হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে ৪ কৌশলে বেশি হ্যাক করা হয়
Published: 21st, March 2025 GMT
হোয়াটসঅ্যাপের শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা থাকার পরও নিত্যনতুন বিভিন্ন কৌশলে ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করছে হ্যাকাররা। শুধু তা-ই নয়, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যবহারকারীদের পরিচিত ব্যক্তিদের বার্তা পাঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করছে তারা। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে চার কৌশলে বেশি হ্যাক করা হচ্ছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
ওটিপি চুরি
বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার প্রলোভনে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট বেশি হ্যাক করে থাকে হ্যাকাররা। ওটিপি ফিশিং নামে পরিচিত এ ধরনের প্রতারণা করার জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট সেন্টার বা পরিচিতদের ভুয়া পরিচয় কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের বার্তা পাঠায় তারা। এরপর পুরস্কার বা নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ওটিপি সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
সিম সোয়াপ
সিম সোয়াপ একধরনের হ্যাকিং কৌশল, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা নির্দিষ্ট ব্যক্তির সিম কার্ড নকল করে সেই ব্যক্তির বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। সিম সোয়াপের মাধ্যমে মূলত নির্দিষ্ট ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বদলে ফেলে হ্যাকাররা।
হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব হাইজ্যাক
হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণের মাধ্যমে ফোনের সংযোগ ছাড়াই কম্পিউটার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোপনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন কিছু সময়ের জন্য সংগ্রহ করে কম্পিউটারে সেই অ্যাকাউন্ট ইনস্টল করে নেয়। হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব হাইজ্যাক নামের এই কৌশল আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বেশি হয়ে থাকে।
মার্জ কল
ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে প্রথমে পরিচিত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ফোনকল করে থাকে হ্যাকাররা। এরপর ফোনকল চালু থাকা অবস্থায় জরুরি কারণ দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিকে কলে যুক্ত করার আহ্বান জানায়। ব্যবহারকারীরা অনুমতি দিলেই ফোনকলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি যাচাইকরণ কল হিসেবে কাজ শুরু করে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ওটিপি সহজেই সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য ক কর ব যবহ র পর চ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।