একসময় ছিল শুধু টেস্ট ক্রিকেট। এরপর এল ওয়ানডে। তারপর টি-টোয়েন্টি।
ক্রিকেট আরও নানাভাবে খেলা হয়। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বীকৃত সংস্করণ এই তিনটাই। এবার টি-টেন ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়া হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে টি-টেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছে সংস্থাটির অন্তত দুটি পূর্ণ সদস্যদেশ। জিম্বাবুয়ের হারারেতে ১০ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলা আইসিসির সর্বশেষ বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

যদিও আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে এটি উত্থাপন করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, বৈঠকে উপস্থিত বেশির ভাগ সদস্যের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি। তবে যদি ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সমর্থন আসে, তাহলে বিষয়টি আবারও বিবেচনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো একসময় ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্করণ তিনটি থেকে বেড়ে চারটি হবে, টি-টেনের পরিসংখ্যানও যোগ হবে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইলে।

আইপিএলের বড় আকর্ষণ এর বিনোদনদায়ী চরিত্র.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শাবানার আজ জন্মদিন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।

মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।

‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ