বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার ও শামীম ওসমানের দোসর রশিদ মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় দ্রুত রশিদ মেম্বারের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর আদেশ বাতিলের দাবি জানানো হয়। 

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন বের করে। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান, ফতুল্লা থানা মৎসজীবি দলের সাবেক সভাপতি রাসেল প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম আজাদ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীর গডফাদার শামীম ওসমানের দোসর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রশিদকে কিভাবে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। 

পরিষদে পূর্বের প্যানেল চেয়ারম্যান থাকা সত্বেও আইন বর্হিভূত ভাবে মোটা অংকের টাকা লেনদেনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ১নং ওয়ার্ড মেম্বার রশিদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। 

একজন আওয়ামী লীগের দোসর রশিদকে কিছুতেই চেয়ারম্যান হিসেবে বক্তাবলীবাসী মেনে নিবে না। 
বক্তারা আরো বলেন, রশিদ মেম্বার কত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়মের বাইরে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়ে গেলো। টাকার কাছে দেশের আইন কিভাবে বিক্রি হয়ে যায়।

 টাকার কাছে সরকারি লোক বিক্রি হলেও বক্তাবলীবাসী রশিদকে কখনো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিবে না। রশিদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে। এমনকি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। 

এদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ মিছিল বের করে কানাইনগরস্থ বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে হাজির হয়।

এই সময় রশিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে। পরে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় যুক্ত করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ ও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লা বিষয়টিকে জনগণের আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, ভাঙ্গা উপজেলা থেকে কেটে নেওয়া হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা এলাকাবাসীর পক্ষে চেয়ারম্যানের পাঁচটি দাবির কথা তুলে ধরে মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছেন। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান মোল্লা ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ২১৪ ফরিদপুর-৪ আসনে অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। 

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটের সূত্র উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ফরিদপুর-২ এবং ফরিদপুর-৪ এর সংসদীয় সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। উক্ত তালিকায় ফরিদপুর-৪ এর অন্তর্গত ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন, আলগী ও হামিরদী জাতীয় সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

তালিকা প্রকাশিত হওয়ার ফলে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নসহ ভাঙ্গা উপজেলার সাধারণ জনগণ উক্ত আসন বিন্যাস বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে ক্রমান্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়, ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয় ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখে। তৎপ্রেক্ষিতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণকে তীব্র ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির সমর্থনে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসনের ভাঙ্গা হতে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করে সংসদীয় আসন পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি দুইটি সংসদীয় আসনের জনগণ মেনে নিতে পারেনি। উক্ত দুইটি আসনের সর্বস্তরের জনগণ এ আন্দোলনের সাথে যুক্ত রয়েছে মর্মে জানা যায়। এ প্রেক্ষিতে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা না হলে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায়, জাতীয় সংসদীয় আসন ২১২ ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন আলগী ও হামিরদীকে জাতীয় সংসদীয় আসন ২১৪ ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) এর মধ্যে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বার্তায় হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা পাঁচটি দাবির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি পাঁচটি দাবিকে ভাঙ্গাবাসীর প্রাণের দাবি হিসেবে উল্লেখ করে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ দাবিগুলো মেনে নেওয়া হলে তারা ঘরে ফিরে যাবেন।

দাবিগুলো হলো- আলগী এবং হামিরদী ইউনিয়নকে পুনরায় ভাঙ্গা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করতে হবে; চেয়ারম্যানসহ সকলকে মুক্তি দিতে হবে; নিরীহ নিরপরাধ জনগণের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; নতুন কোনো মামলা দেওয়া যাবে না; রাতের বেলায় প্রশাসন দিয়ে সাধারণ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা/তামিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন