ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সানি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সাড়ে ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ঢাবির ভর্তিতে ‘আরবি’ জটিলতা থাকছে না

প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি

এর আগে, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের ব্যানার নামাতে বলায় সানি সরকারের ওপর হামলা করেন তারা। এতে সানি সরকারসহ বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী আহত হন।

হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘সানির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হিজবুত তাহরির নো মোর’, ‘হিজবুত তাহরিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম শিহাব বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানির ওপর হিজবুত তাহরিরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। তার ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদের ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সহকারে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি, এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাবিলা তালুকদার বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কালো পতাকা নামাতে বললে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মবের কথাই বলছে। সে যদি মারা যেত, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কী জবাব দিত?”

তিনি বলেন, “আমরা সানির ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কার্যক্রম ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

ভুক্তভোগী সানির সহপাঠী কাজী খবিরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির মব সৃষ্টির মাধ্যমে সানি সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরবর্তিতে আমরা দেখেছি একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে হেডলাইন করেছে, সানি ইসরায়েলের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমের কর্তাব্যাক্তিদের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সঠিক সংবাদ প্রচার করুন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা বাংলাদেশ থেকে হিজবুত তাহরিরের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করছি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর হ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তারেক জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আহবায়ক আমিনুল ইসলাম সোহাগ ড. মোহাম্মদ ইউনূস'কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‎এ দেশের মানুষ আপনাকে পছন্দ করে ভালবাসে। ‎আমরা নিশ্চিত এ দেশের মানুষের মনের আশা গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠ নির্বাচন আপনি এ দেশের জনগণকে উপহার দেবেন।

অচিরেই ‎সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ আপনি ঠিক করুন। আপনি সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কার হচ্ছে একটি  প্রক্রিয়া। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া মাধ্যমেই সংস্কার চলতে থাকবে। তাই আপনি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। ‎আমাদের তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন করেছেন।

তিনি যে ৩১ দফার একটি রূপরেখা দিয়েছেন তার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে। আমিনুল ইসলাম সোহাগ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রেরও স্বাধীনতা ছিল না।

ঐ সময় আমরা কিন্তু আমাদের নিজেদের ভোটও দিতে পারি নাই। পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাব, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতো তারা ব্যবহার করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে খুন, গুম, ধর্ষণসহ মৌলিক অধিকার ও মানুষের মানবিক অধিকার হরণ করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এদেশ থেকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। ব্যাংক সেক্টরকে নিয়ে এসেছিলো শূন্যের কোঠায়।  

‎‎‎তারেক জিয়া পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি শিশির খান, সিনিয়র সভাপতি তাইজুল ইসলাম খান, ‎নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাজী রাশেদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, ‎আড়াই হাজার থানার সভাপতি মনির হোসেন, ‎সেক্রেটারি পনির আহমেদ, বন্দর থানার সভাপতি নুর ইসলাম ও সেক্রেটারি রুবেল মিয়া সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্দোষ দাবি প্রতিপক্ষের, হয়নি মামলা
  • তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কার রয়েছে, অচিরেই নির্বাচন দিন : সোহাগ
  • নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
  • বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • উত্তরায় বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল পাওয়ায় বাধা খোলা ড্রাম
  • খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে
  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের ভাইকে কোপানোর ঘটনায় মামলা, প্রতিবাদ কর্মসূচি