রংপুরের প্রধান ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
Published: 30th, March 2025 GMT
রংপুরের ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।
কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো.
ঈদের দিন আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একইসময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ঈদের জামাত কোথায় কখন
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ইতোমধ্যে ঈদগাহে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, ফ্যানের ব্যবস্থা করা ও সামিয়ানা টাঙানোসহ নামাজ আদায়ের জন্য অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
এবারে রংপুর বিভাগে প্রায় ৫ হাজার মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ঈদগাহ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজের সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের জামাত আদায়ের লক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। অন্যদিকে ঈদের নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে আইনশৃঙ্খলাসহ সকল বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে সকাল ৮টায় এবং মুন্সিপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। মাওলানা কেরামত আলী (রঃ) মাজার সংলগ্ন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মুলাটোল হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠ, নূরপুর, গনেশপুর ঈদগাহ, সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে, পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও কারবালা মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বদরগঞ্জ চান্দামারী কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় ১ হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে পুলিশ থাকবে। প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদগ হ ম ঠ প রস ত ত ক র মত মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর মাধ্যমে দেশটি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে আসছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে।”
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত Saida Shinichi-এর সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, ২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’তে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, কৃষি বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যু সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “জাপান বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।”
উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামা'তে ‘আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’ অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক এ এক্সপো'তে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।”
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর জাপান কৃষি খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারী দেশ। তাই জাপান বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা করতে পারে।”
তিনি বলেন, “জাপান বাংলাদেশের কৃষি পণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার স্থাপন ও কুলিং ভ্যান সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে পারে। তাছাড়া জাপান আমাদেরকে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সহায়তা করতে পারে।”
তিনি এসময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “কৃষি বিষয়ক দু'দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সর্বশেষ সভা ২০২৪ সালের মে মাসে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্রুত এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আয়োজন করা দরকার।”
উপদেষ্টা জানান, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভা এ বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সভা আয়োজনের বিষয়ে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তবে এটির আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ নেই, বরং দিন দিন এটির উন্নতি ঘটবে বলে আমি আশা করছি।”
পুলিশের সামর্থ্য ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির তুলনায় বর্তমানে পুলিশের সামর্থ্য, মনোবল ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি বেড়েছে।”
তিনি এসময় আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জাপানের সহায়তা কামনা করেন। তাছাড়া তিনি নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে পেট্রোল ভেসেল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা এবং অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে জাপানে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রেরণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ইন্টারপোল নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে জাপানের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে। উপদেষ্টা এ পদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস