ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 14th, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর ফলে তিন ঘণ্টা পর এই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, আজ সকাল ৯টার দিকে ঈদুল ফিতরের বোনাসসহ কয়েকটি দাবিতে মহানগরীর তেলিপাড়ায় অবস্থিত ‘স্মাগ সোয়েটার’ নামে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন।
আরো পড়ুন:
ঈদ বোনাসের দাবি
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, যান চলাচল বন্ধ
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ, ফিরতি টিকিট ২৪ মার্চ
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, আজ সকালে স্মাগ সোয়েটার নামের কারখানার দুই থেকে তিন শতাধিক শ্রমিক ঈদুল ফিতরের বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে দুুপুর ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, “কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন অবর ধ সড়ক অবর ধ ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকার রমনা থানায় এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি।
মামলার আবেদনে, জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনাটি রমনা থানায় ঘটেনি। তারপরও মামলার আবেদনটি নেওয়া হয়েছে। আবেদনটি পর্যালোচনার পাশাপাশি ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও আবেদনটি পাঠানো হয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ান দুই দলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দলটির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেন। তখন দলের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানান। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতা-কর্মী তা উপেক্ষা করে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশালমিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ান। তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান। জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন বলে জানায় আইএসপিআর।