ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 9th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সানি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সাড়ে ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ঢাবির ভর্তিতে ‘আরবি’ জটিলতা থাকছে না
প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি
এর আগে, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের ব্যানার নামাতে বলায় সানি সরকারের ওপর হামলা করেন তারা। এতে সানি সরকারসহ বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী আহত হন।
হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘সানির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হিজবুত তাহরির নো মোর’, ‘হিজবুত তাহরিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম শিহাব বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানির ওপর হিজবুত তাহরিরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। তার ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদের ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সহকারে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি, এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাবিলা তালুকদার বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কালো পতাকা নামাতে বললে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মবের কথাই বলছে। সে যদি মারা যেত, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কী জবাব দিত?”
তিনি বলেন, “আমরা সানির ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কার্যক্রম ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”
ভুক্তভোগী সানির সহপাঠী কাজী খবিরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির মব সৃষ্টির মাধ্যমে সানি সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরবর্তিতে আমরা দেখেছি একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে হেডলাইন করেছে, সানি ইসরায়েলের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমের কর্তাব্যাক্তিদের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সঠিক সংবাদ প্রচার করুন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা বাংলাদেশ থেকে হিজবুত তাহরিরের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করছি।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর হ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার তিন শতাধিক কিন্ডারকাগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, সরকারি ও বেসরকারি সকল শিক্ষার্থীর অধিকার এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধন পূর্বক সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পরিবারের সমন্বয়ক মনিরুল হক মনির।
সভায় বক্তব্য রাখেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পরিবারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন ভুঁইয়া, এম এ মোমেন, তাইজউদ্দিন শিকদার, আব্দুল কাদির সুমন, মেহেদী হাছান, এম এ হান্নান সবুজ, জান্নাতুল ফেরদৌস, সোহেল রানা, ফকরুল আলম সবুজ, ফিরোজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, মজিবুর রহমান ও এনামুল শিকদার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকার পরিচালিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সমান সুযোগ না হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বাড়বে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার।
তা সব ধরণের শিক্ষার্থীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এক দেশ, একই পাঠ্যবই, একই সিলেবাস, একই সরকার তবে কেন প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বৈষম্য থাকবে। প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি বিভাজন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে।
এ বৈষম্য অবিলম্বে দূর করতে হবে। অন্যথায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের সমন্বয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।