কক্সবাজারের মহেশখালীতে রাজনৈতিক বিতর্কের জেরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হাতে আব্দুর রশিদ (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আব্দুর রশিদ কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত

মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অমিত ইকবাল (২২) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কালারমারছড়া ইউনিয়ন কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। আটক দুইজন হলেন- অভিযুক্তের ভাই মো.

কামরুল এবং হেলাল উদ্দিন।” 

নিহতের ভাতিজা জাহেদ হোসেন বলেন, “সোমবার সকালে আব্দুর রশিদ ও অমিত ইকবাল রাজনৈতিক বিষয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে অমিতের ভাই কামরুলসহ আরো কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তারা আব্দুর রশিদকে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আব্দুর রশিদকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন।”

ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করলে সেখান থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন হত ছ ত রদল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২

বগুড়ায় মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আটক করেছে। 

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম শাকিল আহমেদ (৩২)। তিনি শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার হানিফ প্রামাণিকের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিল শিববাটি এলাকায় বাস করেন। তার এক কিশোরী কন্যাকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু জিতুর সঙ্গে শাকিল তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। আজ দুপুরের দিকে ১০-১৫ জন যুবক শাকিলকে বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিলকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাকে নদীর ঘাটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত শাকিলের বড় বোন আশা বলেন, আমার ভাতিজি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে বিয়ের জন্য জিতু কিছুদিন পর পর আমার বড় ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দিত। আমার ভাই ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জিতু বাহিনীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
 
শাকিলের খালাতো বোন জেসি বলেন, আমার খালাতো ভাই শাকিলের সাথে জিতু বাহিনীর দুপুরে এক দফা হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শাকিল বাড়িতে এসে বলে আমাকে তোরা বাঁচা। জিতুরা আমাকে মেরে ফেলবে। এর কিছুক্ষণ পরেই ১৫/২০টি মোটর সাইকেলযোগে লোকজন এসে শাকিলকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা প্রায় ৩ ঘণ্টা খোঁজের এক পর্যায়ে জানতে পারি শাকিলের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেজিকেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
 
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শাকিল হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আমরা আটক করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২