গত সরকারের আমলে ২০১৭ সালে সুন্দরবনের চারপাশে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে দেওয়া অনুমোদন বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন থেকে ইসিএ এলাকায় নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমতি দেবে না সরকার।

সোমবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় পরিবেশ কমিটির ১৬তম সভায় নতুন করে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দেওয়ার পাশাপাশি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে সুন্দরবনের ইসিএ এলাকায় ইতিমধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়েছে, সেটার একটা সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৯৯৯ সালে সুন্দরবন রক্ষায় সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে সরকার। ইসিএ এলাকায় মাটি, পানি ও বায়ুর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন দরবন র এল ক য় পর ব শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী