রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের বাসায় ঢুকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, চাকু, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও স্টাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার হয়।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

ধর্ষণের দায় একাই নিচ্ছেন মাগুরার সেই শিশুর বোনের শ্বশুর

সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা হত্যা: এমপি ও এসপির বিরুদ্ধে মামলা

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- নগরের শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাজ্জাদুর রহমান (২৫), একই এলাকার হাসানুর রহমান রাব্বি (২৫), ভাড়ালিপাড়া এলাকার রাকিব হাসান (২৮) ও নগরের বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়া এলাকার সানি রহমান (৩০)।

আরএমপির মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গোপালগঞ্জের এক ব্যক্তি বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। রবিবার বিকেলে তার বান্ধবী জরুরি প্রয়োজনে বাসায় তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ পর চারজন দেশীয় অস্ত্রসহ জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করেন। তারা ওই দুইজনের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভুক্তভোগীদের মারধর এবং বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। অভিযুক্তরা ওই ফ্রিল্যান্সারের বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।

তিনি আরো জানান, অভিযুক্তরা ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করেন তারা। তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। ওই ফ্রিল্যন্সার কৌশলে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে নগরের শাহমখদুম থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ এল ক র নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী