বগুড়ায় দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে বগুড়া শহরের কলোনি, বনানী ও গণ্ডগ্রাম গ্রাম এলাকা থেকে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি ধারালো বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় অস্ত্র আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া হামলার শিকার এক সাংবাদিক বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ১০ জনকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আবদুল মতিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫), গণ্ডগ্রাম নতুনপাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২২), একই এলাকার জিন্নাহ খানের ছেলে জিসান খান (২১), গণ্ডগ্রাম সারিয়াকান্দিপাড়ার মৃত মিলন হোসেনের ছেলে জিহাদ (২০) ও বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলা এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে টুটুল (২০)।

গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জেলখানা মোড়ে একটি জুস বারে দুই সাংবাদিকসহ তিনজন মারধরের শিকার হন।

আহত দুই সাংবাদিক হলেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের স্টাফ করেসপনডেন্ট আসাফুদৌলা (নিয়ন)। তাঁরা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকা তৌফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়েছিল।

বগুড়া জেলা ডিবির পরিদর্শক ইকবাল বাহার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েকজন জুস বারে জুসের অর্ডার করেছিলেন। কিন্ত সাংবাদিকেরা জুস বারে এসে আগে আগে জুস চান। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ইকবাল বাহার আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা রকিবুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। বার্মিজ চাকু উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শাজাহানপুর থানায় ডিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক খোরশেদ আলম বলেন, তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ বেলা তিনটার দিকে বগুড়া সদর থানায় সাংবাদিক আসাফুদৌলা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ