ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বরিশালে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন
Published: 19th, March 2025 GMT
বরিশাল মহানগর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নগরীর টাউন হল চত্বরে এ মানববন্ধন করা হয়।
শিবিরের মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারি হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক হাফেজ ডা.
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি। এক সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম, মহানগরীর অফিস সম্পাদক ইকরামুর রহমান, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান সুজন, বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘‘ইহুদিরা মুসা (আঃ) থেকে শুরু করে সভ্যতার উত্থান-পতনের প্রতিটি পড়তে পড়তে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এই পৃথিবীতে যত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, তার বেশির ভাগই সৃষ্টি করেছে ইহুদিরা। যুদ্ধ বিরতির নামে বহু নাটক করে আবার সেই যুদ্ধবিরতি নিজেরাই ভঙ্গ করে বহু শিশুদের হত্যা করেছে। ইসরাইল পশ্চিমে শক্তি ও আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং সমর্থনে এই ধরনের গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিশ্ব বিবেকের প্রতি আহ্বান জানাই অনতিবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করুন এবং এখনই ইজরায়েলিদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান।’’
একটি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতি এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানোর দাবি তোলেন তিনি।
জাতিসংঘের প্রতি আরো আহ্বান জানিয়ে ডা. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘‘মানবতার কথা শুধু মুখে না বলে কাজের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিন।’’
ভারত ইসরাইলসহ সারা বিশ্বে মুসলিমদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তার প্রতিবাদে বিশ্বের সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণহত য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরে মিছিল-সমাবেশ
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে নিরাপদ ও বাসযোগ্য মোহাম্মদপুর গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার অন্তত ৭০টি কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদপুর-আদাবরের সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের মাঠে জড়ো হয়। রোদের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দেয় তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও সেখানে আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কলেজের শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে মোহাম্মদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চাই। আজকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে না বলেছে। এভাবে এলাকায় যারা সন্ত্রাসী ও রাহাজানি করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। তবুও মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসী এলাকা, এমন কথা শুনতে হয়। আজকে মাদক আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। এ দৃষ্টান্ত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রা শুরু হোক মাদক ও সন্ত্রাসকে না বলার।
এ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, মোহাম্মদপুর ও আদাবরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও রাজনীতিবিদেরা একসঙ্গে কাজ করলে পরিবর্তন হতে বাধ্য।
সমাবেশ শেষে মিছিল করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘যে মুখে মা ডাকি, সে মুখে মাদক নয়’, ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’, ‘কিশোর গ্যাংয়ের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’, ‘চাঁদাবাজের আস্তানা, মোহাম্মদপুরে হবে না’ স্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিলটি কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে বের হয়ে তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, আসাদ অ্যাভিনিউ, টাউন হল ও শের শাহ সূরী রোড ঘুরে কিশলয় উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।