সিদ্ধিরগঞ্জে একটি গার্মেন্টস এর ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ এম এস টাওয়ারে অবস্থিত উক্ত গার্মেন্টস এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ একটি গার্মেন্টস এর ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক ও বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সমর্থক গাজী মনিরের সাথে প্রথমে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এতে বিএনপি নেতা গাজী মনিরসহ উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে গাজী মনিরের সমর্থক কিশোর গ্যাং লিডার করিম বাদশাসহ অর্ধশতাধিক পালিত সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এলে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, যে গার্মেন্টস এর ঝুট নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে সেটি নাসিক ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। বিএনপি নেতা গাজী মনিরের বাসা নাসিক ১নং ওয়ার্ডে। সে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড থেকে এসে ৪ নং ওয়ার্ডের ঝুট নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ঘটনার সূত্রপাতের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নাকি তাকে এই গার্মেন্টস এর ঝুট নামানোর অনুমতি দিয়েছে তাই তিনি এখানে এসেছেন। তবে খবর পেয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের বিএনপি নেতাকমীরা জানান নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে এটা আমরা বসে মিমাংসা করে নিবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন সমর্থক রাশেদ জানান, আমাদের কোনো লোক সেখানে যায়নি। আমাদের লোকজনদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা গাজী মনির জানান, বেশ কিছুদিন ধরে শুনেছি কে বা কারা আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যে অপবাদ ছড়াচ্ছে, আমি নাকি গার্মেন্টস এর ঝুটের গোডাউন তালা দিয়ে রেখেছি। বিষয়টি আমাদের নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আমাকে জানালে আমি আজ ঘটনাস্থলে যাই।

সেখানে গেলে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমার উপর হামলা করে। আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি সুস্থ হয়ে পরে সিন্ধান্ত নিবো।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব এনপ র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী রিটটি দায়ের করেছেন। এই আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামি শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর।

রিটে সংশ্লিষ্ট তিনটি মন্ত্রণালয় ও নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রুল জারির আরজি রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত ও আইনগত কার্যকারিতা–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল রুল চাওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ