২০১২ সালে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দক্ষিণ আফ্রিকার এক ব্যবসায়ী এবং তার শ্বশুরকে মারধরের অভিযোগে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। শনিবার (২৯ মার্চ) এ মামলার সাক্ষ্য দেন অভিনেত্রী অমৃতা আরোরা।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিনেত্রী অমৃতা আরোরা। সেদিন হোটেলে কী ঘটেছিল তার বর্ণনাও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

স্ত্রী কারিনা কাপুর খান, কারিনার বোন কারিশমা কাপুর, মালাইকা অরোরা খান, অমৃতা আরোরা এবং দুজন বন্ধুসহ পাঁচ তারকা হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন সাইফ আলী খান। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের আলাদা একটি কক্ষ দিয়েছিলেন। সেখানে তারা খাবার খাচ্ছিলেন। তাদের পাশের টেবিলে বসেছিলেন ইকবাল শর্মা নামে এক ব্যক্তি।

আরো পড়ুন:

বাবা তুমি কি মারা যাচ্ছো, আহত সাইফকে প্রশ্ন করেছিল পুত্র তৈমুর

বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কারিনার রহস্যময় পোস্ট, উড়ছে নানা জল্পনা

পরের ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “হঠাৎ শর্মা আমাদের কক্ষে প্রবেশ করেন। খুবই আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলতে থাকেন, চিৎকার করে আমাদের চুপ করতে বলেন।”

সাইফের চিৎকারের আওয়াজ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “মূলত, শর্মার অসুবিধা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সাইফ তার কাছে ক্ষমাও চান। এমনকি তাকে নৈশভোজ করার নিমন্ত্রণও জানান সাইফ। এরপর বেরিয়ে যান ইকবাল। তবে আমরা কেউই বুঝতে পারিনি শর্মা কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর সাইফ ওয়াশ রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সাইফের চিৎকার শুনতে পাই।”

সাইফ আলীকে মারধরের ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “সাইফের চিৎকার শুনে আমরা ওয়াশ রুমের দিকে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, ইকবাল শর্মা সাইফকে মারধর করছেন। আমরা কোনোরকমে শর্মাকে থামাই। শর্মা চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি কে, তোমরা জানো না। আমি কী করতে পারি, তোমাদের কোনো ধারণাই নেই।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা

সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।

সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা