আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিম পা রেখেছেন প্রায় ২০ বছর হলো। ওয়ানডে খেলছেন ১৯ বছর ধরে। মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতাও মুশফিকের মতো। তিনি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন ১৮ বছর ধরে।

এই দুজনের এখনো খেলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে খেলা না ছাড়ায় অবাক হয়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার কার্তিক।

বিপিএল থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন মুশফিক। ১৪ ম্যাচে রান করেছিলেন মাত্র ১৮৪। এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ম্যাচেও আউট হয়েছেন ০ ও ২ রানে। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহও কাল ফিরে গেছেন ৪ রান করে। এ কারণেই দলে তাদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে কার্তিক জাকের আলীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টেনেছেন এই দুই ক্রিকেটারর প্রসঙ্গ।

আমার মনে হয় কোনো না কোনো সময়ে তরুণদের জন্য জায়গাটা ছাড়তে হবে। কারণ, এটা দলকে স্থিতিশীল করবে।দীনেশ কার্তিক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের হয়ে রান করেছেন জাকের। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংসের পর কাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৪৫ রানের ইনিংস। দুদিনই জাকের খেলেছেন ৭ নম্বরে। শীর্ষ পাঁচে জাকেরের ব্যাটিং করা নিয়ে প্রশ্ন করার পর কার্তিক মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে টেনে এনেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষেই মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ অবসর নেবে। তবে তারা খেলা চালিয়ে যাওয়াটাকেই বেছে নিয়েছে। জানি না আর কত দিন খেলবে। (খেললে) আমি অবাক হব। অবশ্য তারা আমাকে অনেক বিস্মিত করেছে। সম্ভবত আরও কিছুদিন খেলবে।’

আরও পড়ুনতাঁর মৃত্যুর খবরটা আপনি কীভাবে পেয়েছিলেন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কার্তিক যোগ করে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় কোনো না কোনো সময়ে তরুণদের জন্য জায়গাটা ছাড়তে হবে। কারণ, এটা দলকে স্থিতিশীল করবে। প্রথমদিকে তারা হয়তো স্ট্রাগল করবে, তবে শেষে গিয়ে এটাই তাদের সাফল্য দেবে। ২০২৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভালো করতে চাইলে এমনটাই হওয়া উচিত। তাদের(বাংলাদেশের) বড় পরিসরে ভাবতে হবে, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।’

বিপিএলে একসঙ্গে ফরচুন বরিশালে খেলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি না হয়েও স্বেচ্ছায় কারাগারে যাওয়া সেই যুবক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে মাদকের একটি মামলায় আসামি সেজে আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যাওয়া এক যুবককে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম মো. রাকিব। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামি মো. সুমনের হয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন রাকিব। আদালতের আদেশে ১ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে আটক রাকিবকে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট নগরের আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে অভিযান চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে র‌্যাব, যার মূল্য ৪ লাখ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গাড়িচালক রাহাত ইসলামকে। পালিয়ে যান চালকের সহকারী (হেলপার) মো. সুমন। এ ঘটনায় র‌্যাব কর্মকর্তা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে রাহাত ইসলাম ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়।

আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামি সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে সুমনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে সুমন নিজেকে কারামুক্ত রাখতে তাঁর পরিবর্তে নোয়াখালীর রাকিবকে আদালতে আত্মসমর্পণ করায় ১ জুলাই। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সুমনের হয়ে রাকিব আত্মসমর্পণের সময় তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ওয়াহিদ মুরাদ।

আদালতে একজনের পরিবর্তে আরেকজন আত্মসমর্পণের বিষয়টি ধরা না পড়লেও কারাগারে গিয়ে ধরা পড়ে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজে (তথ্যভান্ডার) ভোটারদের আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত আছে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আঙুলের ছাপে ধরা পড়েছে অনেক বন্দীর আসল পরিচয়। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের জুলাই পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা ১৬ জনের আঙুলের ছাপে শনাক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে কারাগারে আসা প্রত্যেক নতুন আসামির আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। সেখানে আসামির জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা আসল পরিচয় উঠে আসে। ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘সুমনের হয়ে কারাগারে আসা রাকিব স্বীকার করেছেন তিনি মাদক মামলার প্রকৃত আসামি নন। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি সুমন সেজেছেন। তাঁকে বলা হয়েছে, দ্রুত কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হবে। তাই তিনি রাজি হয়েছেন। বিষয়টি চিঠি দিয়ে আদালতকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুনচট্টগ্রামে ‘আয়নাবাজি’, ধরা পড়েছে আঙুলের ছাপে০৮ নভেম্বর ২০২৩

কারাগার থেকে চিঠি পাওয়ার পর মামলা করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে আসামিকে আত্মসমর্পণকারী আইনজীবী ওয়াহিদ মুরাদের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার আকবর শাহ থানার জিআরও সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় মো. রাকিব ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়। সুমন এখনো পলাতক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা
  • গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ
  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়ালো
  • আসামি না হয়েও স্বেচ্ছায় কারাগারে যাওয়া সেই যুবক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার