মহেশখালীতে ছাত্রলীগ নেতার হাতে বিএনপি নেতা নিহত
Published: 14th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রাজনৈতিক বিতর্কের জেরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হাতে আব্দুর রশিদ (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুর রশিদ কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত
মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অমিত ইকবাল (২২) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কালারমারছড়া ইউনিয়ন কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। আটক দুইজন হলেন- অভিযুক্তের ভাই মো.
নিহতের ভাতিজা জাহেদ হোসেন বলেন, “সোমবার সকালে আব্দুর রশিদ ও অমিত ইকবাল রাজনৈতিক বিষয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে অমিতের ভাই কামরুলসহ আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তারা আব্দুর রশিদকে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আব্দুর রশিদকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করলে সেখান থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন হত ছ ত রদল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা
শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান।
উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল।
ঢাকা/আকাশ/বকুল