Samakal:
2025-09-18@00:07:01 GMT

জমিতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

Published: 13th, March 2025 GMT

জমিতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

চলতি মৌসুমে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এর পরও দুশ্চিন্তায় বৃহত্তর সিলেটের শস্যভান্ডারখ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় টমেটো চাষিরা বলছেন, ফলন ভালো, বাজারে চাহিদাও আছে। এর পরও টমেটো তুলে আড়তে বিক্রি করে পরিবহন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা। ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে  অনেক কৃষকের টমেটো।

জানা গেছে, উপজেলার প্রান্তিক কৃষক এবং স্থানীয়দের অনেক দিনের দাবি একটি হিমাগার স্থাপনের। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পর্যায় থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। একটি হিমাগার থাকলে এভাবে নষ্ট হতো না কৃষকের কষ্টের ফসল। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই এই টমেটো বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। এখন হিমাগারে সংরক্ষণ করা গেলে তখন লাভের মুখ দেখতেন চাষিরা।

উপজেলার ভানুগাছ বাজারের আড়তদার শরিফ উদ্দিন জানান, গত এক মাস ধরে আড়তে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে। এর আগের সপ্তাহে বিক্রি ছিল ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি। বাজারে টমেটোর দাম এতটাই কম যে, কৃষক টমেটো তুলতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সংরক্ষণের সুযোগ থাকলে এখন কমে বিক্রি করে পরে মুনাফাও করতে পারতেন কৃষক। এতে বাজারে টমেটোর দামও সহনীয় থাকত। কোনো পক্ষের কষ্ট হতো না।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আদমপুর এবং মাধবপুরে সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়। যারা আগাম টমেটো চাষ করেছিলেন তারা লাভবান হলেও বাকিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মাধবপুর ইউনিয়নের টমেটো চাষি সুলেমান, বকুল, শামীম ও বুরহান জানান, আগে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা টমেটো নিতে এলেও এখন কোনো পাইকার আসছে না। আগের মতো টমেটোর চাহিদা এখন নেই। টমেটো তোলা বা ভাড়া দিয়ে বাজারে নিয়ে ৪-৫ টাকা কেজি বিক্রি করে কোনো লাভ হয় না। তাই ফসলই তোলা বন্ধ।

আমদপুরের কৃষক মোস্তাফা কামাল জানান, বিক্রির চেয়ে খরচ বেশি। সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে মানুষ এখনও কম দামে খেতে পারত, পরেও বাজারে টমেটো পাওয়া যেত। দাম অসহনীয় হতো না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, টমেটো একটি পচনশীল কৃষিপণ্য। উৎপাদ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। যারা আগাম টমেটো চাষ করেছেন, তারা ভালো দাম পেয়েছেন। এ ছাড়া এখন যারা টমেটো লাগাবেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারাও ভালো দাম পাবেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় হিমাগার স্থাপনের বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, এ উপজেলার কৃষকের কষ্টের ফসল সংরক্ষণে সম্প্রতি সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নজরে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফসল উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার