টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
Published: 17th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র হলো মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা। উপজেলা সদরের এই কেন্দ্রের অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র হলো মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কলেজ বিভাগে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলমান অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাধানগর ফজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো.
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, ‘আন্দোলন চলবে’
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় মধুপুর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধুপুর আদর্শ ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ জানান, পরীক্ষার কেন্দ্রে অনিয়মতান্ত্রিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাধানগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মধুপুর থানা কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইলে আদালতে পাঠিয়েছে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর জানান, মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে অসদুপায়ে সহযোগিতা করার অভিযোগে শিক্ষক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’
এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’
জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।