সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে ৯ কেজি হরিণের মাংসসহ বাবু মোল্লা নামে এক শিকারীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেখালী ব্রীজের নিচ থেকে ওই শিকারীকে আটক করা হয়।

আটক চোরা শিকারী বাবু মোল্লা (৩২) শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেখালী গ্রামের মজিদ মোল্যার ছেলে।

আরো পড়ুন:

সাড়ে ২৫ লাখ টাকায় অপহৃত ৯ জেলে মুক্ত, ফেরেনি ৬ জন

সুন্দরবনে বাঘের মুখ থেকে জীবিত উদ্ধারের লোমহর্ষক ঘটনা

কৈখালী বনবিভাগের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) টিএম সুলতান জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে কয়েকজন চোরা শিকারী হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে লোকালয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৈখালী কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের সদস্যরা যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেখালী ব্রিজের নিচ থেকে ৯ কেজি হরিণের মাংসসহ  চোরাশিকারীকে আটক করা হয়।

তিনি ওই চোরা শিকারীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সে পেশাদার হরিণ শিকারী বলে স্বীকার করেছেন।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণের মাংসসহ আটক চোরা শিকারী বাবু মোল্লাকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে বন বিভাগের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

 সাতক্ষীরা/শাহীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দরবন স ন দরবন স

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে হরিণ শিকারে যাওয়া ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • ‘তোর সময় শেষ’ লেখা চিঠির সঙ্গে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে সাংবাদিককে হুমকি
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • সৌন্দর্যের সন্ধানে সুন্দরবনের গহীনে : দ্বিতীয় পর্ব
  • সাতক্ষীরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
  • সুন্দরবনে অস্ত্রসহ বনদস্যু আটক
  • উপকূল রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ধস, প্লাবনের আশঙ্কা সুন্দরবন তীরবর্তী জনপদে
  • সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে বড় ফাটল, ঝুঁকিতে ১৫ গ্রামের মানুষ