ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুরে  কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। ছিল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। 

সকাল ১০টায় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। পরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আনসারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ফরিদপুর আবৃত্তি সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এ দিন জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কবির বাড়ির আঙিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) সুস্মিতা সাহা,  প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ সামাদ, কবিপুত্র খুরশিদ আনোয়ার, অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন, বিএনপি নেতা এ এফ কাইয়ুম জঙ্গী, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর গল্প, কবিতা, উপন্যাস চর্চার তাগিদ দেন বক্তারা। 

পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মারা যান তিনি। ছাত্রজীবনে লেখা তাঁর ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানী’ তাঁর বহুল পঠিত কবিতাগুলোর অন্যতম। এ ছাড়া মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নক্সী-কাঁথার মাঠ, ঠাকুরবাড়ির আঙিনায় প্রভৃতি লেখায় গ্রামবাংলার শাশ্বত রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি–বাকরি: ১ (৪৯তম বিসিএসে দায়িত্ব পালনে ১৯৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)

১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ)। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ১৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ১৮৪টি হলে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একজন করে মোট ১৮৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষে (কন্ট্রোল রুম) দায়িত্ব পালন করবেন আরও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’–এর ৫ ধারার বিধান মোতাবেক পরীক্ষার সময়, পরীক্ষাকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুনগণপূর্ত অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬৬৯২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত থাকতে হবে। এর বাইরে প্রজ্ঞাপনে পরীক্ষার দিন ভোর চারটায় সচিবালয়ে রিপোর্ট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) ২০২৫ হচ্ছে শিক্ষার বিশেষ বিসিএস। এ বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) ৬৮৩টি পদের আবেদন করেছেন মোট ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী। ৪৯তম বিসিএসের পদগুলোতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ২২ জুলাই। আবেদনকারীদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা গত ২২ আগস্ট, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিল। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদনকারী প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ২০০ টাকা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারিত ছিল। ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে যে কেউ প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারতেন। ৬৮৩টি পদে ৩ লাখের বেশি প্রার্থী অংশগ্রহণ করায় প্রতি পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৫৬ জনের বেশি।

আরও পড়ুনচাকরির ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এবার ভিআর প্রযুক্তি৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কেন্দ্র শুধু ঢাকায়
  • চাকরি–বাকরি: ১ (৪৯তম বিসিএসে দায়িত্ব পালনে ১৯৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)