সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় আমরা মোহামেডানের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
Published: 26th, March 2025 GMT
কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সিদ্ধিরগঞ্জের আমতলা ও ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ ক্যালিক্স প্রিÑক্যাডেট স্কুল প্রঙ্গনে ২৫০ পরিবারের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী ও ৩ শত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রধান উপদেষ্টা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব বলেন, ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সমাজের প্রতিটি মানুষের করা উচিত, গরীব-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই প্রকৃত ঈদের আনন্দ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন,আমার স্বামী মরহুম হাবিবুর রহমান একজন ভালো মানুষ ছিলেন সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন, কিভাবে মানুষের সেবা করা যায় সেই চিন্তা করতেন। আপনারা আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহতালা তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ মরহ ম হ ব ব র রহম ন ক ন দ র য় আমর
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস