আল্লু-স্নেহার ‘সিনেমাটিক’ প্রেম-বিয়ে
Published: 7th, March 2025 GMT
ভালোবেসে স্নেহা রেড্ডির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ‘পুষ্পা’ তারকা আল্লু অর্জুন। গতকাল ছিল এ দম্পতির ১৪তম বিবাহবার্ষিকী। দুই সন্তান নিয়ে বিশেষ দিনে কেক কাটেন এই যুগল।
কেক কাটার নানা মুহূর্তের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন স্নেহা। তবে এসব ছবিতে আর কাউকে দেখা যায়নি। কেবল দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটতে দেখা যায় আল্লু-স্নেহাকে।
আল্লু অর্জুন ও স্নেহা রেড্ডির প্রেম-বিয়ের গল্প বেশ সিনেমাটিক। অনেকটা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রিয় মানুষকে আপন করে পেয়েছেন তারা। চলুন জেনে নিই এ দম্পতির প্রেম-বিয়ের গল্প।
আরো পড়ুন:
ঘুম না আসায় ১৮টি ট্যাবলেট খেয়েছিলাম: সংগীতশিল্পী কল্পনা
১৪ কেজি সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার: মুখ খুললেন পুলিশ অফিসার বাবা
আল্লু-স্নেহার প্রথম দেখা
বন্ধুর বিয়েতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন আল্লু অর্জুন। সেখানেই স্নেহা রেড্ডিকে প্রথম দেখেন এই অভিনেতা। আর প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন। এক বন্ধুর মাধ্যমে স্নেহার সঙ্গে পরিচয় হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে দু’জনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। কিন্তু সেখানেই শেষ; পরবর্তীতে আর যোগাযোগ হয়নি।
প্রথম ডেট
স্নেহাকে যেন কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না আল্লু। বন্ধুরাও তাকে জোর করছিলেন মেসেজ পাঠাতে। পরে মুঠোফোনে মেসেজ পাঠালে তাতে সাড়া দেন স্নেহা এবং দু’জনের মধ্যে কথা শুরু হয়। এরপর পুনরায় দেখা করার পরিকল্পনা করেন তারা। প্রথম ডেটে একে অপরের সঙ্গ পছন্দ হয় তাদের। এরপর নিয়মিত দেখা করতে শুরু করেন। ফলে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হতে থাকে। ধীরে ধীরে পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এক সময় বিয়ের পরিকল্পনা করেন। যদিও সবকিছু গোপনেই করছিলেন এই জুটি।
আল্লু-স্নেহার প্রেমেও কাঁটা
আল্লু-স্নেহার প্রেম কাহিনিতেও ছিল বাধা। তাদের প্রেমের কথা জানতে পারেন আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ। বাবার কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন আল্লু অর্জুন। স্নেহাকে বিয়ে করতে চাওয়ার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে, স্নেহার বাবা কেসি শেখর রেড্ডি ছিলেন ব্যবসায়ী। দু’জনের পরিবারই তাদের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু আল্লু ও স্নেহা কোনোভাবেই পরস্পরকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। অনেকটা বাধ্য হয়েই দুই পরিবার একত্রিত হন এবং এই জুটির বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
বিয়ে ও সন্তান
২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর বাগদান সারেন আল্লু অর্জুন ও স্নেহা। এ সময় তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। এর প্রায় তিন মাস পর ২০১১ সালের ৬ মার্চ বিয়ে করেন আল্লু ও স্নেহা। ২০১৪ সালে এ দম্পতির ঘর আলো করে আসে তাদের প্রথম সন্তান আল্লু আয়ান। এর দুই বছর পর তাদের মেয়ে আল্লু আরহার জন্ম হয়।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন আল ল বন ধ র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে ফারইস্টকে বিদায় করে এআইইউবিকে ফাইনালে তুললেন রাজীব
ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রথম সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের গত আসরের রানার্সআপ এআইইউবি জিতেছে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের রানার্সআপ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে ম্যাচটি ছিল ২-২ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে এআইইউবি জেতে ৬-৫ গোলে।
টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছে এআইইউবি। নির্ধারিত সময়ে দুবার পিছিয়ে ম্যাচে ফিরেছে তারা, টাইব্রেকারেও একপর্যায়ে পিছিয়ে ছিল দলটি। টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে এআইইউবিকে ফাইনালে তুলে নেন গত মৌসুমে দেশের শীর্ষ লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা গোলকিপার রাজীব ইসলাম।
জাতীয় স্টেডিয়ামে গোটা ম্যাচজুড়েই ছিল টান টান উত্তেজনা। টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটে দুই দলই গোল করে। এআইইউবির আজিজুল হক অনন্তর নেওয়া পঞ্চম শট পোস্টে লাগে। এরপর এআইইউবির গোলকিপার রাজীব প্রতিপক্ষ গোলকিপার আরমান হোসেনের শট আটকে দলকে ম্যাচে রাখেন। তখন স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪।
এরপর সাডেন ডেথের প্রথম শটে দুই দলই গোল করে, ৫-৫। কিন্তু সাডেন ডেথে ষষ্ঠ শটে এআইইউবি গোল করলেও ফারইস্টের সালমান গোল করতে পারেননি। তাঁর শট আটকে দেন এআইইউবির গোলকিপার রাজীব। আরমান ও সালমান দুই ভাই।
দুজনই টাইব্রেকারে শট মিস করেন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জেতে এআইইউবি।
ফারইস্টের দুর্ভাগ্য, দুবার এগিয়ে গিয়েও এবং টাইব্রেকারে লিড নিয়েও তারা জিততে পারেনি। পারেনি এআইইউবির গোলকিপার রাজীব ইসলামের দৃঢ়তায়। জয়ের পর গোলকিপার রাজীবকে নিয়ে এআইইউবি মেতে ওঠে উল্লাসে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন এআইইউবির জয়ের নায়ক রাজীব।
মূল ম্যাচে এআইইউবির প্রাধান্য ছিল। তবে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে তারা জিততে পারেনি। ৩০ মিনিটে গোল করে ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামা ফারইস্টকে এগিয়ে দেন ব্রাদার্সের ফরোয়ার্ড মেরাজ প্রধান।
বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে প্লেসিং করেন তিনি। ৪৪ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন এআইইউবির আরিফুল হক। ৫৪ মিনিটে আবার গোল করে ফারইস্টকে এগিয়ে নেন মেরাজ। তবে দ্রুতই সেই গোল শোধ হয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে গোলাম রাব্বি গোল করে ম্যাচে ২-২ সমতা ফেরান। এরপর ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে এআইইউবি।
ফারইস্ট আজ তাদের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে পায়নি। বাংলাদেশ লিগে খেলা থাকায় খেলতে পারেননি আবাহনীর ফরোয়ার্ড আসাদুল মোল্লা, একই দলের গোলকিপার পাপ্পু হোসেন, পুলিশের মিডফিল্ডার এমএস বাবলু, ফকিরেরপুলের ফরোয়ার্ড স্বাধীন হোসেন, প্রথম বিভাগের ডিফেন্ডার লিহান উদ্দিন এবং অধিনায়ক আল আমিন ও সেনাবাহিনীর গোলকিপার আশরাফুল।
ফারইস্ট পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুধু মেরাজকে। সেই মেরাজ দুই গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আরামবাগের মিডফিল্ডার ওমর ফারুক মিঠু ও আক্কাস আলী, মোহামেডানের স্ট্রাইকার সৌরভ দেওয়ান, ডিফেন্ডার আজিজুল হক ও জাহিদ হাসানকে পেয়েছে এআইইউবি। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় খেলতে পারেননি রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলফাজ মিয়া।
ম্যাচসেরার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. মঞ্জুর ই খোদা তরফদার, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের বিপণন মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য, জাহিদ হাসান এমিলি ও মামুনুল ইসলাম।
গত বছর ফাইনালে এআইইউবি হেরে যায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাছে। এবার তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। ম্যাচটি আজই জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।