নাহিদ, আখতার, হাসনাত, সারজিসরা যেসব আসনে ভোট করতে চান, সেগুলোতে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি
Published: 4th, November 2025 GMT
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু আসন থেকে নির্বাচন করতে চান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এসব আসনে সমঝোতার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে ওই সব আসনের বেশির ভাগে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের পছন্দের আসনও রয়েছে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর–৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কাজ করছেন। মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পছন্দের আসন ঢাকা–১৮ অথবা চাঁদপুর–৫। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়–১ আসন থেকে আর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা–৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী–৬ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে এনসিপির আলোচিত এসব নেতার আসনের মধ্যে শুধু ঢাকা–৯ ও ঢাকা–১৮ আসন ছাড়া সবগুলোতেই প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। যে দুটি আসনে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি, সেগুলো এনসিপির প্রার্থীদের জন্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এনসিপির আরও অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। তাঁদের মধ্যে মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫, সারোয়ার তুষার নরসিংদী–২, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রাম-২, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জ- ৪, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জ-৬, আশরাফ উদ্দীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও জয়নাল আবেদীন কুমিল্লা-১০ আসনে প্রার্থী হতে চান।
ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তাঁরা সরাসরি এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও দলটির বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এনসিপি সূত্র বলছে, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা–১০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন আসিফ মাহমুদ। সেটা এনসিপির মনোনয়নে হতে পারে, স্বতন্ত্রভাবেও হতে পারে। আর বিএনপির সঙ্গে বোঝাপড়া হলে মাহফুজ আলম নির্বাচন করতে পারেন লক্ষ্মীপুর–১ আসন থেকে।
বিএনপি ঢাকা–১০ ও লক্ষ্মীপুর-১ আসন ফাঁকা রেখেছে। তবে সেটি এই দুই ছাত্র উপদেষ্টার জন্যই কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ এলডিপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সবুজ সংকেত দিয়েছে দলটি।
জানতে চাইলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় স্বার্থে অবস্থানগত ঐক্য হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী যেকোনো দলের সঙ্গে এনসিপির নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে। তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এনসিপি প্রার্থী তালিকা তৈরি করছে। শিগগিরই এই তালিকা প্রকাশ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব আসন থ ক এনস প র ইসল ম আখত র ১ আসন আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
তুরস্ক বাংলাদেশকে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রে অব্যাহত সংহতি ও সহযোগিতা করবে তারা। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তুরস্কের সংসদীয় প্রতিনিধিদল এ আশ্বাস দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সফররত পাঁচ সদস্যের একটি তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন মেহমেত আকিফ ইলমাজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুরস্কের প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা পূরণে তুরস্কের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তুর্কি প্রতিনিধিদল গত শনি–রবিবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারপারসন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানান। শিবিরগুলোতে ব্যবস্থাপনা, সুযোগ-সুবিধাসহ মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরেন। তিনি বহুমাত্রিক খাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও গভীর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ এবং আধা দক্ষ পেশাদারদের নিয়োগ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন জানান, সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘ইউনুস এমরে ইনস্টিটিউট’–এর একটি শাখা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। এটা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণকে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।