিনুল। এরপর তিনি আলাদা ঘরে শুয়েছিলেন। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ওসি আরো বলেন, “গ্রামের বাড়ি থেকে আমিনুলের পরিবারের লোকজন এসেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এএসআই আমিনুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমরা কারণ নিশ্চিত হতে পারিনি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পুলিশি তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ল ইসল ম আম ন ল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট