রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি বাঙলা কলেজে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’। মঙ্গলবার (১১ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (বাকসাস) আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুল হাসান। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলবে ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শেষ দিন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হবে। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। এ ছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক কালবেলার অনলাইন এডিটর পলাশ মাহমুদ এবং কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি ও অনুসন্ধান সেলের প্রধান সানাউল হজ সানী উপস্থিত থাকবেন।

এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও দেশবরেণ্য প্রথিতযশা সাংবাদিকগণ। 

প্রশিক্ষকদের মধ্যে আছেন— মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান রুমান, সরকারি বাঙলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর সায়মা ফিরোজ, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি ও আলোচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক মো.

তাইমুর হাসান শুভ, প্রথম আলোর সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট সাবিনা ইয়াসমিন, আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার (ক্রাইম) আমানুর রহমান রনি, দৈনিক কালবেলার ডেপুটি ইনচার্জ (মাল্টিমিডিয়া) অমিত হাসান রবিন, দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সদস্য মাজহারুল ইসলাম রবিন, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক জাহেদ হাসান ফরহাদ; মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও বাকসাস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম এবং রাইজিংবিডি ডটকম-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক ও বাকসাস-এর সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন। 

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার কলাকৌশল ও রিপোর্টিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, টেলিভিশন সাংবাদিকতা, সংবাদ লিখন, ফিচার রাইটিং ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

সংবাদ কে লিখেছে—মানুষ না এআই, এতে বিশ্বাসযোগ্যতা বদলায়

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কিংবা করপোরেট বিবৃতি—পাঠকের কাছে এসব কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নির্ভর করে লেখকের পরিচয়ের ওপর। যদি বলা হয়, লেখাটি একজন মানুষ লিখেছেন, তাহলে সেটি পাঠকের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। আর যদি বলা হয়, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) লিখেছে, তাহলে পাঠকের আস্থা কমে যায়।

বিষয়টি উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকী ‘করপোরেট কমিউনিকেশনস: অ্যান ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল’-এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকেরা মত দিয়েছেন, সংকট পরিস্থিতিতে এআই ব্যবহার করা হলেও মানুষের দায়দায়িত্ব, সম্পাদনা ও জবাবদিহির জায়গাতে পাশ কাটানো যাবে না।

গবেষণাটি পরিচালনা করেন কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ক্যামেরন পিয়ার্সি, পিএইচডি গবেষক আইমান আলহাম্মাদ ও সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এথারিজ। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা—লেখাটি মানুষ লিখেছে নাকি এআই, জানলে কি পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রে তার জায়গা করে নিচ্ছে। মানুষ এটি ব্যবহার করার বিভিন্ন উপায় খুঁজছে। এর ফল ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইই হতে পারে। প্রায়ই এর ব্যবহারের কথা জানানো হয় না। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগবিষয়ক একটি স্নাতক ক্লাসে দেখা হয়, মানুষ ও এআইয়ের লেখার মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় কি না, আর তখনই এ গবেষণার ভাবনাটি আসে।

একজন সহগবেষক ক্যামেরন পিয়ার্সি বলেন, ‘মানুষ ও এআইয়ের লেখা আলাদা করতে না পারলেও লেখকের পরিচয় জানলে পাঠকের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হয় কি না, এটাই ছিল আমাদের মূল প্রশ্ন।’

দি বলা হয়, লেখাটি একজন মানুষ লিখেছেন, তাহলে সেটি পাঠকের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। আর যদি বলা হয়, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) লিখেছে, তাহলে পাঠকের আস্থা কমে যায়।গবেষণা পদ্ধতি

গবেষণাটি ছিল বহুপদ্ধতিভিত্তিক বিশ্লেষণ। এতে অংশগ্রহণকারীদের একটি কাল্পনিক করপোরেট সংকট পরিস্থিতি জানানো হয়। ‘চাঙ্কি চকলেট কোম্পানি’-এর কিছু পণ্যের গ্রাহক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কর্মীদের ইচ্ছাকৃত অপকর্মের কারণে এটা হয়েছিল।

অংশগ্রহণকারীদের তিন ধরনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পড়তে দেওয়া হয়: তথ্যভিত্তিক, সহানুভূতিশীল ও ক্ষমা প্রার্থনামূলক। প্রতিটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেই বলে দেওয়া হয়, সেটি একজন মানুষ কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখেছে।

মানুষ ও এআইয়ের লেখা আলাদা করতে না পারলেও লেখকের পরিচয় জানলে পাঠকের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হয় কি না, এটাই ছিল আমাদের মূল প্রশ্ন।সহগবেষক ক্যামেরন পিয়ার্সিমানুষের লেখা হলে বিশ্বাস বেশি

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁরা মনে করেছেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি একজন মানুষ লিখেছেন, তাঁরা সেটিকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর বলে মনে করেছেন। কিন্তু যদি বলা হয়, একই বার্তাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছে, তখন পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা নিরপেক্ষ বা সন্দেহপ্রবণ হয়ে যায়।

তবে বার্তার ধরন—তথ্যভিত্তিক, ক্ষমা প্রার্থনামূলক বা সহানুভূতিশীল—এই তিনটির ক্ষেত্রে পাঠকের প্রতিক্রিয়ায় তেমন পার্থক্য দেখতে পাননি গবেষকেরা।

আপনি যদি লেখার কাজে এআই ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে, ভুলের দায় নিতে হবে এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।গবেষক ক্রিস্টোফার এথারিজদায় মানুষেরই

গবেষকেরা বলেছেন, সংকটকালীন সময়ে বা অন্য সময়ে করপোরেট বার্তায় যদি লেখকের পরিচয় গোপন রাখা হয়, তাহলে পাঠক মনে মনে প্রশ্ন তোলেন—কে দায়ী?

অন্যদিকে গবেষক ক্রিস্টোফার এথারিজ বলেন, ‘আপনি যদি লেখার কাজে এআই ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে, ভুলের দায় নিতে হবে এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

গবেষকেরা মত দিয়েছেন, সংকট পরিস্থিতিতে এআই ব্যবহার করা হলেও মানুষের দায়দায়িত্ব, সম্পাদনা ও জবাবদিহির জায়গাতে পাশ কাটানো যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই স্মৃতি ক্যারম টুর্নামেন্টে রবিন ও আফসানা চ্যাম্পিয়ন
  • ‘আমরা সবাই ফিলিস্তিনি’ স্লোগানে প্রকম্পিত সিডনির হারবার ব্রিজ
  • সংবাদ কে লিখেছে—মানুষ না এআই, এতে বিশ্বাসযোগ্যতা বদলায়
  • রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন