পুলিশ পরিচয়ে একটি রাবারবাগানের গুদামে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল। তবে পোশাক ও অস্ত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় গুদামের কর্মচারীরা স্থানীয় লোকজনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালাতে থাকেন ডাকাত দলের সদস্যরা। তবে ধাওয়া দিয়ে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ডাকাতকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

গতকাল রোববার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম (৪০)। তাঁর বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের করলিয়ামুরা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, রাতে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন একটি রাবারবাগানের গুদামে ঘটনাটি ঘটেছে। ছয় থেকে আটজনের সশস্ত্র ডাকাত দলটি রাবার লুট করার উদ্দেশ্যে গুদামটিতে যায়। এরপর কর্মচারীদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতেরা রাবারবাগানের গুদামটিতে ঢুকে পড়েন।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতদের গুলিতে মো.

আলী (৫৫) ও মকবুল হোসেন (৪১) নামের স্থানীয় দুই বাসিন্দাও আহত হয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসরুরুল হক বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুল করিমসহ আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আব্দুল করিমকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি