দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন এবং বিচার বিভাগের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের সাধারণ ছাত্র-জনতা আজ রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি মজিদ সড়ক অতিক্রম করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হয়ে ফরিদপুর কোট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘‘দেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা। আমরা চাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন জরুরি পদক্ষেপ নেয়।’’

তারা আরো বলেন, ‘‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগকে আরো দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে, যাতে অপরাধীরা দ্রুত শাস্তি পায়।’’ 

মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘আমরা ফরিদপুর কোর্ট চত্বরে এসেছি, আমাদের সম্মানিত আইনজীবীদের হুঁশিয়ার করে দিতে, যেন তারা ধর্ষকের পক্ষে না দাঁড়ায়। তাদেরও তো বোন রয়েছে, মা রয়েছে। ধর্ষক অন্য কারো মা-বোনের ক্ষতি করবে না, এটা কে বলেছে? তাই আমরা চাই, ধর্ষকের পাশে কেউ যেন দাঁড়ায় না।’’

বিক্ষোভ মিছিলে ফরিদপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেয়। 

ঢাকা/তামিম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে মাদক পাচারের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিস্টালমেথ (আইস) ও ইয়াবা পাচারের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার মৃত কাদের বকশের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৩) এবং একই ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮)।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের এমজি ব্যাংকার এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। মিয়ানমারের দিক থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে ছোট দুটি বস্তা কাঁধে নিয়ে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আসতে দেখে থামার নির্দেশ দেন বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে লোকগুলো রাতের অন্ধকারে গ্রামের ভিতরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তা দুটি জব্দ করা হয়। বস্তা খুলে ৪ কেজি ৩১৫ গ্রাম আইস এবং ১ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসব মাদকের আনুমানিক দাম ২৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ওই আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২৪ সালের ডিসেম্বরে আদালত গ্রেপ্তার আসামি আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ নুরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৫ নভেম্বর ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ দুজনের মত্যুদণ্ড এবং দুই রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। ওই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব
  • কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ কেন বাতিল হবে না, সাবেক ১১ কর্মীর বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ
  • শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল
  • টিউলিপ–রেহানা–হাসিনার মামলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি: দুদকের আইনজীবী
  • ক্ষমা চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি নেতানিয়াহুর
  • নারী ফুটবল দলের প্রতি বৈষম্য বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
  • কক্সবাজারে মাদক পাচারের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • স্পিড রিলস চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে স্মার্টওয়াচ ও স্পিড ক্যান জেতার সুযোগ
  • দৃষ্টিশক্তি বাড়াবে নতুন যন্ত্র
  • আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৪ বন্দি মুক্তি পাচ্ছে