Samakal:
2025-08-01@01:40:04 GMT

রোমান্টিক সংলাপ

Published: 13th, February 2025 GMT

রোমান্টিক সংলাপ

বলিউডের অনেক সিনেমায় ব্যবহৃত প্রেমিক-প্রেমিকার মুখের কত বুলি যে বাস্তবের প্রেমিক-প্রেমিকা সঠিক প্রয়োগ করে প্রিয়জনের হৃদয় জিতে নিয়েছেন, তা বলা মুশকিল। ‘মুঘল-ই-আজম’ থেকে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’সহ আরও অনেক ছবির রোমান্টিক সংলাপগুলো এখনও চিরসবুজ। আগামীকাল ভালোবাসা দিবস। মনের মানুষকে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য উপযুক্ত দিন এটি। সিনেমায় ব্যবহার করা সংলাপগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। বলা যায় না, কখন কোনটা কাজে লেগে যায়!

ইয়ে জাওয়ানি হে দিওয়ানি

আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থেকো না, আমি আবার তোমার প্রেমে পড়ে যাব।

আশিকি টু

প্রেম, ভালোবাসা– এসব কেবলই শব্দ, বাক্যের বাইরে কিছুই নয়। আবার তুমি যখন প্রেমে পড়বে, কেবল তখনই ওই সব শব্দ, বাক্য ভাষা পাবে, অর্থ তৈরি করবে।

দিল চাহতা হ্যায়

আমি নিশ্চিত যে, আমি জন্মেছি শুধু তোমাকে ভালোবাসতে এবং তুমি একদিন আমার হয়ে উঠবে।

কাহো না প্যায়ার হ্যায়

তোমাকে দেখার জন্য আমার এই দুই চোখের দরকার নেই। আমি চোখ বন্ধ করে মনের দরজা খুলে তোমাকে আরও স্পষ্ট দেখতে পাই।

কোয়ি মিল গায়া

আমার বিশ্বাস, আমার জন্ম হয়েছে তোমার প্রেমে পড়ার জন্য। তোমাকে ভালোবাসার জন্য। তুমি জন্মেছ একদিন আমার হবে বলে।

যাব উই মেট

যখন কেউ প্রেমে পড়ে, তখন সে ভুল, নির্ভুলের ঊর্ধ্বে চলে যায়।

কাল হো না হো

প্রেম তো কত লোকেই করে। আমার মতো তীব্র প্রেমে কেউ কখনও পড়েনি। কারণ, অন্য কারও কাছে তো তুমি নেই।

ফানা

আমাকে ছেড়ে যাবে কীভাবে? আমাকে মুছে ফেলবে কীভাবে? আমি তোমার নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ, শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়া বাঁচবে কীভাবে?

কুছ কুছ হোতা হ্যায়

আমরা একবার জন্ম নিই, একবার মারা যাই, একবার বিয়ে করি আর একবারই প্রেমে পড়ি।

ওম শান্তি ওম

আমি পাগলের মতো হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজেছি, পেতে চেয়েছি। তাই মহাবিশ্ব আর তার সবকিছু, সব শক্তি তোমাকে আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

এ দিল হ্যায় মুশকিল

ভালোবাসা। ভালোবাসা হলো এক তুফানের মতো; যা তোমাকে পৃথিবীর বিরুদ্ধে কখনও বিদ্রোহী করে তোলে, আবার সেই ভালোবাসাই তোমাকে পৃথিবীর সব থেকে শান্তি এনে দিতে পারে।

মহব্বতে

ভালোবাসাও জীবনের মতোই। সব মুহূর্ত সহজ হয় না, সব পরতে সুখ মেলে না। আমরা যদি জীবনের সঙ্গ না ছাড়ি তবে ভালোবাসার সঙ্গ কেন ছাড়ব।

দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে

আমার এমনই একজন প্রয়োজন, যাকে দেখতেই মনের সব আকাঙ্ক্ষা, সব রং, সব স্বপ্ন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এখনও তা হয়নি। এখন মনে হচ্ছে, মেঘের আড়াল থেকে কোনো একজনের চেহারা উঁকি দিচ্ছে। জানি না কখন সে মেঘ সরিয়ে দেখা দেবে।

হাম দিল দে চুকে সনম

পরের সাত জনম ধরে তুমি বনরাজেরই থাকবে। আট নম্বর জনমে তুমি আমার হবে। তখন কোনো বনরাজ থাকা যাবে না, প্লিজ। আর নন্দু তুমি আমায় এভাবে দেখো না– কারণ, তুমি আবার আমার প্রেমে পড়ে যাবে.

..

বীর-জারা

আমি জানি না ভালোবাসা কী জিনিস... হ্যাঁ, জারার জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি যে, তার চোখে কখনও অশ্রু না আসুক। সে সব সময় সুখী থাকুক। এখন এটা যদি ভালোবাসা হয়, তবে ভালোবাসাই হোক।

সিলসিলা

আমি ও আমার একাকিত্ব প্রায়ই কথা বলি, তুমি থাকলে কী হতো, তুমি এটা বলতে, তুমি সেটা করতে। তুমি এ কথায় চিন্তায় পড়তে, তুমি ওই কথায় কতটা হাসতে, তুমি থাকলে এমন হতো, তুমি থাকলে কেমন হতো!

বাজিরাও মাস্তানি

ভালোবাসা জটিল। সেই জটিল ভালোবাসার মধ্যেও কীভাবে শান্তি পেতে হয় তা খুব কম লোকই জানে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য একব র

এছাড়াও পড়ুন:

গংগাচড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, আতঙ্ক কাটেনি এখনও

রংপুরের গংগাচড়ায় ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঘিরে সহিংসতার শিকার হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তবে ঘটনার তিন দিন পরেও এলাকায় ফেরেনি অনেক পরিবার। আতঙ্কে এখনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।

গত ২৭ জুলাই রাতে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার আগে এলাকায় মাইকিং করে লোকজন জড়ো করা হয়।

পুলিশ, প্রশাসন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, যারা হামলা করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ‘বহিরাগত’। পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে লোকজন এসে হামলা চালিয়ে চলে যায়। হামলার সময় ২২টি ঘরবাড়ি তছনছ ও লুটপাট করা হয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প বসানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঢেউটিন, কাঠ, চাল-ডাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে। তবু আতঙ্কিত পরিবারগুলো। 

ক্ষতিগ্রস্তদের একজন অশ্বিনী চন্দ্র মোহান্ত বলেন, “সেদিনের ঘটনা ছিল এক ভয়াবহ। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ম অবমাননাকারী কিশোরকে থানা হেফাজতে দিয়েছি। কিন্তু তারপরও ঘরবাড়ি রক্ষা হয়নি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এবং কিছু মুরুব্বি আমাদেরকে অভয় দিয়েছিলেন, কিন্তু রক্ষা হয়নি।” 

তিনি আরো বলেন, “আমরা নিজেরাই অভিযুক্ত কিশোরকে থানায় সোপর্দ করেছি। তারপরও মিছিল নিয়ে এসে দুই দফায় আমাদের ২০ থেকে ২৫টি ঘরবাড়ি তছনছ করে দিয়ে লুটপাট করেছে তারা। এদের মধ্যে অধিকাংশ লোকেই অপরিচিত।” 

আরেক ভুক্তভোগী দেবেন্দ্র চন্দ্র বর্মন জানান, “প্রথমে অল্পসংখ্যক কম বয়সী কিছু ছেলে আসে। পরে হাজারো লোকজন এসে আমাদের বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায়। অনেকেই এখনো আত্মীয়দের বাড়িতে। আমরা চরম আতঙ্কে আছি।”

রবীন্দ্র চন্দ্রের স্ত্রী রুহিলা রানী বলেন, “ছোট ছেলেটা যদি ভুল করে থাকে, আমরা তাকে থানায় দিয়েছি। কিন্তু তারপরও এমন ধ্বংসযজ্ঞ কেন? আমাদের গরু, সোনা-টাকা সব লুটে নিয়েছে। শুধু চাল-ডাল আর টিনে কি জীবন চলে?”

গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুসহ একটি প্রতিনিধি দল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

গংগাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরটিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক নিরাপত্তায় নিয়োজিত।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান মৃধা বলেন, “অপরাধীদের ধরতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে সহায়তা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।” 

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্যমতে, হামলায় ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ২২টি পরিবার বসবাস করতেন। ঘর মেরামতের পর কিছু পরিবার ফিরলেও অভিযুক্ত কিশোর ও তার চাচার পরিবারের কেউ এখনো ফিরে আসেনি।

ঢাকা/আমিরুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
  • ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
  • মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়-সূচি ঘোষণা
  • গংগাচড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, আতঙ্ক কাটেনি এখনও