বরিশাল মহানগর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নগরীর টাউন হল চত্বরে এ মানববন্ধন করা হয়। 

শিবিরের মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারি হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক হাফেজ ডা.

রেজওয়ানুল হক।

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি। এক সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম, মহানগরীর অফিস সম্পাদক ইকরামুর রহমান, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান সুজন, বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘‘ইহুদিরা মুসা (আঃ) থেকে শুরু করে সভ্যতার উত্থান-পতনের প্রতিটি পড়তে পড়তে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এই পৃথিবীতে যত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তার বেশির ভাগই সৃষ্টি করেছে ইহুদিরা। যুদ্ধ বিরতির নামে বহু নাটক করে আবার সেই যুদ্ধবিরতি নিজেরাই ভঙ্গ করে বহু শিশুদের হত্যা করেছে। ইসরাইল পশ্চিমে শক্তি ও আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং সমর্থনে এই ধরনের গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিশ্ব বিবেকের প্রতি আহ্বান জানাই অনতিবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করুন এবং এখনই ইজরায়েলিদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান।’’ 

একটি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতি এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানোর দাবি তোলেন তিনি। 

জাতিসংঘের প্রতি আরো আহ্বান জানিয়ে ডা. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘‘মানবতার কথা শুধু মুখে না বলে কাজের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিন।’’ 

ভারত ইসরাইলসহ সারা বিশ্বে মুসলিমদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তার প্রতিবাদে বিশ্বের সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি। 

ঢাকা/পলাশ/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণহত য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তাঁর মা তাহমিনা বেগম (৫২) হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পৃথক তিনটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা। এরপর বেলা তিনটার দিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

নিহতের সহপাঠী নূর মোহাম্মদ সোহান বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী ও তাঁর মায়ের হত্যাকারী একজন ধর্ষক। আমাদের বোনের ওপর সে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের গাফিলতি আমরা লক্ষ করেছি।’

আরেক সহপাঠী মুনিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমাদের বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, যা লাশ উদ্ধারের সাত দিন পর জানা গেল। পুলিশ তদন্তে অবহেলা করেছে। আমাদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে এই জোড়া খুনের পেছনে আরও বড় কোনো শক্তি আছে কি না, তা সুষ্ঠু তদন্ত করে উন্মোচন করতে হবে। মামলা বিশেষ আদালতে হস্তান্তর করতে হবে। ধর্ষকের সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী সুমাইয়া ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে, তা বের করতে হবে পুলিশকে। এর পেছনে সুমাইয়ার পরিবারের কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও তদন্ত করতে হবে।’

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথমে পুলিশ বলেছিল, সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এবং তা দেখে ফেলার কারণে তাঁর মাকে হত্যা করা হয়। পরে জানা যায়, কবিরাজ মোবারক হোসেন সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশে গড়িমসি হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ ও মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘স্মারকলিপিটি পেয়েছি। রাষ্ট্রের কাজ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টি আমরা দেখব।’

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, ‘আমরা তদন্ত করছি। আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে নিহত তাহমিনা বেগম সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় তাঁরা বাসায় একা ছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তাহমিনা বেগমের দুই ছেলে বাসায় ফিরে হত্যার বিষয়টি টের পান। পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তাহমিনা বেগমের বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম। সেদিনই পুলিশ কবিরাজ মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ওই দিন রাতেই তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন