গাছ সুরক্ষায় রাজশাহীতে মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টুকটুক তালুকদার। রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে পেরেক অপসারণ কার্যক্রম চলবে।

গাছের প্রাণ আছে, তা উপলব্ধির বিষয় উল্লেখ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, “গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে। গাছের এই উপকারিতাগুলো আমরা উপলদ্ধি করতে পারি না বলেই মাঝে মাঝে গাছের মধ্যে পেরেক মারি। এটা অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার।”

তিনি আরো বলেন, “গাছে পেরেক অপসারণে শুধু সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং ছাত্রদের দিয়ে সম্ভব নয়। প্রত্যেক মানুষকে সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচিতে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু মাসব্যাপী কর্মসূচি করলেই হবে না, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে দেখা যাবে, পরের মাসে আবারো গাছে পেরেক মারা হচ্ছে। তাহলে এ উদ্দেশ্য সফল হবে না।”

রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যাবিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.

মনতাজ আলী সরকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের শাখা ও ক্লাস্টার ম্যানেজার দুলাল মিয়াসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশ কাটতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণ, বাংলাদেশি আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে বাঁশ কাটতে গিয়ে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মনসুর আহমেদ (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, তার বাম পায়ের গোড়ালি শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ১২টার দিকে সীমান্তের বাইশফাঁড়ীর তুইঙ্গাঝিরি বিওপির কাছাকাছি ৩৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন কাঁটাতারে পাশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটনাটি ঘটে। 

শুক্রবার (২ মে) নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুরুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

আহত মনসুর আহমেদ কক্সবাজার উখিয়া রাজাপালং ইউপির তুলাতলির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনসুর আহমেদ প্রায় সীমান্ত এলাকা থেকে কাঠ ও বাঁশ সংগ্রহ করে থাকেন। বৃহস্পতিবার বাঁশ সংগ্রহ করতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যান তিনি। সেখানে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ