অনেক সময় ত্বকে ভিটামিন ই- এর অভাব দেখা দিলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে ওঠে।  গরমকালেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুরু থেকেই তাই এ সমস্যার যত্ন নেওয়া জরুরি।

এই সময়ে ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব এড়াতে কী করবেন 

ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে চাইলে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি খেতে হবে, যাতে শরীরে ডিহাইড্রেশন না হয়।  এছাড়াও গরমকালেও যাদের ত্বক খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে থাকে, তারা কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। যেমন-

অ্যালোভেরা জেল 

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল খুবই উপকারী। সব মৌসুমেই এই উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপকরণ ত্বকে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে। এর পাশাপাশি,ত্বকের সব ধরনের জ্বালা-যন্ত্রণা, র‍্যাশও কমাতে সাহায্য করে। 

ওটস 

গরমের সময় যাদের ত্বক খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, তারা ওটস ব্যবহার করতে পারেন। পানিতে ভিজিয়ে রাখা ওটস ত্বকে ভালো করে ব্যবহার করলে স্ক্রাবিংয়ের কাজও হয়। এর ফলে ত্বক হয় মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। 

মধু 

মধুও ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বকের মোলায়েম, আর্দ্র ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। গরমের দিনে যাদের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, তারা সরাসর মধু ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। এছাড়া ঘরোয়া ফেসপ্যাক, ফেসস্ক্রাব বানালে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। 

অ্যাভোকাডো 

অ্যাভোকাডো পেস্ট ত্বকে ব্যবহার করলেও মোলায়েম ভাব বজায় থাকবে। গোসলের ১৫-২০ আগে ত্বকে অ্যাভোকাডো পেস্ট লাগিয়ে ত্বক হবে উজ্জ্বল, মসৃণ। 

অলিভ অয়েল 

ত্বকের রুক্ষতা-শুষ্কভাব দূর করতে গরমকালেও ত্বকে তেল মালিশ করতে পারেন । এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা ভালো। তবে ত্বক বেশি সংবেদনশীল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

নারকেল তেল 

ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করতে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। ত্বকের যেসব অংশ বেশি রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়, সেখানে নারকেল তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। তবে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে তেল ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ত বক র র ক ষ ব যবহ র কর ভ ব দ র কর শ ষ ক হয় উপক র র করত

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা