গুলি ছুড়ে পালাচ্ছিল পুলিশ পরিচয়ে হানা দেওয়া ডাকাত দল, অস্ত্রসহ একজন গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
পুলিশ পরিচয়ে একটি রাবারবাগানের গুদামে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল। তবে পোশাক ও অস্ত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় গুদামের কর্মচারীরা স্থানীয় লোকজনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালাতে থাকেন ডাকাত দলের সদস্যরা। তবে ধাওয়া দিয়ে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ডাকাতকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গতকাল রোববার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম (৪০)। তাঁর বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের করলিয়ামুরা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, রাতে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন একটি রাবারবাগানের গুদামে ঘটনাটি ঘটেছে। ছয় থেকে আটজনের সশস্ত্র ডাকাত দলটি রাবার লুট করার উদ্দেশ্যে গুদামটিতে যায়। এরপর কর্মচারীদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতেরা রাবারবাগানের গুদামটিতে ঢুকে পড়েন।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতদের গুলিতে মো.
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসরুরুল হক বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুল করিমসহ আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আব্দুল করিমকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।