ব্যবসায়ীকে সাইফের মারধরের অভিযোগ, ঘটনার বর্ণনা দিলেন অমৃতা
Published: 30th, March 2025 GMT
২০১২ সালে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দক্ষিণ আফ্রিকার এক ব্যবসায়ী এবং তার শ্বশুরকে মারধরের অভিযোগে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। শনিবার (২৯ মার্চ) এ মামলার সাক্ষ্য দেন অভিনেত্রী অমৃতা আরোরা।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিনেত্রী অমৃতা আরোরা। সেদিন হোটেলে কী ঘটেছিল তার বর্ণনাও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
স্ত্রী কারিনা কাপুর খান, কারিনার বোন কারিশমা কাপুর, মালাইকা অরোরা খান, অমৃতা আরোরা এবং দুজন বন্ধুসহ পাঁচ তারকা হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন সাইফ আলী খান। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের আলাদা একটি কক্ষ দিয়েছিলেন। সেখানে তারা খাবার খাচ্ছিলেন। তাদের পাশের টেবিলে বসেছিলেন ইকবাল শর্মা নামে এক ব্যক্তি।
আরো পড়ুন:
বাবা তুমি কি মারা যাচ্ছো, আহত সাইফকে প্রশ্ন করেছিল পুত্র তৈমুর
বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কারিনার রহস্যময় পোস্ট, উড়ছে নানা জল্পনা
পরের ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “হঠাৎ শর্মা আমাদের কক্ষে প্রবেশ করেন। খুবই আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলতে থাকেন, চিৎকার করে আমাদের চুপ করতে বলেন।”
সাইফের চিৎকারের আওয়াজ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “মূলত, শর্মার অসুবিধা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সাইফ তার কাছে ক্ষমাও চান। এমনকি তাকে নৈশভোজ করার নিমন্ত্রণও জানান সাইফ। এরপর বেরিয়ে যান ইকবাল। তবে আমরা কেউই বুঝতে পারিনি শর্মা কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর সাইফ ওয়াশ রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সাইফের চিৎকার শুনতে পাই।”
সাইফ আলীকে মারধরের ঘটনা বর্ণনা করে অমৃতা আরোরা বলেন, “সাইফের চিৎকার শুনে আমরা ওয়াশ রুমের দিকে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, ইকবাল শর্মা সাইফকে মারধর করছেন। আমরা কোনোরকমে শর্মাকে থামাই। শর্মা চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি কে, তোমরা জানো না। আমি কী করতে পারি, তোমাদের কোনো ধারণাই নেই।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।