পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বিলিয়নিয়ারদের বার্ষিক তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা–বাণিজ্যভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস। মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০২৫ সালের ধনীদের এই তালিকায় এখনো খেলছেন, এমন দুজন ক্রীড়াবিদ জায়গা করে নিয়েছেন—বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস ও গলফ কিংবদন্তি টাইডার উডস। অবসর নেওয়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে আছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান ও সাবেক বডিবিল্ডার আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার।
আরও পড়ুনফেরারির দামে অটোরিকশার পারফরম্যান্স, ৫৭ লাখে ১ রান২ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড়দের বাইরে ক্রীড়াজগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও জায়গা করে নিয়েছেন সবচেয়ে ধনীদের এ তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন ফুটবল ক্লাব, বাস্কেটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং আমেরিকান ফুটবল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন দুজন ক্লাবের মালিক।
ক্যারিয়ার শেষের আগেই ইতিহাসের প্রথম দুই ক্রীড়াবিদ হিসেবে ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার স্বীকৃতি পেলেন উডস ও জেমস। দুজনেই খেলাধুলা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেন। খেলার বাইরেও তাঁরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের অংশ হিসেবে লেব্রন জেমসের একটি কনটেন্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আছে। এমএলবিতে বোস্টন রেড সক্স ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের অন্যতম মালিক বহুমুখী এই প্রতিষ্ঠান।
২০০৩ সালে অবসর নেওয়া জর্ডান অ্যাথলেটদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। আর্থিক মূল্যে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৫০ কোটি ডলার (প্রায় ৪২ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা)। খেলার ভুবন থেকে এই আয়ের পাশাপাশি এনবিএর দল শার্লট হর্নেটসের মালিকানা থেকে বেশির ভাগ অংশ ২০২৩ সালে বেচেও দেন জর্ডান। শার্লট হর্নেটসের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
আরও পড়ুনরোনালদোর এবার জোড়া গোল, এক হাজারে পৌঁছাতে কত দিন লাগবে, জবাব দিল এআই৪ ঘণ্টা আগেহলিউড অভিনেতা ও সর্বকালের অন্যতম সেরা বডিবিল্ডার শোয়ার্জনেগারের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ১১০ কোটি ডলার। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও সিনেমা থেকে বেশির ভাগ অর্থ আয় করেন শোয়ার্জনেগার।
খেলার মাঠ থেকে এবার খেলাধুলার চেয়ার–টেবিলে চোখ ফেরানো যাক। সেখানে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের দল প্যারিস এফসির নতুন মালিক ও ফ্যাশন হাউস লুই ভুতনের চেয়ারম্যান বের্নাদ আরনাউল্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাব মালিক। ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের তালিকায় পাঁচে এই ফরাসি ধনকুবের। গত বছর আগাশে স্পোর্টসের মাধ্যমে প্যারিস এফসির সিংহভাগ মালিকানা বুঝে নেন আরনাউল্ত।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর এই তালিকায় দশম ব্যক্তিটিও একটি খেলাধুলার ক্লাবের মালিক। তিনি বাস্কেটবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্সের মালিক স্টিভ বলমের। তাঁর মোট সম্পদ আর্থিক মূল্যে ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে ২০১৪ সালে বাস্কেটবল দলটি ২০০ কোটি ডলারে কেনেন বলমের। ফোর্বসের হিসাবে, বর্তমান দলটির দাম ৪৬৫ কোটি ডলার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।