হোয়াটসঅ্যাপের শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা থাকার পরও নিত্যনতুন বিভিন্ন কৌশলে ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করছে হ্যাকাররা। শুধু তা-ই নয়, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যবহারকারীদের পরিচিত ব্যক্তিদের বার্তা পাঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করছে তারা। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যে চার কৌশলে বেশি হ্যাক করা হচ্ছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ওটিপি চুরি

বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার প্রলোভনে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট বেশি হ্যাক করে থাকে হ্যাকাররা। ওটিপি ফিশিং নামে পরিচিত এ ধরনের প্রতারণা করার জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট সেন্টার বা পরিচিতদের ভুয়া পরিচয় কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের বার্তা পাঠায় তারা। এরপর পুরস্কার বা নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ওটিপি সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

সিম সোয়াপ

সিম সোয়াপ একধরনের হ্যাকিং কৌশল, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা নির্দিষ্ট ব্যক্তির সিম কার্ড নকল করে সেই ব্যক্তির বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। সিম সোয়াপের মাধ্যমে মূলত নির্দিষ্ট ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বদলে ফেলে হ্যাকাররা।

হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব হাইজ্যাক

হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণের মাধ্যমে ফোনের সংযোগ ছাড়াই কম্পিউটার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোপনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন কিছু সময়ের জন্য সংগ্রহ করে কম্পিউটারে সেই অ্যাকাউন্ট ইনস্টল করে নেয়। হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব হাইজ্যাক নামের এই কৌশল আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বেশি হয়ে থাকে।

মার্জ কল

ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে প্রথমে পরিচিত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে ফোনকল করে থাকে হ্যাকাররা। এরপর ফোনকল চালু থাকা অবস্থায় জরুরি কারণ দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিকে কলে যুক্ত করার আহ্বান জানায়। ব্যবহারকারীরা অনুমতি দিলেই ফোনকলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি যাচাইকরণ কল হিসেবে কাজ শুরু করে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের ওটিপি সহজেই সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য ক কর ব যবহ র পর চ ত

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার